Neymar : আল হিলালে দুই বছরের চুক্তি, চলতি সপ্তাহেই সৌদিতে নেইমার
পিএসজি থেকে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালে যাওয়া পাকা নেইমারের। এই দলবদলের পরিবর্তে সৌদির ক্লাবটির থেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি পাচ্ছে প্যারিসের ক্লাবটি।

রিয়াধ : কথাবার্তা সব পাকা। প্য়ারিস ছেড়ে সৌদি আরবের পথে নেইমার (Neymar)। পিএসজিতে ছয়টা বছর কাটিয়ে নেইমার এ বার খেলবেন সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে। এর আগে আল হিলাল সই করিয়েছে ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার করিম বেঞ্জেমাকে। এ বার আরও এক তারকা ফুটবলার আল হিলালের (Al Hilal) জার্সি গায়ে চড়াতে চলেছেন। দুই বছরের চুক্তিতে পিএসজি থেকে সৌদির ক্লাবে যাচ্ছেন নেইমার। চলতি সপ্তাহেই সৌদির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে পেতে পিএসজিকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি দিতে হবে সৌদির ক্লাবটিকে। আল হিলালের প্রস্তাবে পিএসজি আগেই রাজি ছিল। নেইমারের তরফে সায় মিলতেই ফুটবলারের জন্য মেডিকেল টেস্টের স্লট বুক করে ফেলে ক্লাবটি। আজকের মধ্যেই মেডিকেল সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ফ্রান্সের ডেইলি এল ইকুইপের খবর অনুযায়ী, বছরে নেইমারের বেতন হবে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো। দুই বছরে অঙ্কটা ৩১০ মিলিয়ন ইউরো। এর পাশাপাশি পিএসজি তাঁকে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচ্ছে। পিএসজি ছেড়ে প্রথমে বার্সেলোনায় ফিরতে চেয়েছিলেন নেইমার। তবে বার্সা কোচ জাভি প্রথমেই নাক সিঁটকেছিলেন। পরে জানা যায়, চারগুণ বেতন কম ধার্য করে বার্সায় ফিরছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কারণ বার্সেলোনার এখন হাঁড়ির হাল। মাঝখান থেকে নেইমারকে দলে নেওয়ার জন্য পিএসজির কাছে মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দেয় আল হিলাল। এই ক্লাবটি লিওনেল মেসির জন্যও ঝাঁপিয়েছিল। সেখানে সাফল্য না পেলেও পিএসজি থেকে মেসির প্রাক্তন সতীর্থ নিয়ে যাচ্ছে তারা। আবেগে ভেসে না গিয়ে আর্থিক দিকটি চিন্তা করে নেইমারও সবুজ সঙ্কেত দিতে দেরি করেননি।
২০১৭ সালে দলবদলের বাজারে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন নেইমার। বার্সেলোনা থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সৌদির ক্লাবটিতে যান তিনি। এই ছয় বছরের মধ্যে ফরাসি জায়ান্টদের একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলেছেন নেইমার। তবে ট্রফি জেতাতে পারেননি। এর পাশাপাশি পিএসজিতে থাকাকালীন বহুদিন তাঁকে চোট আঘাত ভুগিয়েছে। অতীতে বহুবার ফ্লান্সের ক্লাবটি ছাড়ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এ বার আর গুঞ্জন নয়।





