TOKYO OLYMPICS 2020: অলিম্পিক পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এক সেপাই
Summer Olympics 2020: পদক জয় থেকে মাত্র ১ ধাপ দূরে তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর সামনে উজবেকিস্তানের বাখোদির জালোলোভ।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকালের পর এক বক্সারকে ঘিরে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছে দেশবাসী। তিনি সতীশ কুমার (Satish Kumar)। পদক জয় থেকে মাত্র ১ ধাপ দূরে তিনি। জামাইকার রিকার্ডো ব্রাউনকে ৪-১ উড়িয়ে টোকিও গেমসের (Tokyo Games) শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছেন সতীশ। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর সামনে উজবেকিস্তানের বাখোদির জালোলোভ। তাঁকে হারালেই নিশ্চিত হবে পদক। তবে চ্যালেঞ্জটা অনেক কঠিন। ৩২ বছরের সতীশ যদিও ভয়ডরহীন মেজাজেই রয়েছে। প্রতিপক্ষ যতই কঠিন হোক, সতীশ নিজের লক্ষ্যে স্থির।
কিন্তু কে এই সতীশ? কী করেই বা তাঁর উত্থান? উত্তরপ্রদেশের বুলান্দশাহরের এক কৃষক পরিবারের ছেলে। সতীশরা তিন ভাই। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছেন পরিবারের অর্থিক অভাব। এক দাদা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তাঁকে দেখেই সেনার চাকরিতে আসতে চান সতীশ কুমার। ছোটবেলায় পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে ক্রিকেট আর হকি খেলতেন। তবে খেলাধূলাকে কখনই পেশা বানাতে চাননি তিনি। বরং লক্ষ্য ছিল সেনার চাকরি। ১৯ বছর বয়সে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়।
সেনাবাহিনীতে সিপাইয়ের চাকরি পান সতীশ। উত্তরাখণ্ডের রানিখেতে তাঁর পোস্টিং হয়। সেখানেই কয়েকজন বক্সিং কোচের নজরে আসেন সতীশ। ভালো উচ্চতার জন্য তাঁকে বক্সার বানাতে চান অনেকে। বক্সিং মানে সতীশ বুঝতেন ডব্লু ডব্লু ই। তাই শুরুতে সে রকম আগ্রহ দেখাননি। তবে পরে রাজি হয়ে যান। আর তাতেই বাজিমাত। ১৯ বছর বয়সেই পেশাদার বক্সিংয়ে আসেন। স্থানীয় এবং রাজ্য স্তরে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে নজর কাড়েন। দু বছরের মধ্যেই জাতীয় স্তরে অভিষেক হয় সতীশের। ২০১১ তে সিনিয়র জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জেতেন। পরের বছরই ফাইনালে প্রবীম কুমারকে হারিয়ে সোনা জেতেন। ২০১৪ এবং ২০১৫তে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জেতেন সতীশ। চোটের জন্য গত রিও অলিম্পিক থেকে ছিটকে যান। ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে রুপো জেতেন সতীশ। গত বছর টোকিও অলিম্পিকে ৯১ কেজি বিভাগে ছাড়পত্র পান। অবসর সময়ে গান শুনতে ভালোবাসেন।
কোয়ার্টার ফাইনালে সতীশের প্রতিপক্ষ বাখোদির জালোলোভ দুরন্ত ছন্দে আছেন। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আজেরবাইজানের বক্সারকে ৫-০ উড়িয়ে দিয়েছেন। উজবেক জালোলোভ এই মহূর্তে এশিয়া এবং বিশ্বের সেরা বক্সার। উজবেক বক্সারকে কখনও হারাতে পারেননি সতীশ। গত ইন্ডিয়া ওপেনে অবশ্য জালোলোভের বিরুদ্ধে ভালো লড়াই চালিয়েছিলেন। অতীত নিয়ে ভাবতে চান না সতীশ কুমার। উজবেক বক্সারকে হারিয়ে বরং পদক নিশ্চিত করাই তাঁর পাখির চোখ।
অলিম্পিকের আরও খবর জানতে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০