AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mohun Bagan: বাহাত্তরেও স্বপ্নপূরণ হয়, বলছেন গৌতম সরকার

Gautam Sarkar on Mohun Bagan Ratna: ১৯৭২ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে পা গৌতমের। পাঁচ মরসুম কাটিয়ে মোহনবাগানে যাওয়া ১৯৭৭ সালে। ৮৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন সবুজ মেরুন জার্সিতেই।

Mohun Bagan: বাহাত্তরেও স্বপ্নপূরণ হয়, বলছেন গৌতম সরকার
Image Credit: twitter
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2023 | 6:56 PM
Share

সেই পেলে ম্যাচ এখনও চোখে ভাসছে ময়দানের। কসমস ক্লাবের বিরুদ্ধে একঝাঁক বাঙালি ফুটবলার অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছিলেন সে দিন। উল্টোদিকে পেলের মতো বিশ্বসেরা তারকা। তাও ওই ম্যাচে কেউ কেউ পেলের সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ৪৬ বছর পরও পেলে ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠলে যে দু-তিন জন বাঙালি ফুটবলার আলোচনায় ফেরেন, তাঁদের অন্যতম তিনি। সে দিন পেলেকে মোহনবাগান মাঝমাঠ পেরোতে দিচ্ছিলেন না ছোটখাটো চেহারার এক মিডফিল্ডার। ৪৬ বছর পর সেই গৌতম সরকার মোহনবাগান রত্ন পাচ্ছেন। শনিবার সন্ধ্যায় এই খবরে সিলমোহর পড়তেই টিভি নাইন যোগাযোগ করে গৌতমের সঙ্গে। ফোনের ওপারে আপ্লুত প্রাক্তন ফুটবলার বললেন, ‘বাহাত্তরেও স্বপ্নপূরণ হয়!’ বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

সাতের দশকের মোহনবাগান ও ময়দানের খোঁজ যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানেন ওই পেলে ম্যাচ টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গিয়েছিল সবুজ মেরুন শিবিরে। সুব্রত ভট্টাচার্যর মোহনবাগান সে বার ত্রিমুকুট জেতে। ময়দানের কোনও বড় ক্লাবের ওই প্রথম ত্রি-মুকুট প্রাপ্তি। গৌতম বললেন, ‘ওই বছরটা আমাদের কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। তার আগের কয়েক বছর মোহনবাগান সেভাবে পারফর্ম করতে পারছিল না। আমরা চেয়েছিলাম, সমর্থকরা যেন অতীতটা ভুলতে পারে। তাই হয়েছিল।’

১৯৭২ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে পা গৌতমের। পাঁচ মরসুম কাটিয়ে মোহনবাগানে যাওয়া ১৯৭৭ সালে। ৮৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন সবুজ মেরুন জার্সিতেই। বাহাত্তরে পা দেওয়া গৌতম বললেন, ‘১৯৭৬ সালে ইস্টবেঙ্গলের ক্যাপ্টেন হয়েছিলাম। ১৯৮৩ সালে মোহনবাগানের ক্যাপ্টেন। দুই প্রধানে নেতৃত্ব দেওয়ার এমন সুযোগ খুব বেশি ফুটবলার পায়নি। ঠিক যেমন ইস্টবেঙ্গলের লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পাওয়ার পরই মোহনবাগান রত্ন হলাম। ইস্ট-মোহন বরাবরই আমার হৃদয় জুড়ে রয়েছে। সেই ক্লাব যখন সম্মান জানায়, তৃপ্তি-প্রাপ্তি সবই একাকার হয়ে যায়।’

কার্যকরী সমিতির বৈঠকের আগেই মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ফোনে গৌতম সরকারকে জানিয়েছিলেন, এ বারের মোহনবাগান রত্ন আপনাকে দেওয়া হচ্ছে। গৌতম বললেন, ‘সারা জীবন তো শুধু ফুটবলই খেলেছি। এই ফুটবল খেলেই যতটুকু পরিচিতি। এত বড় প্রতিষ্ঠান যখন সম্মান জানায়, ফুটবল জীবন সার্থক বলে মনে হয়।’