Prakhar Chaturvedi: দ্রাবিড়ের পরামর্শে লারা হয়ে উঠছেন, ক্রিকেটে নতুন বিস্ময় প্রখর
Rahul Dravid, KB Pawan: সালটা ১৯৯৯। মহেন্দ্র সিং ধোনির টিমের বিরুদ্ধে কোচবিহার ট্রফিতে ৩৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন যুবরাজ সিং। কোচবিহার ট্রফিতে সেটিই সর্বাধিক স্কোর ছিল। পরবর্তীতে ধোনি, যুবরাজ ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন। যুবরাজের সেই ৩৫৮-র রেকর্ড ভেঙে দিলেন প্রখর চতুর্বেদী। টিভি নাইন বাংলাকে ফোনে প্রখর বললেন, 'যুবরাজ স্যারের রেকর্ড ভেঙে খুবই ভালো লাগছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার বিষয়, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।'

কলকাতা: বর্তমান দিনে একটা কথা খুব শোনা যায়, ‘আইপিএল খেলতে চাই’। কেউ ক্রিকেটার হওয়ার পথচলা শুরু করলেও টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি যেন আগ্রহ কম। এমন সময়ে অনূর্ধ্ব ১৯ এক ক্রিকেটার ৬৩৮ বল, ৪০৪ রানের ইনিংস খেলছেন! ভাবলে অবাক হওয়ারই কথা। কর্ণাটকের প্রখর চতুর্বেদী এমন ইনিংসই খেলেছেন। কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে প্রখরের ইনিংসের সৌজন্যে প্রথম বার ট্রফি জিতল কর্ণাটক। প্রখরের ইনিংস এবং দলের ট্রফি জয়ে গর্বিত কোচ কেবি পবন। যুবরাজ সিংয়ের রেকর্ড ভেঙেও মাটিতে পা রেখে চলছেন প্রখর। TV9Bangla Sports-কে ফোনে কেবি পবন ও প্রখর চতুর্বেদী যা বললেন, বিস্তারিত রইল এই প্রতিবেদনে।
ট্রফি জিতে কর্ণাটক অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ প্রখরকে নিয়ে কেবি পবন বলছেন, ‘গত বারও কোচবিহার ট্রফিতে ভালো খেলেছিল প্রখর। এ বার সেই অর্থে পুরো টুর্নামেন্টে ভালো পারফরম্যান্স ছিল না। ও হয়তো অনেক বেশি কিছু চেষ্টা করছিল। ফাইনালে প্রাথমিক বিষয়ে জোর দিয়েছে। সবচেয়ে ভালো দিক, একশো পেরনোর পরও ফোকাস হারায়নি। যুবরাজ সিংয়ের রেকর্ড ভাঙাই শুধু নয়, অনবদ্য একটা ইনিংস। কোচ হিসেবে ওর এবং টিমের জন্য গর্ব হচ্ছে।’
সালটা ১৯৯৯। মহেন্দ্র সিং ধোনির টিমের বিরুদ্ধে কোচবিহার ট্রফিতে ৩৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন যুবরাজ সিং। কোচবিহার ট্রফিতে সেটিই সর্বাধিক স্কোর ছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন প্রখর চতুর্বেদী। টিভি নাইন বাংলাকে ফোনে প্রখর বললেন, ‘যুবরাজ স্যারের রেকর্ড ভেঙে খুবই ভালো লাগছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার বিষয়, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমার আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই পছন্দ। হয়তো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বেশি ভালো পারফর্ম করতে পারব। তবে আমি কখনও লাল-বলের ক্রিকেট অবহেলা করি না। অনূর্ধ্ব ১৪ স্তর থেকেই যেহেতু মাল্টি ডে ম্যাচ খেলছি, সেই মানসিকতা তৈরি হয়ে গিয়েছে।’
ধৈর্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরও একজনের ভূমিকা রয়েছে। সেটা জানাতে ভুললেন না প্রখর। সমিত দ্রাবিড় সতীর্থ। ধৈর্যের প্রসঙ্গ যখন আসে, রাহুল দ্রাবিড়ের চেয়ে বড় উদাহরণ আর কে হতে পারেন? প্রখর একই রাজ্যের। গ্রেট রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে? প্রখর বলেন, ‘দ্রাবিড় স্যারের সঙ্গে চার-পাঁচ বার দেখা হয়েছে। কিছু পরামর্শও পেয়েছি। স্যার বেশির ভাগই বুঝিয়েছেন-নেটে যখন প্র্যাক্টিস করব, বোলারকে জিজ্ঞেস করে কাল্পনিক একটা ফিল্ডিং বুঝে নিতে এবং সেই অনুযায়ী খেলতে। প্র্যাক্টিসে সেটাই করি। গত কয়েক মাস সেই অর্থে আমার ফর্ম ভালো ছিল না। আঙুলে চোটও পেয়েছিলাম। শুধু একটা বিষয় মাথায় রেখেছি, প্র্যাক্টিস করতে থাকলে সুফল পাবই।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভাবতে নারাজ প্রখর। অনূর্ধ্ব ২৩ দলে সুযোগ হোক কিংবা কর্ণাটক রঞ্জি টিম, সব কিছুর জন্যই নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চান। আর মূল ফোকাস থাকবে লাল বলের ক্রিকেটেই।





