East Bengal: তাঁর অনুরোধে ইস্টবেঙ্গলে গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর, প্রয়াত ক্লাবের প্রাক্তন সচিব
East Bengal Club News: সেই সু-সম্পর্কের জেরেই ক্লাবের বিপদে পাশে পেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকরকে। তার আগে লতা মঙ্গেশকরের প্রায় একডজন কনসার্ট করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে ইস্টবেঙ্গলে কনসার্ট প্রসঙ্গে লতা মঙ্গেশকর জানতে পারেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দল গড়তে অর্থের প্রয়োজন।
ক্লাবের কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থ জোগানের জন্য অনেক পন্থাই নেওয়া হয়। এখন যেমন সমর্থকদেরও অবদান থাকে। তাঁরাও ক্লাবের তহবিলে অর্থ সাহায্য করে থাকে। বহু চ্যারিটি ম্যাচেরও আয়োজন হত। তেমনই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে অর্থ জোগানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছিলেন কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে গেয়েছিলেন মেলোডি কুইন। এটা সম্ভব হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন সচিব সুপ্রকাশ গড়গড়ির সৌজন্যেই। প্রয়াত হলেন ইস্টবেঙ্গলের সেই দাপুটে সচিব। ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল সচিব সুপ্রকাশ গড়গড়ির। গত বছর News9-কে এক সাক্ষাৎকারে সে বিষয়ে জানিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব। আর সেই সু-সম্পর্কের জেরেই ক্লাবের বিপদে পাশে পেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকরকে। তার আগে লতা মঙ্গেশকরের প্রায় একডজন কনসার্ট করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে ইস্টবেঙ্গলে কনসার্ট প্রসঙ্গে লতা মঙ্গেশকর জানতে পারেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দল গড়তে অর্থের প্রয়োজন। ক্লাবের সহযোগিতায় লতা মঙ্গেশকর নিজেও বাড়তি উদ্যমী ছিলেন।
সাক্ষাৎকারে সে প্রসঙ্গে সুপ্রকাশ গড়গড়ি বলেছিলেন, ‘লতা দিদির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৮৫ সালে। কিশোর কুমার এবং তাঁর একটি কনসার্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেখান থেকেই লতা দিদির সঙ্গে দারুণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ১৯৮৮ সালে ক্লাবের আর্থিক পরিস্থিতি শোচনীয় ছিল। সকলেই চিন্তিত ছিলাম। হঠাৎ মনে হল, অর্থ তুলতে তাঁকে একবার বলে দেখলে কেমন হয়। রোভার্স কাপে টিমের সঙ্গে মুম্বই গিয়েছিলাম। সে সময় লতা দিদির বাড়ি যাই। আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন। তাই দেখা করাটা সমস্যা হয়নি। তাঁকে ইস্টবেঙ্গলের তরফে প্রস্তাব দিই। শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপনি কেন এটা করাতে চাইছেন। ক্লাবের পরিস্থিতি এবং অর্থ তোলার প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি রাজি হয়ে যান।’