Raj Limbani: পাকিস্তান সীমান্ত থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালের দৌড়, ভারতীয় দলে লিম্বানির ‘রাজ’

ICC Under-19 World Cup: সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে শেষ দিকে প্রবল চাপে ছিল ভারত। বল আর রান সমান। কখনও বলের চেয়ে প্রয়োজন বেশি রান। ক্রিজে ছিলেন ক্যাপ্টেন। রাজ ক্রিজে এসে একটি ছয় মেরে চাপ হালকা করেন। ভারতের জয় ক্রমশ সহজ হয়। সচিন দাসের ৯৬, ক্যাপ্টেন উদয় সাহারণের ৮১ রানের পাশাপাশি ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে রাজের ৪ বলে ১৩ রান একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। উইনিং রানও তাঁর ব্যাটেই। এ বার অপেক্ষা ফাইনাল জিতে ট্রফির আনন্দে মেতে ওঠা।

Raj Limbani: পাকিস্তান সীমান্ত থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালের দৌড়, ভারতীয় দলে লিম্বানির রাজ
Image Credit source: ICC

Feb 07, 2024 | 8:00 AM

হাতে নতুন বল। তাঁকে আর পায় কে! ইনসুইং, আউটসুইং। কখনও বাউন্সার। বিব্রত হয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটার ভুল করবেই। এ যেন চেনা ছবি হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। বল হাতে রাজত্ব চলছে ভারতের ডান হাতি পেসার রাজ লিম্বানির। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হোক কিংবা সেমিফাইনাল। নতুন বলে রাজ দুর্দান্ত শুরু করবেন এবং এরপর স্পিন দাপট। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও এর অন্যথা হয়নি। টস জিতে অধিনায়ক উদয় সাহারণ নতুন বলে দায়িত্ব দেন রাজকেই। প্রথম স্পেলেই জোড়া উইকেট। কচ্ছের রণ থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল। দৌড়টা অবশ্য একেবারেই মসৃণ ছিল না রাজ লিম্বানির। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

যুব বিশ্বকাপ থেকে উঠে আসে ভবিষ্যৎ তারকা। সে যুবরাজ সিং, বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, রবীন্দ্র জাডেজা হোক কিংবা কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি, স্টিভ স্মিথ। তালিকাটা দীর্ঘ। আগামী দিনে এই তালিকায় নাম থাকতে পারে এ বারের বিশ্বকাপে নজরকাড়া এক তরুণ পেসারের। শৈশবে তাঁর কাছে দুটো বিকল্প ছিল। পরিবারে সঙ্গে গ্রামেই থাকা এবং বাবাকে কৃষিকাজে সাহায্য করা কিংবা নিজের স্বপ্নের পিছনে দৌড়নো। দ্বিতীয় বিকল্পই বেছে নেন রাজ লিম্বানি।

পাকিস্তান সীমান্তের কাছে কচ্ছের রণ এলাকার দয়াপার গ্রাম থেকে বরোদায় পাড়ি দেন রাজ। তাঁর বাবা বসন্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমাদের গ্রাম থেকে পাকিস্তান সীমান্ত মাত্র ২৭কিমি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গ্রাম থেকে ছেলে-মেয়েরা আমেদাবাদ, সুরাট কিংবা বরোদায় যায় পড়াশোনার জন্য। রাজও বরোদায় গিয়েছিল। তবে সেটা ক্রিকেটের জন্য।’ শুরুটা টেনিস বল দিয়ে। এরপর ক্রমশ শক্তি কর্ক বল দিয়েও প্র্যাক্টিস করেন রাজ। যদিও গ্রামে থেকে এই পথ অতিক্রম করা যেত না।

সালটা ২০১৭। বাবার পরামর্শেই বরোদায় রাজ। বসন্ত আরও বলেন, ‘ছোট থেকেই ওর ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। এই খেলার প্রতি প্রচণ্ড আবেগ। কিছুসময় আমরাই ওর আবেগটা বুঝে উঠতে পারতাম না। এখন ওকে দেশের হয়ে খেলতে দেখে আমাদের মুখেও হাসি ফুটেছে।’ সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন উইকেট রাজ। তাঁর ব্যাটের হাতও যে ভালো সেটা অবশ্য আগে বোঝার সুযোগ হয়নি।

সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে শেষ দিকে প্রবল চাপে ছিল ভারত। বল আর রান সমান। কখনও বলের চেয়ে প্রয়োজন বেশি রান। ক্রিজে ছিলেন ক্যাপ্টেন। রাজ ক্রিজে এসে একটি ছয় মেরে চাপ হালকা করেন। ভারতের জয় ক্রমশ সহজ হয়। সচিন দাসের ৯৬, ক্যাপ্টেন উদয় সাহারণের ৮১ রানের পাশাপাশি ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে রাজের ৪ বলে ১৩ রান একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। উইনিং রানও তাঁর ব্যাটেই। এ বার অপেক্ষা ফাইনাল জিতে ট্রফির আনন্দে মেতে ওঠা।