
কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চোখে পড়ছিল বড় বড় ব্যানার। লিওনেল মেসির ছবি। নীচে লেখা G.O.A.T। আর তার নীচে লেখা, A Satadru Dutta Initiative. এই শতদ্রু দত্তই গত কয়েকমাস ধরে কলকাতা তথা বাংলাকে মেসি-র স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ভগবানকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। আর শনিবার সেই শতদ্রুই হলেন ‘ভিলেন’। রাজনৈতিক নেতা থেকে দর্শক, প্রত্যেকের মুখে শতদ্রুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর গ্রেফতারও করা হয়েছে তাঁকে।
কে এই শতদ্রু?
হুগলি জেলার রিষড়ার বাসিন্দা শতদ্রু। কেরিয়ারের শুরুতে ফিনান্স ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাজ করতেন তিনি। কিন্তু খেলাধূলা, বিশেষত ফুটবল নিয়ে শতদ্রুর আগ্রহ ছিল প্রবল। আর সেই ‘প্যাশন’টাই একটা সময়ে ‘ফুলটাইম’ পেশা হিসেবে নেন শতদ্রু। তিনি ঠিক করে ফেলেন আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্কৃতির ছোঁয়া তিনি কলকাতা তথা ভারতে ছড়িয়ে দেবেন। সেই লক্ষ্যেই একের পর এক ফুটবলারকে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
শতদ্রুর সংস্থার নাম, ‘আ শতদ্রু দত্ত ইনিশিয়েটিভ’। ওই সংস্থাই শতদ্রুর একের পর এক স্বপ্নের প্রজেক্টে সাফল্য এনে দিয়েছে। তিনি পেশায় একজন স্পোর্টস প্রোমোটার এবং ইভেন্ট অর্গানাইজারও বটে। শুধু মেসি নয়, পেলে, মারাদোনা ও কাফুকেও ভারতে এনেছেন এই শতদ্রুই। এভাবেই তাঁর উত্থান।
শ্রীরামপুরের হলি হোম স্কুলে পড়াশোনা করতেন শতদ্রু। ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলতেন তিনি। এক সময় প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করতেন। নিজের জামাইবাবুর সঙ্গে ইভেন্টের কাজ শুরু করেন তিনি। পরে সেই কাজ একাই আরও এগিয়ে নিয়ে যান। নিজের বাড়ির ছাদেই বানিয়ে ফেলেছেন ফুটবল মাঠ। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মেসিকে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এক লহমায় স্বপ্ন বদলে গেল দুঃস্বপ্নে।