কলকাতা: ডিফেন্সে তিনি ছিলেন অতন্দ্রপ্রহরী। ইস্টবেঙ্গল( East bengal) হোক বা মোহনবাগান (Mohunbagan), তাঁর বল ক্লিয়ার হোক বা প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারকে কভার করা-এককথায় কোচের তিনি ছিলেন অন্যতম ভরসা। তাঁর অধিনায়কত্বেই দ্বিতীয়বার জাতীয় লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তিনি অনীত ঘোষ (Anit Ghosh)। এবার তিনি নাটকের (Drama) মঞ্চে। ফুটবলার (Footballer) অনীত এখন মঞ্চের অভিনেতা।
অতীতে তরুণ দে-র মত প্রাক্তনীর সুনাম ছিল দারুন গায়কীর জন্য।বিখ্যাত কোচ অমল দত্ত পরিচিত ছিলেন ভাল তবলাবাদক হিসেবে। সেলুলয়েডে বিশেষ অতিথি হিসেবে অভিনয় করেছেন সুব্রত ভট্টাচার্যের মত প্রাক্তন ফুটবলার। তবে মঞ্চে অভিনয়! বাংলার ফুটবলে কোনও ফুটবলারকেই মঞ্চ অভিনেতার ভূমিকায় দেখা মেলেনি। অনীত ঘোষ হলেন প্রথম যিনি এবার হাত পাকাচ্ছেন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে।
চন্দননগর সারঙ্গ ক্রিয়েশনস’ নাট্যদলের পরিচালনায় আগামি সপ্তাহে মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘নির্বাসিত নায়ক’। গল্প বাংলার ফুটবল নিয়ে। উঠে আসবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানেরও গল্প।প্রতিদ্বন্দ্বীতাও। আর সেখানে একজন ফুটবলারের ভূমিকাতেই থাকবেন অনীত ঘোষ। চরিত্রের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে তাঁর ফুটবল কেরিয়ারের। তবে এখানে তাঁর অমিত ঘোষ। চার্চিল ব্রাদার্সে অনীতের যাওয়ার সেই গল্পও থাকবে এই ‘নির্বাসিত নায়ক’-এ।
প্রথমবার মঞ্চ অভিনেতার ভূমিকায়। উত্তেজিত অনীত। টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, ” ব্যারাকপুরে অফিস যাওয়ার পথে পরিচালক পিয়াল ভট্টাচার্যের ফোন আসে। অভিনয়ের অফার দেয় আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু পিয়াল। প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলাম।”
সবুজ মাঠের ফুটবল পায়ে দাপানো নাকি খয়েরি মঞ্চে অভিনয় করা, কোনটা কঠিন? অনীতের সাফ কথা, ” এটা আমার কাছে প্রথম অভিজ্ঞতা। তাই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ভুল ত্রুটি চলছে। পরিচালক কখনও বকাঝকা করে, কখনও বুঝিয়ে বের করে আনছেন আমার অভিনয় সত্ত্বাকে। আমি এনজয় করছি।”
প্রথমবার মঞ্চে অভিনয় করা নিয়ে অনীত কতটা সিরিয়াস, তা স্পষ্ট নাটকের পরিচালক পিয়াল ভট্টাচার্যের কথায়। যেদিন নিজের অভিনয়ের মহড়া থাকছেনা, সেদিনও দলের রিহার্সাল দেখত হাজির হয়ে যাচ্ছেন অনীত। শিখছেন মঞ্চে’কম্পোজিশন’। জাতীয় লিগজয়ী ইস্টবেঙ্গল অধিনায়কের তকমা ঝেড়ে ফেলে অনীত এখানে অভিনয়ের বাধ্যছাত্র। কখনও কখনও ভুল হলে, নিজের পরিচালককে বলছেন, ” যেমনভাবে ফুটবল মাঠের কোচরা গালাগালি দিয়ে অপমান করে সেরা ফুটবলটা ফুটবলারদের থেকে বের করে আনে, তুমিও তাই করো।”
তবে পরিচালক পিয়ালের দাবি, ” ১৩ দিন ধরে মহড়ার আসছেন অনীত ঘোষ। উন্নতি করেছেন অনেকটাই। এত বড় ফুটবলার। তবুও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যাই হচ্ছেনা।”
মঞ্চে তাঁর সহ অভিনেতাদের তিনি দেখছেন ফুটবল কেরিয়ারের ‘টিমমেটস’-দের মত। তাঁরাও যারপরনাই সাহায্য করছে মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে অভিষেক হতে চলা ইস্টবেঙ্গলের জাতীয় লিগজয়ী অধিনায়ককে। ‘ অভিনেতা ‘ অনীতের দায়বদ্ধতা দেখে মুগ্ধ তাঁরাও।
