বৃষ্টির কারণে দেরীতে শুরু হয় ম্যাচ। টস হেরে ব্যাটিং। প্রবল চাপে ছিল গুজরাট টাইটান্স। কিন্তু শুভমন গিল নিজের মেজাজেই। প্রথম কোয়ালিফায়ারে দলকে জেতাতে পারেননি। তার আগের দুই ম্যাচেই টানা সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন। এ দিন অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে ছাপিয়ে গিয়েছেন ফাফ ডুপ্লেসিকে। আমেদাবাদে বৃষ্টির পর ম্যাচ শুরু হওয়ায় শট খেলা কঠিন ছিল। ব্যক্তিগত ৩০ রানে তাঁর ক্যাচ ফসকান টিম ডেভিড। ক্রিস জর্ডনের বোলিংয়ে মিড অনে ডাইভ দিয়ে বল অবধি পৌঁছলেও ক্যাচ জমাতে পারেননি। অর্ধশতরান অবধি সতর্ক ব্যাটিং। এরপরই ঝড়। তৃপ্তিতে মাথা নাড়ছেন হার্দিক পান্ডিয়া। হতাশায় মাথায় হাত মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মার। মরসুমের তৃতীয় সেঞ্চুরি শুভমনের ব্যাটে। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এ।
ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫০ রান। দু-জনেই সতর্ক শুরু করেন। শুরুতে কিছুটা সুইংও ছিল। ঋদ্ধির আউটে ৫০ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে। ক্রিজে যোগ দেন সাই সুদর্শন। ৩২ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছন শুভমন। এরপর একের পর এক বিধ্বংসী শট। ৪৯ বলেই তিন অঙ্কের ঘরে প্রিন্স অব ক্রিকেট। তাঁর ব্যাটে বাউন্ডারির বন্যায় চিন্তার পাহাড় জমতে থাকে রোহিতের। গত ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া আকাশ মাধওয়ালই হোক কিংবা মুম্বইয়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পীযুষ চাওলা। কাউকেই রেয়াত করেননি শুভমন।
শতরানের পর তরুণ ওপেনারকে শুভেচ্ছা জানান রোহিত শর্মা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে শুভমন প্রতিপক্ষ হলেও জাতীয় দলে রোহিত ক্যাপ্টেন। তরুণ ব্যাটারের আরও একটা তাক লাগানো ইনিংসে। শুভমনের পিঠ চাপড়ে দেন রোহিত। শতরানের পর শুভমনকে রোখা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। চাপের মুখে ওয়াইড বল করতে থাকেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বোলাররা। শুভমনের ইনিংস দেখে বোঝা মুশকিল এটা কোয়ালিফায়ারের মতো হাই ভোল্টেজ, স্নায়ুর চাপের ম্যাচ। বরং প্রতিপক্ষর অভিজ্ঞ বোলাররাই স্নায়ুর চাপে ভুগলেন। শুভমন নিজের মতো শট খেলে গেলেন। লন টেনিসের ফোরহ্যান্ডের মতোও দেখাল। অবশেষে আকাশ মাধওয়ালের বোলিংয়ে সেই টিম ডেভিডের ক্যাচেই ফেরেন শুভমন গিল। ৬০ বলে ১২৯ রানের অভাবনীয় ইনিংস। গ্যালারি দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাল প্রিন্স অফ ক্রিকেটকে।