কথা দিয়ে কি কথা রাখতে পারল না ওলা ইলেকট্রিক? ক্রেতাদের অভিযোগ তো তেমনই। সংস্থার সদ্য লঞ্চ ও ডেলিভার্ড হওয়া ইলেকট্রিক স্কুটারে একাধিক ফিচার্স নেই, এমনই অভিযোগ করেছেন কাস্টোমাররা। চলতি সপ্তাহেই ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারের ডেলিভারি শুরু হয়েছে। বুধবারই ওলা ইলেকট্রিকের (Ola Electric) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ে প্রথম ১০০টি ওলা এস১ (Ola S1) স্কুটার ডেলিভার করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর ওলা হেডকোয়ার্টার থেকে একটি বিশেষ ইভেন্টের মধ্যে দিয়ে গাড়ির প্রথম ডেলিভারি অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে ওলার প্রতিষ্ঠাতা ভাবিশ আগরওয়ালও উপস্থিত ছিলেন।
বেঙ্গালুরুর ওই বিশেষ ইভেন্টে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন প্রায় ৪০ শতাংশ কাস্টোমার, যাঁরা ওলা এস১ প্রি-অর্ডার করেছিলেন। তাঁদের মধ্যেই তিন জন কাস্টোমার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন, “প্রতিশ্রুতি দেওয়া বেশ কিছু ফিচার্স ওলা এস১ বাইকে দেওয়া হয়নি। সেই তালিকায় রয়েছে মোবাইল অ্যাপ, হিল হোল্ড, ক্রুজ় কন্ট্রোল, ভয়েস কমান্ড এবং ব্লুটুথ।” সেই ক্রেতারা আরও জানিয়েছেন যে, এখনও এক মাসের বেশি সময় লাগতে পারে ওভার দ্য এয়ার সফ্টওয়্যার আপডেট পেতে।
যদিও এর আগেই ওলা ইলেকট্রিকের চিফ মার্কেটিং অফিসার বরুণ দুবে জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু ফিচার্স পরবর্তীতে ওভার দ্য এয়ার পাঠানো হবে। আর সেই সব ফিচার্সই মোবাইল অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার সংক্রান্ত। যার জন্য বাইকটি সংস্থার কাছে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। গ্রাহকের কাছে ই-বাইকটি পৌঁছে গেলেও সেই সব ফিচার্স পাঠিয়ে দেওয়া যাবে ওলা ইলেকট্রিক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। কিন্তু কেন এমনতর সমস্যার সৃষ্টি হল? সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ইলেকট্রিক বাইক হাতে পেতে ক্রেতারা এক প্রকার হন্যে হয়ে উঠেছিলেন। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল। সে কথাও রাখতে পারেনি ওলা ইলেকট্রিক।
এদিকে সংস্থার তরফ থেকে একটি নতুন দু’চাকা গাড়ির কারখানা তৈরি করা হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। ওলা ইলেকট্রিক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দাবি করেছে, বিশ্বের সবথেকে বড় ইলেকট্রিক স্কুটার কারখানা হতে চলেছে সেটি। সেখানে প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন করে স্কুটি তৈরি করা হবে। অক্টোবরেই এই বিষয়ে ওলা ইলেকট্রিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ফ্যালকন এজ এবং সফ্টব্যাঙ্কের কাছ থেকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে তারা।
এই ইলেকট্রিক স্কুটার সরাসরি গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে একটি অপ্রচলিত পদ্ধতি গ্রহণ করেছে ওলা ইলেকট্রিক। অটোমেটিভ সংস্থাগুলি সচরাচর যে প্রচলিত পদ্ধতিতে বাইক, স্কুটার ডেলিভারি করে থাকে, তা হল ব্রিক অ্যান্ড মর্টার মডেল। এই মডেলে গ্রাহককেই শোরুমে গিয়ে বাইক সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু ওলা ইলেকট্রিক সেই পথে হাঁটেনি। ক্রেতার বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ওলা এস১।