
কলকাতা: ১৩বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তিনি। ২০০৬ সালে দোহা এশিয়ান গেমসে পেয়েছিলেন প্রথম পদক। বছর তিনেক আগেই বিশ্ব স্কোয়াশের প্রথম দশে ছিলেন। সেই সৌরভ ঘোষাল অবসর নিলেন পেশাদার সার্কিট থেকে। ২২ বছর ধরে দেশকে অসংখ্যবার গর্বিত করেছেন বাংলার ছেলে। সেই সৌরভের অবসরে শেষ হল একটা যুগের। নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ঘোষণা করেছেন অবসরের সিদ্ধান্ত। ৩৮ বছরের বাঙালি স্কোয়াশ প্লেয়ার ভারতে তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সাফল্য কম পাননি। পেশাদার সার্কিটে আর না নামলেও দেশের হয়ে খেলবেন, তা অবশ্য বলেছেন সৌরভ।
ময়দানের ব়্যাকেট ক্লাব থেকেই উঠে আসা সৌরভের। সেখান থেকে চেন্নাইয়ের অ্যাকাডেমিতে চলে যান। নিজেকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলার জন্য পরবর্তীকালে চলে যান লিডসে। জুনিয়র পর্যায় থেকেই পদকের খোঁজে নেমেছিলেন। নিরাশও করেননি। অনূর্ধ্ব ১৯ ব্রিটিশ জুনিয়র ওপেন জিতে চমকে দিয়েছিলেন সৌরভ।
সেই তিনিই বলেছেন, ‘২২ বছর আগে শুরু করেছিলাম যাত্রা। তখন ভাবিইনি পেশাদার স্কোয়াশ প্লেয়ার হিসেবে এত দূর যেতে পারব। সারা বিশ্বের নানা প্রান্তে ছুটেছি। অনেক বড় বড় টুর্নামেন্ট খেলেছি। তখন মনে হয়নি, একদিন থামতে হবে। পেশাদার সার্কিটে আর নামব না। গত দুটো দশক এই খেলাটা আমাকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে। কোচ হিসেবে অনেককে পাশে পেয়েছি, যারা না থাকলে আমি প্লেয়ারই হতে পারতাম না। পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছি।’
গত ২০ বছর ধরে সৌরভই ভারতীয় স্কোয়াশের মুখ। ২০০৬ সালে দোহা এশিয়ান গেমসে সিঙ্গলসে পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ। ওটাই ছিল স্কোয়াশ থেকে পাওয়া তাঁর এবং দেশের প্রথম পদক। গুয়ানঝাউ, ইঞ্চিয়ন, জাকার্তা থেকে গত বছরের হানঝাউ এশিয়ান গেমস পর্যন্ত পদকে ভরিয়ে দিয়েছেন দেশকে। ২০১৪ সালে টিম ইভেন্ট থেকে এনেছিলেন সোনা। এ বারও তাই এনেছেন।
কমনওয়েলথ গেমসেও পেয়েছেন পদক। বিশ্ব মিটের ডাবলস থেকেও পেয়েছেন সোনা, রুপো। সৌরভ বলেছেন, ‘পেশাদার সার্কিট থেকে সরে দাঁড়ালেও কেরিয়ারে পুরোপুরি ইতি টানছি না। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন খেলতে চাই। এখনও বিশ্বাস করি আমার মধ্যে কিছু লড়াই থেকে গিয়েছে। দেশের হয়ে আরও কিছু অর্জন করতে চাই।’