চোখের জলে বিদায় রাজপুত্র

চোখের জলে বিদায় ফুটবল রাজপুত্রকে। বুয়েন্সা আয়ার্স শহরের প্রান্তে এক সেমেট্রিতে, মা-বাবার পাশেই সমাধিস্থ করা হল দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনাকে।

চোখের জলে বিদায় রাজপুত্র
অলিভোস ক্লিনিকের বাইরে মারাদোনার ভক্তরা (সৌজন্য - টুইটার)
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 7:18 AM

চোখের জল বাঁধ মানেনি, রাজপুত্রকে বিদায় জানাতেও মন চায়নি। কিন্তু কঠিন বাস্তবের কাছে বারবার হার মানতে হয়েছে। এবারও হল। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যুর খবরটা তিরের মত ফুটবল প্রমীদের বুকে বিঁধেছিল। সেই তির টুকরো টুকরে করে দিয়েছিল ফুটবল আবেগকে। এখনও ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে চলেছে। চোখ এখনও চিকচিক করছে, কিন্তু বাস্তব বদলে দেওযার মত ক্ষমতা যে নেই। বৃহস্পতিবার কোটি কোটি ভক্তকে চোখের জলে ভাসিয়ে, ইশ্বরের দেশে পাড়ি দিলেন ফুটবল ইশ্বর।

আরও পড়ুন কোর্টে হয়তো ফিরতে পারবেন না, মনে হয়েছিল সানিয়ার

ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আর্জেন্তিনার প্রেসিডেনসিয়াল প্যালেসে রাখা হয়েছিল মারাদোনার (Mradona) মরদেহ। সময় যত এগিয়েছে ভক্তদের ভিড় ততই বেড়েছে। একবার শেষ দেখার ইচ্ছে। প্রচুর মানুষ যেমন সুযোগ পেলেন আবার অনেক মানুষ সেই সুযোগ পেলেন না। একাধিকবার পরিস্থিতি হাতের বাইরে গেল। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনাও চোখে পরল। কিন্তু এই সংঘর্ষে প্রতিপক্ষকে দুমরে দেওয়ার রক্ত চোক্ষু ছিল না। ছিল স্বজন হারানোর হাহাকার। মারাদোনার মরদেহ প্রেসিডেনসিয়াল প্যালেসে থেকে নিয়ে যাওয়া হল বুয়েন্স আয়ার্স (Buenos Aires) শহরের প্রান্তে এক কবরস্থানে। যেখানে সমাধিস্থ করা হয়েছিল তাঁর মা-বাবাকে। পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে সমাধিস্থ করা হল রাজপুত্রকে(buried)। গোটা শহরের রাস্তায় তখন মানব বন্ধন।

আর্জেন্তিনার অন্দরের ছবির মতই ছিল নাপোলির ছবিও। ফুটবল কেরিয়ারের একটা বড় সময় মারাদোনা কাটিয়েছেন এই ক্লাবে। নাপোলির কাছে তিনি ঘরের ছেলে। বৃহস্পতিবার উয়েফা ইউরোপা লিগে নাপোলির ম্যাচের আগে, স্টেডিয়ামের সামনে মারাদোনাকে শেষ শ্রদ্ধা সমর্থকদের। জ্বলে উঠল ওয়াল অব ফায়ার। কেরিয়ারের মধ্য গগনে থাকা হোক বা খেলা ছাড়ার পর, মারাদোনা যে ছিলেন তৃতীয় বিশ্বের মানুষের প্রতিনিধি। শেষ যাত্রাতেও তিনি প্রমাণ করে গেলেন, ‘মারাদোনা মানুষের হৃদয়ে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।’