নয়াদিল্লি: এমনও হয়? হয়, না হলে সুমিত কুমার কেন সুমিত কুমারকে চিনতে পারবেন না! যদি পারতেন, তা হলে উৎসব শুরু হয়ে যেত না তাঁর পরিবারে। মিডিয়ার সামনে বাইট দিতেন না। বোকারোর অলি-গলিতে শুভেচ্ছা কুড়িয়ে বেড়াতেন না। এ সবে সুমিতের দোষ নেই। সত্যিই তো আইপিএলে প্রথমবার টিম পেলে কার না ভালো লাগে। সেই টিম যদি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি হয়, তা হলে তো কথাই নেই। স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গিয়েছিল সুমিতের। ঠিক তখনই অদ্ভুত টুইস্ট! সুমিতের এই গল্প হার মানাবে সিনেমাকেও। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বোকারোর ছেলে সুমিত কুমার ঝাড়খণ্ডের হয়েই খেলতেন এতদিন। বেশি সুযোগের সন্ধানে সম্প্রতি নাগাল্যান্ডে চলে গিয়েছেন। উইকেটকিপার-ব্যাটার ধোনিকেই আদর্শ করে এগিয়েছেন। সেই তাঁকেই এ বার আইপিএল নিলামে কিনেছিল দিল্লি। ২০ লক্ষ টাকা ছিল বেস প্রাইস। ১ কোটি টাকায় কিনেছে সৌরভের টিম। আইপিএল ভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই ফ্র্যাঞ্চাইজির দুনিয়ায় সেরা লিগ। এই মঞ্চ থেকেই উত্থান হয়েছে অনেক ক্রিকেটারের। সুমিতও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। তার পর কী হল? টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, নিলামে যখন নাম উঠেছিল সুমিতের, তখন তাঁরই ছবি ছিল। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, তিনি সেই সুমিত কুমার নন, যাঁকে কিনেছে দিল্লি। হরিয়ানার সুমিত কুমারকে দলে নিয়েছে সৌরভের টিম।
পুরো ঘটনা জানাতে মাকে ফোন করেছিলেন সুমিত। তাঁর কথায়, ‘আমি আইপিএলে প্রথমবার টিম পেয়েছি বলে মা খুব খুশি ছিল। পরেরটা জেনে কেঁদে ফেলেছিল। আমিও বুঝতে পারছিলাম না, কী করে ব্যাপারটা ঘটল। মানছি, নাম কারও মিলে যেতেই পারে, কিন্তু ছবি? টিভি স্ক্রিনে তো আমার ছবিই তুলে ধরা হয়েছিল। দিল্লি ক্যাপিটালস বড় টিম। ওরা ক্রিকেটারের আবেগ নিয়ে খেলা করে না। আবার এটাও ঘটনা যে, দিল্লির ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডলে আমার ছবিই দেওয়া হয়েছিল। ওরা নিশ্চয়ই আমার ছবি সার্চ করে তবেই পেয়েছে। তারপর ট্যাগ করেছে। যে কারণে নোটিফিকেশন পাওয়ার পর একশো শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম। কয়েক ঘণ্টা পর যখন ওরা আসলটা ঘোষণা করে, আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’
পরিবার, পাড়া, এলাকায় যে অস্বস্তিতে পড়েছেন সুমিত, তাও অস্বীকার করছেন না। ‘আমার এবং আমার পরিবারের কাছে খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। কত লোক যে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। বন্ধু ও ক্রিকেটাররা আমাকে নিলামের ছবিও স্ক্রিনশট হিসেবে পাঠিয়েছে। তাতে তো আর পরিস্থিতি পাল্টায়নি। পুরো ব্যাপারটাতে আমরা ভেঙে পড়েছি।’