কলকাতা: রঞ্জি মরসুমে এ বার একটিও জয় পায়নি বাংলা। হারেওনি। প্রথম তিন ম্যাচে এসেছে মাত্র ৫ পয়েন্ট। নকআউটের রাস্তা খোলা রাখতে বাকি ম্যাচ থেকে ফুল পয়েন্ট চাই। গুয়াহাটিতে সেই স্বপ্নই দেখাচ্ছে বাংলা। অন্তত প্রথম দিনের খেলা শেষে এমন প্রত্যাশা করাই যায়। বাংলার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক রানে ফিরলেন ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি। বাংলা ব্যাটিংকে টানছেন সেই অনুষ্টুপ মজুমদারই। বাংলা ক্রিকেটের যেন আপশোস বাড়াচ্ছেন রুকু। এই ফর্মটা কয়েক বছর আগে থাকলে হয়তো আরও একজন টেস্ট প্লেয়ার পেত বাংলা। অসমের বিরুদ্ধে প্রথম দিন কী পরিস্থিতি? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ মরসুমের প্রথম ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছিল বাংলা। পরের ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট। সবচেয়ে বড় অস্বস্তি অবশ্য ঘরের মাঠে ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে ১ পয়েন্ট। প্রথম তিন ম্যাচের হতাশা ভুলে অসমের বিরুদ্ধে নতুন ম্যাচ। টস জিতে বাংলাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অসমের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ঠিক প্রমাণ করছিলেন অসমের বোলাররা। ৫৭ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারায় বাংলা। টিম ম্যানেজমেন্টের একটি সিদ্ধান্ত অবাক করার মতোই!
বাংলার ওপেনিং জুটি একই ছিল। সৌরভ পাল ও শ্রেয়াংশ ঘোষ। অভিষেক ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন সৌরভ। এরপর থেকে আর বড় রান নেই ব্যাটে। এ দিন তিনে নামানো হয় মহম্মদ কাইফকে! পেসার মহম্মদ কাইফকে তিনে নামানোর সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাঁকে ফেরান রিয়ান পরাগ। ৫৭-৪ থেকে প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ২৪২-৪। সৌজন্যে দুই ‘বুড়ো’ প্লেয়ার অনুষ্টুপ মজুমদার ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। অনুষ্টুপ এই মরসুমেও ধারাবাহিক। এ বারের রঞ্জিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এল তাঁর ব্যাটে। হাফসেঞ্চুরি অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির।
সেঞ্চুরি হলেও ফোকাস হারাননি অনুষ্টুপ। দিনের শেষে ১২০ রানে অপরাজিত। উল্টোদিকে মনোজ ৬৮ রানে। বাংলার হয়ে এ দিন প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হল অঙ্কিত মিশ্র এবং সুমন দাসের। তবে যাবতীয় নজর অনুষ্টুপ-মনোজের ব্যাটেই। প্রথম ইনিংসে অন্তত ৩৫০ পেরোতে পারলে অ্যাডভান্টেজ থাকবে বাংলাই।