কলকাতা: বিরাট কোহলি (Virat Kohli) পুনে টেস্টের দ্বিতীয় দিন এক মুহূর্তে চমকে দিলেন ক্রিকেট প্রেমীদের। চলছিল দিনের প্রথম ঘণ্টা। সবে মাত্র ৮টা বল খেলেছেন। সেই সময় বিরাটের মতো তারকা ক্রিকেটারের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল সিঙ্গল নিয়ে একটা ইনিংস গড়ে তোলা। কারণ অপর প্রান্তে ছিলেন সেট ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল। কিন্তু কোথায় কী! প্রথম সেশনে বল টার্ন হচ্ছে, বাউন্সও ভালো হচ্ছে। যে কারণে যশস্বী ও শুভমন দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারছিলেন না। আর সেটাই কিউয়িদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। এরপর গিল-যশস্বীর পার্টনারশিপ ভাঙার কাজটা করেন নিউজিল্যান্ডের তারকা মিচেল স্যান্টনার। সেই তিনিই কোহলিকেও ফেরালেন গিলকে আউট করার পরের কয়েকটা ওভারে।
৯ নম্বর ডেলিভারিতে বিরাট যে আউট হলেন, তা ফুলটস বল ছিল। অশ্বিন-জাডেজা-সুন্দরের মতো বোলাররা বল ছাড়ার সময় স্পিডে ছাড়েন। তাঁদের ডেলিভারি পিচে পড়ে বল অনেক সময় স্লো হয়। আর স্যান্টনার স্লো ডেলিভারিই দেন। বিরাটের ক্ষেত্রেও সেটাই করেন। আর কোহলি ক্রসব্যাটে খেলতে গেলেন স্লো ফুলটস। এক্কেবারে দায়সারা শটে আউট হলেন। ১০০টিরও বেশি টেস্ট খেলা বিশ্বের সেরা ব্যাটারের কাছে কোনও ভাবেই এমন শট মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আউট হওয়ার পর নিজেও যে অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন, তা তাঁর চোখ-মুখের ভাব বলে দিচ্ছিল। বিরাট যদি যশস্বীর সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারতেন, তা হলে লাঞ্চের পর ইন্ডিয়া দ্রুতগতিতে রান তোলার চেষ্টা করতে পারত।
Virat Kohli out 🥺🥺🥺#ViratKohli #INDvsNZ pic.twitter.com/49ytD5Jewv
— Virat (@chiku_187) October 25, 2024
কোনও তরুণ ক্রিকেটার এমন শট খেললে কিছু বলার নেই। কিন্তু বিরাট কোহলি! ফুলটসে বলে এ ভাবে আউট হবেন, কারও কাছেই প্রত্যাশিত নয়। স্যান্টনারের এই উইকেট মনে করিয়ে দিচ্ছিল ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি স্পিনার স্টিভ ও’কিফের কথাও। ২০১৭ সালে ভারতের বিরুদ্ধে পুনে টেস্টে দু-ইনিংস মিলিয়ে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন অজি বাঁ হাতি স্পিনার স্টিভ ও’কিফ। এ বার কিউয়ি স্পিনাররাও তেমনই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন না তো! এই আশঙ্কাও ঘিরে ধরছে।