বেঙ্গালুরু: পাকিস্তান ক্রিকেট এক সময় ধারাবাহিক ভাবে তুলে এনেছে পেস বোলার। বিশ্ব ক্রিকেটে যাঁরা ত্রাস ছিলেন। যে কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পেয়েছেন সাফল্য। ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসরাও সেই ধারারই ফসল ছিলেন। পাকিস্তানের রুক্ষ এবং পাটা পিচ যাঁদের রিভার্স সুইং মাস্টার করে তুলেছিল। নতুন পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের মুখ এখন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে বাঁ হাতি পেসার দ্রুততম ১০০ উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে তাঁর টিম সাফল্য না পেলেও শাহিন সুপারহিট। সেই শাহিনের সেরা বোলার কে? আক্রম কিংবা ওয়াকারের নাম শোনাচ্ছেন না তিনি। TV9Bangla Sports–এ বিস্তারিত।
শাহিদ আফ্রিদির মেয়েকে বিশ্বকাপের আগেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করেছেন শাহিন। বিশ্বকাপের শুরুতে সে ভাবে পারফর্ম করতে পারছিলেন না। কিন্তু এখন শাহিন নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাক বোলিংয়ের। সেই তিনি বলে দিচ্ছেন, ‘রেকর্ড তৈরিই হয় ভাঙার জন্য। পাকিস্তানের হয়ে রেকর্ড গড়তে পারছি, এটাই সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা। শাহিদ আফ্রিদি সব সময় আমাদের পরামর্শ দেন। উনি আমারও হিরো। আমি সব সময় চেষ্টা করি ওঁর মতো ক্রিকেট খেলতে।’
প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পা রাখার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের কাছে লজ্জার হারের পর চরম ধাক্কা খেয়েছিল বাবর আজমের টিম। টানা চারটে ম্যাচ হেরে শেষ চারের লড়াই থেকে কিছুটা হলেও দূরে সরে গিয়েছে গ্রিন আর্মি। তবে আফগানিস্তান পর পর অঘটন ঘটিয়ে হঠাৎ করেই সব অঙ্ক ঘেঁটে দিয়েছে। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া যদি পরের ম্যাচ হারে, আর পাকিস্তান জেতে, তা হলে শেষ চারে পৌঁছেও যেতে পারেন বাবররা। সেই স্বপ্নই এখন দেখছেন শাহিন। সেই সঙ্গে নিজেদের কাজটাও সারতে চান তাঁরা। চোটে জর্জরিত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শনিবার মাঠে নামবে পাকিস্তান। এই জিতলে ফের সেমির স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে যাবে।
শাহিন কিন্তু বলে দিচ্ছেন, ‘শেষ চারের স্বপ্ন সামনে রেখেই এগোতে চাইছি আমরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্রুত ম্যাচ জেতার পাশাপাশি নেট রানরেটটাও আমরা বাড়িয়ে রাখতে চেয়েছিলাম। সেটা হয়েছে। টিম হিসেবে আগের কয়েকটা ম্যাচে আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। এমন কিছু মারাত্মক ভুল করেছি, যার খেসারত দিতে হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ফেলেছি। ফিল্ডিংটা ভালো হলে আমরা আরও ভালো ফল করতে পারতাম।’
ভুল যতই করে থাকুন না কেন, সেখান থেকে বেরিয়েও আসতে চাইছেন শাহিনরা। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে ৮ পয়েন্ট হবে পাকিস্তানের। সে ক্ষেত্রে পয়েন্ট টেবলের ছবি এবং অঙ্ক দুইই পাল্টে যাবে। সেই স্বপ্নই মুঠোয় পুরতে চাইছেন বাবর-শাহিনরা।