
কলকাতা: ‘ঈশ্বর’এর সামনেই ভেঙেছেন তাঁর রেকর্ড। সচিন তেন্ডুলকর পর্যন্ত ১৮ বছরের ক্রিকেটারের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ। মুম্বই ৪২তম রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন সরফরাজ খানের ভাই। দাদা টেস্ট টিমের দরজা খুলে ফেলেছেন। অভিষেকেই দু’ইনিংসে করেছেন দুটো হাফসেঞ্চুরি। তাঁর ভাই মুশির খান অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সময় থেকেই ফর্মে। দাদার কাজ যেন ভাই করে যাচ্ছেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফাইনালেও থামানো যায়নি তাঁকে। বল হাতেও নিয়েছেন দুটো উইকেট। এ হেন তরুণ যে আইপিএলে জায়গা করে নেবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী! এক সপ্তাহ বাকি আইপিএলের (IPL)। তার আগে কী বলছেন মুশির (Musheer Khan)?
না, দাদা সরফরাজের মতো ভাইও আইপিএলে জায়গা করে নিতে পারেননি। আক্ষেপ নেই ১৮ বছরের ক্রিকেটারের। বরং বলে দিচ্ছেন, এক বছর সুযোগ পেয়ে গেলেন আইপিএলের প্রস্তুতির জন্য। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বুঝে নিতে সময় পাবেন। নিজেকে আরও ধারালো করে নিতে পারবেন। মুশির বলছেন, ‘আইপিএলে আমি সুযোগ পাইনি। তার জন্য আমি হতাশ নই। আমার বাবা বলেছে, টেস্ট ক্রিকেটের জন্য তৈরি করো নিজেকে। দেশের হয়ে খেলার চেষ্টা করো। আইপিএলের টিম এমনিতেই পেয়ে যাবে। আজ না হলে কাল…! একটা জিনিস কিন্তু ভালোই হল। আইপিএলের প্রস্তুতির জন্য আরও একটা বছর পেয়ে গেলাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আরও ভালো করে বুঝতে পারব এই সময়ে।’
দাদা সরফরাজই অনুপ্রেরণা মুশিরের। রঞ্জিতে ধারাবাহিক ভাবে রান করার পর অবশেষে ভারতীয় টিমে জায়গা পেয়েছেন। মুশির বলছেন, ‘আমি দাদাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে অসম্ভব দায়বদ্ধতা দেখেছি। দাদার মতোই আমার ব্যাটিং স্টাইল। রঞ্জি ফাইনালের আগে দাদা বলেছিল, আর একটা সাধারণ ম্যাচ খেলতে নামছি, এ ভাবেই যেন তৈরি হই। অতিরিক্ত চাপ নিয়ে না ফেলি। মাঠের বাইরে থেকে হয়তো এটা আর একটা সাধারণ ম্যাচ বলেই মনে হতে পারে, কিন্তু মাঠে চাপ অনুভব করেছি। দাদা বলেছিল, এমন পরিস্থিতিতে যেন নিজের উপর যেন আস্থা রাখি। মুম্বইয়ের হয়ে ৪২তম রঞ্জি জয় কিন্তু আমার কাছে গর্বের একটা মুহূর্ত।’