রক্তিম ঘোষ
ইন্দোর ও কলকাতাঃ কয়েকশো মাইল দূরে ইতিহাস(WIMBLEDON) গড়ছিলেন সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়(SAMIR BANERJEE)। আর রবিবার বিকেল থেকে সেই দিকেই চোখ ছিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর ও কলকাতায় থাকা তার পরিবারের। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে থাকেন সমীরের জেঠু রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইপোর খেলায় উচ্ছ্বসিত তিনি। নিউজার্সিতে পরিবারের(BENGALI) সঙ্গে কথাও হয়েছে জেঠুর। জানিয়েছেন ভাইপোর জন্য শুভেচ্ছাও। ইন্দোরে যখন ভাইপোর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জেঠু, কলকাতায় তখন সমীরের দাদু দিবাকর চট্টোপাধ্যায়ও আবেগপ্রবণ নাতির সাফল্যে।
ভারতীয় সময় সন্ধে নাগাদ সমীরের হাতে যখন উইম্বলডন জুনিয়রের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জ্বলজ্বল করছে, তখন কয়েকশো মাইল দূরে ইন্দোরে নিজের ল্যাপটপে কাজে ব্যস্ত জেঠু রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজের মাঠেই অনলাইনে নজর রাখছিলেন ভাইপোর খেলার দিকে। ভাইপো ম্যাচে এগোচ্ছেন, আর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। সমীরের বাবা কুনালবাবুর তিন ভাই। তিনি সবার ছোট। মেজভাই থাকেন আমেরিকাতেই। আর বড় ভাই রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন ইন্দোরে। ২০১৫ সালে কলকাতায় শেষ যেবার এসেছিলেন সমীর, তখন কলকাতাতে মিলিত হয়েছিলেন তিন ভাই। তখন সমীর মাত্র ১১ বছরের। সেবার সাউথ ক্লাবে ভাইপোর খেলার কথআ পরিষ্কার মনে রয়েছে জেঠুর। রবিবার ভাইপো সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাস গড়ার পর ভাই কুনালকে শুভেচ্ছার ইমেল পাঠান রাহুলবাবু। মূলত ইমেলেই যোগাযোগ করেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেচ্ছাবার্তার কয়েক মিনিটের মধ্যে সমীরের মা উষা দেবীর ছোট্ট প্রতিক্রিয়া, “আমরা এটা আশাই করিনি।” এবার কলকাতায় সমীর এলে, সাফল্যের জন্য তাঁকে জড়িয়ে ধরতে চান জেঠু।
কলকাতায় পরিবারের তেমন কোনও সদস্য থাকেন না। সমীরের বাবা কুনালবাবুর মামা থাকেন কলকাতার লেক গার্ডেন্সে। দিবাকর চট্টোপাধ্যায়। তবে অবসর নেওয়ার পর তিনিও এখন কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা নন। মাঝেমধ্যে কলকাতায় নিজের বাড়িতে থাকেন। না হলে কখনও ছেলের কাছে, কখনও বা মেয়ের কাছে ঘুরতে যান। কখনও বা কল্যাণীতে। রবিবার নাতি সমীরের ইতিহাস গড়া দেখেছেন কল্যাণীর বাড়িতে বসেই। ফোনে ধরা হলে দাদু দিবাকর চট্টোপাধ্যায়ের চোখের সামনে ভেসে উঠছিল, শেষবার সমীরের কলকাতা সফরের ছবি।
TV9 বাংলা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে দিবাকরবাবুর প্রতিক্রিয়া, পরিবারের প্রথম কেউ পেশাদারভাবে খেলাধূলার জগতে। দাদু দিবাকর বলছিলেন,”ছোটবেলা থেকেই অ্যাক্টিভ সমীর। টেনিসের পাশাপাশি দারুন টেবল টেনিসও খেলতেন সমীর।”
করোনা সংক্রমণ কমলেই কলকাতায় আসবেন সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অপেক্ষাতেই এখন তাঁর পরিবার।