কলকাতাঃ “বাচ্চা, কাবিল বানো, কাবিল…কামিয়াবি তো শালি ঝাক মারকে পিছে ভাগেগি!” ফিল্ম থ্রি ইডিয়টসের এই সংলাপ তো কত মানুষের মোটিভেশন। কত মানুষের কাছে জীবনদর্শন। সত্যিই তো সাফল্য আসলে তো আপনি হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা। পিছু পিছু আসবে সবাই। যেমনটা ঘটছে নীরজের জীবনে। জ্যাভলিন থ্রোয়ারের পেছনে এখন লম্বা লাইন বিভিন্ন সংস্থার। সবাই তাঁকে বানাতে চান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। দরও বাড়ছে চড়চড় করে।
নয়াদিল্লি থেকে এখনও সোনিপতের উদ্দেশ্যে রওনা দেননি। এখনও। তার মধ্যে নীরজের জীবনে সুনামির মত আছড়ে পড়ছে বহুজাতিক সংস্থার আবদার। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে হবে। ইতিমধ্যেই তিনটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া। শেভিং কিট প্রস্তুকারক সংস্থা জিলেট, একটি মোবাইল সংস্থা ও প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থা মাসল ব্লেজের।
ইতিমধ্যেই যে সংস্থাগুলি নীরজকে পেতে চায়, তারা হল- অনলাই অ্যাপ বাইজু, টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা এমআরএফ ও মহিন্দ্রার মত নামী কোম্পানি। তালিকায় এমন কয়েকটি সংস্থা আরও রয়েছে যাঁরা আগে কাজ করেছেন সচিন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মত তারকাদের সঙ্গে।
নীরজের মার্কেটিং টিমের সঙ্গে যুক্ত একজন বলছিলেন, “আগে নীরজ বিজ্ঞপন পিছু ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা আয় করত। এখন সোনা জয়ের পর এক লাফে বেড়ে গিয়েছে ৩ কোটি। আমার মনে হয় আরও অনেক সংস্থা এগিয়ে আসবে নীরজকে ব্র্যান্ডের মুখ করতে। কয়েকদিনের মধ্যে বিজ্ঞপন জগতে ব্র্যান্ড নীরজ প্রতিষ্ঠা পাবে ।”
এতো গেল ব্র্যান্ড নীরজের কথা। ইতিমধ্যে আর্থিক পুরস্কারমূল্যও ১০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। একনজরে দেখে নিন, তাঁর পাওয়া পুরস্কারের অর্থমূল্য।
সোনার ছেলে নীরজ এখন বিজ্ঞাপন জগতেও ঝড় তুলছেন। ব্র্যান্ড নীরজে এখন বাজি রাখছে নামী সংস্থাগুলি।