
কলকাতা: ঐতিহ্যের ডুরান্ড কাপের ১৩২তম সংস্করণ শেষ হল। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ডের ফাইনালে আরও একটা বড় ম্যাচ। স্বাভাবিক ভাবেই আকর্ষণ, উত্তেজনা ছিল আরও বেশি। আবেগের বড় ম্যাচে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে অনেক পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। এ মরসুমের আগে আটটি বড় ম্যাচই জিতেছিল মোহনবাগান। আন্ডারডগ তকমাই যেন অ্যাডভান্টেজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে স্নায়ুর চাপে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। দশ জনের মোহনবাগানও হারিয়ে দিল লাল-হলুদকে। একমাত্র গোলটি করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচের আপডেটের জন্য নজর রাখুন TV9Bangla Sports-এর এই লাইভ ব্লগে।
চ্যাম্পিয়ন: মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট
রানার্স: ইস্টবেঙ্গল
গোল্ডেন বুট- ডেভিড লালহানসাঙ্গা (মহমেডান স্পোর্টিং ৬ গোল)
গোল্ডেন গ্লাভ- প্রভসুখন গিল (ইস্টবেঙ্গল)
গোল্ডেন বল (টুর্নামেন্ট সেরা)- নন্দকুমার সেকর (ইস্টবেঙ্গল)
মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো এবং অধিনায়ক সুভাশিস বসুর হাতে শিমলা ট্রফি তুলে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী
রোলিং ট্রফি তুলে দিলেন চিফ অফ ডিফেন্স
ফেরান্দো-সাদিকুর হাতে ট্রফি তুলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে দশজনের মোহনবাগান হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। বিস্তারিত পড়ুন: দশে ‘মিলে’ করি জয়, ডার্বি জিতে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান
ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ দেলগাদোকে রেড কার্ড রেফারির। একের পর এক কার্ড বের করছেন রেফারি রাহুল গুপ্তা।
এক সঙ্গে তিনটি পরিবর্তন কার্লেস কুয়াদ্রাতের। প্লেয়ার পরিবর্তন নিয়ে অধিনায়ক খাবরার সঙ্গে আলোচনা কার্লেসের! কাকে পরিবর্তন করছেন, এই নিয়েই যেন আলোচনা।
অনিরুদ্ধ থাপা মাঠে নেই। জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। দশ জনের মোহনবাগানও ভয়ঙ্কর। দিমিত্রি পেত্রাতোসের সোলো রান। গোলও করলেন তিনিই। ৭১ মিনিটে ১-০ মোহনবাগান।
ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ বাড়িয়েছে। আরও একটি অনবদ্য সেভ মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশালের।
ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কোচকে হলুদ কার্ড রেফারি রাহুল গুপ্তা।
ম্যাচের ৬১ মিনিট। ট্যাকল করতে গিয়ে হাভিয়ের সিভেরিও মুখে পা অনিরুদ্ধ থাপার। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। ১০ জনে খেলতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের কাছে প্রায় আধঘণ্টা ‘অ্যাডভান্টেজ’।
আশিস রাইয়ের পরিবর্তে নামানো হল মনবীর সিংকে।
পরিবর্ত হিসেবে নামানো হল ইস্টবেঙ্গলের গত মরসুমের নায়ক ক্লেটন সিলভা। কোনও ‘পরিবর্তন’ হয় কিনা, সেই প্রত্যাশায় ইস্টবেঙ্গল শিবির।
সাদিকুকে ফাউল। সামনে সাউল ক্রেসপো। অসন্তুষ্ট ইস্টবেঙ্গল কোচ। মেজাজ হারিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক। তাঁকে হলুদ কার্ড।
ক্রেসপো মাঠে পড়ে। আমার্ন্দো সাদিকুর শর্টস টেনে ধরেন। ক্রেসপোকে হলুদ কার্ড। রেফারির সঙ্গে তর্ক করায় বোরহাকেও কার্ড।
এই নিয়ে দুটি ফ্রি-কিক পেল ইস্টবেঙ্গল। ‘বুদ্ধিদীপ্ত’ মুভের পরিকল্পনা। যদিও কোনও পরিকল্পনাই কাজে লাগলো না। পরমুহূর্তেই আরও একটা গোলের মুভ। বোরহার সেন্টারে মাথা ছোঁয়ালেই হত। পারলেন না। ফিরতি বলে শট করেছিলেন নন্দকুমার, ক্রসবারের এনেক ওপরে।
ইস্টবেঙ্গলে অস্বস্তি। জর্ডন এলসের চোট। তাঁকে তুলে নিলেন কোচ। নামানো হল পারদোকে।
নতুন করে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিলেন মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো এবং ইস্টবেঙ্গল মাস্টারমাইন্ড কার্লেস কুয়াদ্রাত।
ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা বারবার ফুটবল সংস্কৃতি তৈরির কথা বলে। প্রাক্তন ফুটবলাররাও এমন মন্তব্য করেন। সমর্থকরা চাইলেও কি সেই সংস্কৃতি তৈরির সুযোগ হয়? কলকাতা ফুটবলে মাঠে গিয়ে খেলার দেখার জন্য সমর্থকদের নিয়মের কড়াকড়ি। খালি হাতে প্রবেশ করলেই যেন ভালো! ডার্বিতে কড়াকড়ি আরও বেশি। বহুবছর পর টিফোহীন ডার্বি। দুই গ্যালারির কোথাও থেকে টিফো নামল না। মাঠ থেকে আমাদের প্রতিনিধি কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় ছবি সহ এমনটাই জানালেন।
এ বারের ডুরান্ড কাপে রেফারিং নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। কোচেরাও ঘুরিয়ে রেফারির দিকে আঙুল তুলেছেন। মরসুমের প্রথম ডার্বি পরিচালনা করেছিলেন হরিশ কুন্ডু। ফাইনালে পরিচালনার দায়িত্বে রাহুল গুপ্তা। ফেডারেশনের বর্ষসেরা সেরা রেফারির পুুরস্কার জিতেছেন এ বার।
চারিদিকে টিকিটের হাহাকার। শেষ মুহূর্তেও টিকিট খুঁজছেন সমর্থকরা। টিকিট যদি শেষ হয়ে গিয়েই থাকে, সেই দর্শকরা কই! উদ্যোক্তাদের ওপর উঠছে প্রশ্ন। ম্যাচ শুরুর আগের মুহূর্তে এই হল গ্যালারির চিত্র। ছবি তুলেছেন আমাদের প্রতিনিধি কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়।
মাঠে লাইন আপে ফুটবলাররা। তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মাঠে প্রবেশ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তথা বাংলার ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি এবং সেনার শীর্ষকর্তারা।
মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি। তাও আবার ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। টিকিট সমস্যা প্রথম ডার্বির মতোই। শেষ মুহূর্তেও সমর্থকরা আশায় যদি একটা টিকিট পাওয়া যায়। তারই অপেক্ষা। ছবি: তন্ময় প্রামানিক
ম্যাচ শুরু হতে এখনও দশ মিনিট। মরসুমের প্রথম ডার্বির পুনরাবৃত্তি নাকি প্রত্য়াবর্তন। নিজেদের মতো প্রত্যাশা নিয়ে সমর্থকরা চলেছেন মাঠে। ছবি: তন্ময় প্রামানিক
গ্য়ালারি অনেকটাই ফাঁকা। সমর্থকরা অনেকেই মাঠের পথে। হাতে সময় কম। দ্রুত পা চালিয়ে গ্যালারির পথে সমর্থকরা। ছবি: তন্ময় প্রামানিক
৩৩৯০ দিন পর জাতীয় স্তরের ট্রফি জেতার সুযোগ ইস্টবেঙ্গলের সামনে। শেষ বার ২০১২ সালে ফেডারেশন কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। এরপর থেকে আর জাতীয় স্তরের কোনও ট্রফি ঢোকেনি লাল-হলুদ তাঁবুতে। অন্য দিক, মোহনবাগান গত বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন।
ডুরান্ড কাপের ফাইনালে শেষ বার ২০০৪ সালে ডার্বি হয়েছিল। তেমনই কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে ডার্বি, ২০১০ সালে ফেডারেশন কাপ। সেই ম্যাচে ভাসুমের গোলে ১-০ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।
দু-দলের প্লেয়াররা ওয়ার্ম আপ শুরু করে দিয়েছেন। নন্দকুমার মাঠে ঢুকতেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বিশেষ আনন্দ। মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতিয়েছিলেন তিনিই।
ডার্বি শুরুর বাকি আর ৩৮ মিনিট। দেখে নিন মোহনবাগানের টিম লিস্ট।
🚨 TEAM NEWS 🚨
Your Starting XI for the Durand Cup Final 🙌🏻💚♥️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/ZLhpFW7Xaf
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 3, 2023
দেখে নিন ইস্টবেঙ্গল টিম
আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। বড় ম্যাচের জন্য প্রস্তুত যুবভারতী।
ডার্বি দ্বৈরথের জন্য তৈরি! ✊#IndianOilDurandCup #JoyEastBengal #EmamiEastBengal #KolkataDerby #EEBFCMBSG pic.twitter.com/4LximRK6LV
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) September 3, 2023
বাংলা ফুটবলের পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলেও ব্লকবাস্টার সানডে। তবে কাদের জন্য ফান-ডে হবে, তারই অপেক্ষা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ২০০৪ সালের পর ফের ডুরান্ডের ফাইনালে মুখোমুখি এই দুই দল। এ বারের ডুরান্ডে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল। মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। আজ কার দিন? লাইভ আপডেটের জন্য নজর রাখুন এই পেজে।