AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

East Bengal: নন্ধাকে তুলে দলবদলের বাজারে চমক দিল ইস্টবেঙ্গল

গত মরসুমে ওড়িশা এফসির হয়ে প্রায় সব ম্যাচেই খেলতে দেখা গিয়েছিল নন্ধাকে। মরসুমে বেশ কিছু গোলের পিছনে ছিল তাঁর পা। করেছিলেন মোট ১১টা গোল।

East Bengal: নন্ধাকে তুলে দলবদলের বাজারে চমক দিল ইস্টবেঙ্গল
Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2023 | 4:05 PM
Share

কলকাতা: আইএসএলে (ISL) যোগ দেওয়ার পর থেকে কোনও মরসুমেই ছাপ রাখতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। লিগ টেবলের তলানিতে থেকে মরসুম শেষ করে মোহনবাগানের চিরপ্রতিদ্বন্দী। টানা ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভালো টিম গড়ার পথে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছেন কর্তারা। সেই লক্ষ্যেই ওড়িশা এফসি থেকে নন্ধাকুমার সাকেরকে তুলে নিল লাল-হলুদ। ৩ বছরের চুক্তিতে সই করলেন তিনি। ২৭ বছরের উইঙ্গার নন্ধাকুমার টিমের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় লাল-হলুদের গভীরতা যে অনেকখানি বাড়বে, সন্দেহ নেই। গত মরসুমে ওড়িশার হয়ে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন তিনি। জাতীয় টিমের ফুটবলার ক্লাবকে সাফল্য দিতে সেরাটা দিয়েছিলেন। নন্ধাকুমারকে (Nandhakumar) পেতে ঝাঁপিয়ে ছিল আইএসএলের অন্য টিমগুলোও। কিন্তু সবাইকে পিছনে ফেলে ইস্টবেঙ্গলকেই বেছে নিলেন নন্ধাকুমার। বিস্তারিত TV9 Bangla Sportsএর এই প্রতিবেদনে।

শুধু কোচ স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে সই করানোই নয়, ভালো টিম গড়ার দিকেও ফোকাস করেছেন কর্তারা। মোহনবাগান গত কয়েক মরসুমে যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছে। তার অন্যতম কারণই হল, একই টিম ধরে রাখা। যে কারণে নন্ধাকুমারের মতো ফুটবলারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করা হচ্ছে। কুয়াদ্রাত বলেছেন, ‘নন্ধাকে টিমে নিতে পেরে ভালো লাগছে। গত মরসুমটা অসাধারণ পারফর্ম করেছে। ও এমন ফুটবলার, যে রোজ একটু একটু করে উন্নতি করে। কেরিয়ারের সেরা ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এখন। আইএসএল আর সুপার কাপে নিজেকে মেলে ধরেছিল। ওর উপস্থিতি আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াবে।’ ইমামি গ্রুপের তরফে দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল পরিবারে নন্ধাকে স্বাগত। গত মরসুমে ও দুরন্ত পারফর্ম করেছিল। যে কারণে ওকে নেওয়ার ব্যাপারে আমরা আগ্রহী হয়েছিলাম। আমরা আশাবাদী, কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে ইস্টবেঙ্গলে ও সেরাটাই দেবে।’

Nandhakumar

গত মরসুমে ওড়িশা এফসির হয়ে প্রায় সব ম্যাচেই খেলতে দেখা গিয়েছিল নন্ধাকে। মরসুমে বেশ কিছু গোলের পিছনে ছিল তাঁর পা। করেছিলেন মোট ১১টা গোল। গত মরসুমে আইএসএলে গোলদাতাদের তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন তিনি। দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্যই জাতীয় টিমে ডাকও পেয়েছেন। নন্ধা বলছেন, ‘দেশের যে কোনও ফুটবলারের ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবে খেলার স্বপ্ন থাকে। আমার সেই স্বপ্ন সত্যি হল। আমি কেরিয়ারের এমন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার এটাই সেরা সময়। যাতে নিজের খেলাকে আরও ধারালো করতে পারি। মজার কথা হল, ২০০১৭ সালে চেন্নাইয়ে খেলার সময় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই পেশাদার ফুটবলে প্রথম গোল করেছিলাম। ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহাসিক ক্লাবে খেলার সুযোগ পাচ্ছি, এটা একটা বড় ব্যাপার। লাল-হলুদ জার্সি পরার জন্য মুখিয়ে আছি।’

চেন্নাইয়ের ক্লাব হিন্দুস্থান ঈগলস থেকে উত্থান হয়েছিল নন্ধাকুমারের। ২০১৭ সালে চেন্নাই সিটি এফসির হয়ে আই লিগে অভিষেক হয় তাঁর। পরের বছর আইএসএলের ক্লাবগুলোর চোখে পড়ে যান। ২০১৮ সালে এক বছরের জন্য লোনেদিল্লি ডায়নামোজ়ে সই করেন। সেখান থেকে ওড়িশাতে এসেছিলেন নন্ধা। পাঁচ বছর ওড়িশাকে প্রচুর দিয়েছেন নন্ধা। ৭৩টা আইএসএল ম্যাচ খেলে ৯টা গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেন ৭টা গোল।