Emiliano Martinez : চিতল মাছের মুইঠ্যাতে কামড়, এমিকে রেঁধেবেড়ে খাওয়াল কলকাতা
মার্টিনেজের জন্য মশলাপাতিতে সামান্য বদল আনা হয়। রান্না করা হয়েছে লঙ্কার বিজ ফেলে। খাবারে কমিয়ে দেওয়া হয়ছিল সর্ষের পরিমাণ ।

কলকাতা : হলেনই বা আর্জেন্টিনার মানুষ। কলকাতায় আসবেন, আর বাঙালি খাবার পাতে পড়বে না, এমনটা তো হতে পারে না। অতিথি আপ্যায়নে বাঙালির সুনাম রয়েছে। বাঙালি যেমন খেতে ভালোবাসে তেমনই খাওয়াতে। পঞ্চব্যঞ্জন দিয়ে অতিথি আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখে না এ রাজ্যের মানুষ। এই আপ্যায়ন থেকে বঞ্চিত হলেন না আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজও (Emiliano Martinez)। দু’দিনের কলকাতা সফরে এসেছেন। সফরের প্রথমদিনই তাঁর পাতে পড়ল আলু পোস্ত, ইলিংশ মাছের পাতুরি, ডাব চিংড়ি, চিতল মাছের মুইঠ্যা-সহ আরও কত কী। সাজানো থালায় সুস্বাদু বাঙালি খাবার চেখে দেখে দেখলেন এমি। কামড় দিলেন মুইঠ্যায়। হাতে তুলে নিলেন ডাব চিংড়ি। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কী কী ছিল এমির পাতে? ছবিতে দেখা যাচ্ছে, টেবলে মাটির থালায় ভাত, পোলাওয়ের সঙ্গে একপাশে স্যালাড, ইলিশ মাছের পাতুরি, কষা মাংস, ডাব চিংড়ি, সন্দেশ, রসগোল্লা। মার্টিনেজের জন্য মশলাপাতিতে সামান্য বদল আনা হয়। রান্না করা হয়েছে লঙ্কার বিজ ফেলে। খাবারে সর্ষের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তিলের ব্যবহার করা হয়। সপ্তপদী রেস্তোরাঁর উপর দায়িত্ব ছিল এমির রসনা তৃপ্তির। ২ দিনের কলকাতা সফরে একাধিক জিভে জল আনা খাবার চেখে দেখার সুযোগ পেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
এমি যে পাত পেড়ে খাবেন না তা জানা কথা। কিছু পদ চেখে দেখেছেন। ক্রীড়াবিদদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হয়। এমিও নিজের ডায়েট নিয়ে সচেতন। কিন্তু ভোজনরসিকদের বাংলায় এসে সুস্বাদু খাবারের থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখা কি যায়? অল্প হলেও মুখে তুলতে হয়। এমির জন্য পঞ্চব্যঞ্জন রেঁধেছিলেন সপ্তপদীর শেফ রঞ্জন। টিভি৯ বাংলাকে শেফ রঞ্জন জানান, মারাদোনা যখন কলকাতায় এসেছিলেন তখনও আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে রেঁধে বেড়ে খাওয়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।





