শাহবাজ আহমেদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। যদিও তা ফিকে হয়ে গেল বাংলায় ফেরা বাংলার ক্রিকেটারের সৌজন্যে। চলছে বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ। ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রাচি রাঢ় টাইগার্স ও রাশমি মেদিনীপুর উইজার্ডস। শাহবাজের অনবদ্য পারফরম্যান্স সত্ত্বেও হার রাঢ় টাইগার্সের। ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতল মেদিনীপুর উইজার্ডস। এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।
একটা সময় বাংলা রঞ্জি টিমে ধারাবাহিক ছিলেন বাঁ হাতি ব্যাটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। ভারত এ দলের হয়েও খেলেছেন। তাঁর খেলায় মুগ্ধ হয়েছিলেন খোদ রাহুল দ্রাবিড়ও। পরবর্তীতে পারফরম্যান্সের কারণে বাংলা দলে জায়গা হচ্ছিল না সুদীপের। অভিমানে পাড়ি দিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। রঞ্জি ট্রফিতে গত মরসুমেও ত্রিপুরার হয়ে খেলেছেন সুদীপ। এ বার বাংলায় প্রত্যাবর্তন করেছেন। খেলছেন বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগেও। এ দিন ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স চেনা ইডেনে।
যদিও ঋদ্ধিমান সাহা এই ম্যাচে নজর কাড়তে পারলেন না। সিএবি কর্তার সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে ঋদ্ধিও বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন। এ বার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বাংলায় ফিরেছেন। প্রো টি টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত একটা ইনিংসও খেলেছিলেন। রাঢ় টাইগার্সের বিরুদ্ধে রান তাড়ায় খালি হাতেই মাঠ ছাড়েন।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রবল চাপে পড়েছিল রাঢ় টাইগার্স। ৫ ওভারের মধ্যেই ১৯ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। এমন সময় ব্যাট হাতে প্রবেশ শাহবাজ আহমেদের। মাত্র ৫১ বলে ৯০ রানের চোখ ধাঁধানো বিধ্বংসী ইনিংস শাহবাজের। সঙ্গীর অভাবে ভুগলেও শাহবাজের দাপট থামেনি। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৮ রান করে রাঢ় টাইগার্স। ৯০ রানের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও পাঁচটি বিশাল ছয় শাহবাজের।
রান তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই শূন্য রানে ফেরেন অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর হতাশা ঢেকে দেন সতীর্থরা। প্রিয়াংশু শ্রীবাস্তব ৫৬ বলে অপরাজিত ৭৫ এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় মাত্র ২৬ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। মাত্র ১৭ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় ঋদ্ধিমানের টিম। ব্যাট হাতে নজর কাড়ার পর একটি উইকেটও নেন শাহবাজ। তাতে অবশ্য ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হল।