
স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) কলকাতা সেন্টার থেকে অতীতেই অনেক কৃতী অ্যাথলিট উঠে এসেছেন। তেমনই আলাদা করে বলতে হয় তিরন্দাজির কথা। লিম্বা রাম এক উজ্জ্বল নাম। দীপিকা কুমারী, অতনু দাস, বোম্বাইলা দেবীরাও প্র্য়াক্টিস করেছেন সাই কলকাতা সেন্টারে। এ বার আলোচনায় দুই প্রতিভাবান তিরন্দাজ। সাই কলকাতা সেন্টারের তিরন্দাজ সাহিল রাজেশ যাদব সদ্য জার্মানিতে অনুষ্ঠিত FISU ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে একটি সোনা জিতেছেন ও রুপো এনেছেন। আর এক তিরন্দাজ শ্রে ভরদ্বাজ মার্কিন মুলুকে বিশ্ব পুলিশ ও ফায়ার গেমসে সোনার হ্যাটট্রিক করেছেন।
এ দিন কলকাতা সাই সেন্টারে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাহিল রাজেশ যাদব বলেন, ‘ফাইনালের মুহূর্তটা খুবই চাপের ছিল। কারণ, প্রত্যেকটা নিশানাই সেরা হতে হত। শুধু নিজের প্র্যাক্টিস, এতদিন কোচ হরেশ কুমার যা শিখিয়েছেন, তাতে ভরসা রেখেছিলাম। সেরা অনুভূতি ছিল, যখন পোডিয়ামে উঠলাম, জাতীয় পতাকা উড়ছিল, সেই মুহূর্তটা কোনওদিন ভুলব না। কোচেরা বলেছিলেন, সোনা জেতাটা কতটা জরুরি। মনসংযোগ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।’
একটা সময় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। খেলতেনও। কে জানে, খেললে হয়তো হ্যাটট্রিকও করতেন। তবে সোনার পদকের হ্যাটট্রিক করেছেন তিরন্দাজিতে। সোনার হ্যাটট্রিক করা ২৩ বছরের শ্রে ভরদ্বাজ বলছেন, ‘তিনটে ভিন্ন পরিস্থিতিতে সোনা জেতা কঠিন পরীক্ষা ছিল। তবে তিনটি টুর্নামেন্টেই সেরা হতে পেরেছি। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি, এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে।’ সাই কলকাতা সেন্টারে প্র্যাক্টিসের সুযোগকেও কৃতিত্ব দিতে ভুলছেন না। শ্রে-র কাছে চ্যালেঞ্জটা ছিল আরও বেশি। কারণ, আধো-আলোতেও একটি টুর্নামেন্ট খেলতে হয়েছে। সেটাই টুর্নামেন্টের নিয়ম। সে কারণেই তিন ফরম্যাটের কথা বলেছেন।
এই দু-জনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কলকাতা সাই সেন্টারের রিজিওনাল ডিরেক্টর, শ্রীমতি অমর জ্যোতি। বলেন, ‘এটা শুধু ওদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, কলকাতা সাই আর্চারি এক্সলেন্স সেন্টারের গর্বের ইতিহাসও রয়েছে। সাহিল এবং শ্রে-র সাফল্য় সেই ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। ওদের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। এই সাফল্য এখানকার আরও অনেক তরুণ প্রতিভাকে প্রেরণা জোগাবে।’