কলকাতা: ডিফেন্সে তিনি ছিলেন অতন্দ্রপ্রহরী। ইস্টবেঙ্গল( East bengal) হোক বা মোহনবাগান (Mohunbagan), তাঁর বল ক্লিয়ার হোক বা প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারকে কভার করা-এককথায় কোচের তিনি ছিলেন অন্যতম ভরসা। তাঁর অধিনায়কত্বেই দ্বিতীয়বার জাতীয় লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তিনি অনীত ঘোষ (Anit Ghosh)। এবার তিনি নাটকের (Drama) মঞ্চে। ফুটবলার (Footballer) অনীত এখন মঞ্চের অভিনেতা।
অতীতে তরুণ দে-র মত প্রাক্তনীর সুনাম ছিল দারুন গায়কীর জন্য।বিখ্যাত কোচ অমল দত্ত পরিচিত ছিলেন ভাল তবলাবাদক হিসেবে। সেলুলয়েডে বিশেষ অতিথি হিসেবে অভিনয় করেছেন সুব্রত ভট্টাচার্যের মত প্রাক্তন ফুটবলার। তবে মঞ্চে অভিনয়! বাংলার ফুটবলে কোনও ফুটবলারকেই মঞ্চ অভিনেতার ভূমিকায় দেখা মেলেনি। অনীত ঘোষ হলেন প্রথম যিনি এবার হাত পাকাচ্ছেন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে।
চন্দননগর সারঙ্গ ক্রিয়েশনস’ নাট্যদলের পরিচালনায় আগামি সপ্তাহে মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘নির্বাসিত নায়ক’। গল্প বাংলার ফুটবল নিয়ে। উঠে আসবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানেরও গল্প।প্রতিদ্বন্দ্বীতাও। আর সেখানে একজন ফুটবলারের ভূমিকাতেই থাকবেন অনীত ঘোষ। চরিত্রের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে তাঁর ফুটবল কেরিয়ারের। তবে এখানে তাঁর অমিত ঘোষ। চার্চিল ব্রাদার্সে অনীতের যাওয়ার সেই গল্পও থাকবে এই ‘নির্বাসিত নায়ক’-এ।
প্রথমবার মঞ্চ অভিনেতার ভূমিকায়। উত্তেজিত অনীত। টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, ” ব্যারাকপুরে অফিস যাওয়ার পথে পরিচালক পিয়াল ভট্টাচার্যের ফোন আসে। অভিনয়ের অফার দেয় আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু পিয়াল। প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর চ্যালেঞ্জটা নিয়েই নিলাম।”
সবুজ মাঠের ফুটবল পায়ে দাপানো নাকি খয়েরি মঞ্চে অভিনয় করা, কোনটা কঠিন? অনীতের সাফ কথা, ” এটা আমার কাছে প্রথম অভিজ্ঞতা। তাই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ভুল ত্রুটি চলছে। পরিচালক কখনও বকাঝকা করে, কখনও বুঝিয়ে বের করে আনছেন আমার অভিনয় সত্ত্বাকে। আমি এনজয় করছি।”
প্রথমবার মঞ্চে অভিনয় করা নিয়ে অনীত কতটা সিরিয়াস, তা স্পষ্ট নাটকের পরিচালক পিয়াল ভট্টাচার্যের কথায়। যেদিন নিজের অভিনয়ের মহড়া থাকছেনা, সেদিনও দলের রিহার্সাল দেখত হাজির হয়ে যাচ্ছেন অনীত। শিখছেন মঞ্চে’কম্পোজিশন’। জাতীয় লিগজয়ী ইস্টবেঙ্গল অধিনায়কের তকমা ঝেড়ে ফেলে অনীত এখানে অভিনয়ের বাধ্যছাত্র। কখনও কখনও ভুল হলে, নিজের পরিচালককে বলছেন, ” যেমনভাবে ফুটবল মাঠের কোচরা গালাগালি দিয়ে অপমান করে সেরা ফুটবলটা ফুটবলারদের থেকে বের করে আনে, তুমিও তাই করো।”
তবে পরিচালক পিয়ালের দাবি, ” ১৩ দিন ধরে মহড়ার আসছেন অনীত ঘোষ। উন্নতি করেছেন অনেকটাই। এত বড় ফুটবলার। তবুও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যাই হচ্ছেনা।”
মঞ্চে তাঁর সহ অভিনেতাদের তিনি দেখছেন ফুটবল কেরিয়ারের ‘টিমমেটস’-দের মত। তাঁরাও যারপরনাই সাহায্য করছে মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে অভিষেক হতে চলা ইস্টবেঙ্গলের জাতীয় লিগজয়ী অধিনায়ককে। ‘ অভিনেতা ‘ অনীতের দায়বদ্ধতা দেখে মুগ্ধ তাঁরাও।