এ বারের এশিয়া কাপে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। তেমনই প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ফাইনালিস্টও ঠিক হয়ে গিয়েছে। গত বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা রুদ্ধশ্বাস ‘সেমিফাইনালে’ হারিয়েছে পাকিস্তানকে। সব মিলিয়ে এগারোতম ফাইনালে শ্রীলঙ্কা। টানা দ্বিতীয় বার। আজ সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে ভারত বনাম বাংলাদেশ নিয়মরক্ষার ম্যাচ। বাংলাদেশ শিবিরে লক্ষ্য, ভারতের বিরুদ্ধে ভালো পারফর্ম করে অন্তত কিছু ইতিবাচক দিক সঙ্গী করে দেশে ফেরা। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ধাঁধায়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ ম্যাচের ওপর কোনও কিছুই নির্ভর করছে না। তবে ভারতীয় শিবিরে কয়েকটি বিষয় ঘোরাফেরা করছে। এক, ফাইনালের প্রস্তুতি। তার জন্য উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখার সম্ভাবনাই বেশি। তেমনই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য বেশ কয়েকজনকে বিশ্রাম দিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চকে দেখে নেওয়ার লোভ সামলানো কঠিন।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডের পাশাপাশি বিশ্বকাপেও রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। এখনও অবধি একাদশে সুযোগ পাননি। পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে নেমে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। শ্রেয়স আইয়ার গ্রুপের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। নজর কাড়তে পারেননি। লোকেশ রাহুল ফেরায়, তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়ে সন্দেহ ছিল। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে চোটের কারণে ছিটকে যান। প্রত্যাবর্তনেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রাহুল। ঈশান কিষাণ সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।
স্কোয়াডে প্রসিধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সামি, তিলক ভার্মাও রয়েছেন। প্রসিধ ও তিলক বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নেই। ফলে তাঁদের এই ম্যাচটা খেলিয়ে দেখে রাখা যেতে পারে। বিশ্বকাপে স্ট্যান্ড বাইতে রাখা হতে পারে। শ্রেয়স এবং সূর্যর ক্ষেত্রে ম্যাচ প্র্যাক্টিস পাওয়া জরুরি। সামি একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছেন। এত ভাবনার মধ্যে ঘুরে ফিরে একটা ভাবনাও থাকছে। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙলে ফাইনালে ছন্দপতন হবে না তো!
বাংলাদেশ শিবিরে এমন কোনও ভাবনার বিষয় নয়। প্রথম দু-ম্যাচ হারের পর ভারতের বিরুদ্ধে ভালো পারফর্ম করতে পারলে, দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের একটা উপহার দেওয়া যাবে। সেই লক্ষ্যেই যেন নামবেন সাকিব আল হাসানরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাঁ হাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়েছিল ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। বাংলাদেশ টিমে অধিনায়ক সাকিব ছাড়াও রয়েছেন আর এক বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ভারতের বিরুদ্ধে একটা মরণ কামড় দেওয়াতেই ফোকাস বাংলাদেশ শিবিরে।