কলকাতা: ডু অর ডাই! হয় এ বার, নয় নেভার! ক্রিকেটে এই দুই শব্দবন্ধনী সময় সময় ঠিক এসে পড়ে। ভারত যখন চাপে, ভারত যখন স্বপ্নের খোঁজে, ভারত যখন ফাইনালের রাস্তায় নামে, ঠিক তখনই দুই শব্দবন্ধনীর ব্যবহার হয়। যেমন হচ্ছে এ বার। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যায়নি ভারত। আসলে সিরিজের ম্যাচ সংখ্যা মাত্র ৩। ভুল নয়, ঠিক এ ভাবেই ভাবতে শুরু করেছে রোহিত শর্মার ভারত। পারথের জয় যদি পার্থিব সুখ দিয়ে থাকে, তবে অ্যাডিলেড দিয়েছে যন্ত্রণা। ভালো মন্দ দুই ভুলে নতুন করে সিরিজ শুরু করছেন রোহিত শর্মারা। কেন? কারণ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে হলে ভারতকে ৪-১ জিততেই হবে। প্রথম দুই টেস্ট ১-১। এখান থেকে সিরিজ যদি শুরু করা হয়, ভারতের লক্ষ্য জয়ের হ্যাটট্রিক। গাব্বায় নামার আগে শুভমন গিল খোলসা করে দিলেন, ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ভাবনা।
অ্যাডিলেড টেস্ট হারার পর কতটা চাপ তৈরি হয়েছে? গিলের কথায়, ‘অ্যাডিলেড টেস্ট আমরা ঠিক যে ভাবে চেয়েছিলাম, সেই ভাবে পারফর্ম করতে পারিনি। কিন্তু টিমের মেজাজ এখন বেশ ফুরফুরে। আমরা গত রাতে সবাই মিলে ডিনার করেছি। সেখানে হাসি ঠাট্টা প্রচুর হয়েছে। পুরো টিমই খোশমেজাজে রয়েছে। আপাতত আমাদের একটাই ভাবনা, এই সিরিজটাকে ৩ ম্যাচের নিরিখে দেখছি। গাব্বা টেস্ট জিতলে মেলবোর্ন আর সিডনি বাকি থাকবে। গাব্বায় যদি আমরা জিতি, আবার কিন্তু এগিয়ে থেকে পরের টেস্টে নামব।’
গত সিরিজে হনুমা বিহারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন টিমের জয়ে। এই সিরিজে তিনি নেই। ভারত কোথাও কি ইতিবাচক মনোভাব হারিয়েছে? মেনে নিয়ে গিল বললেন, ‘আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। এখান থেকে যাতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই আমরা এগোতে পারি, সেই চেষ্টাই করছি। যে কারণে প্রথম টেস্টে জয় আমরা ভুলে গিয়েছি। সামনের তিনটে টেস্টকে একটা সিরিজ ধরে যদি এগোই, তাতে যদি ২-০ জিতি, তা হলেও কিন্তু আমরা দারুণ একটা জিনিস করে দেখাতে পারব।’
মোদ্দা কথা অ্যাডিলেডে বিপর্যয়ের পর ভারত গত সিরিজ থেকে মোটিভেশন নিচ্ছে। গতবারও সব হিসেব উল্টে দিয়ে ভারত সিরিজ জিতেছিল। এখনও তা সম্ভব। রোহিত-বিরাট-বুমরাদের যেমন পারফর্ম করতে হবে, তেমনই আগুন ঝরাতে হবে নতুন প্রজন্মকেও। গিলরা কিন্তু তৈরি।