২০২১ সালের প্রথম এবং শেষ ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে আগামী ২৬ মে, ভারতে কি দেখা যাবে এই বিশেষ চাঁদ?

Sohini chakrabarty |

May 18, 2021 | 1:15 PM

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মে যে চাঁদ দেখা যাবে, চলতি বছরে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় চাঁদ।

২০২১ সালের প্রথম এবং শেষ ব্লাড মুন দেখা যাবে আগামী ২৬ মে, ভারতে কি দেখা যাবে এই বিশেষ চাঁদ?
লালচে চাঁদ।

Follow Us

আগামী ২৬ মে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এইদিন যে চাঁদ আকাশে দেখা যাবে, তাকে বলা হবে ‘সুপার মুন’ বা ‘ব্লাড মুন’। পৃথিবীর ছায়াঘেরা অংশে যখন চাঁদ প্রবেশ করবে এবং চাঁদের গায়ে একটা লালচে আভা দেখা দেবে, তখন তাকে বলে হয় ‘ব্লাড মুন’। ২০২১ সালে এই প্রথমবার এবং এটাই শেষবার দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’।

পৃথিবীর কোথায় কখন দেখা যাবে এই ‘লালচে চাঁদ’?

নাসা সূত্রে খবর, মোট তিন ঘণ্টা সাত মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে টোটাল লুনার ইক্লিপস বা ২০২১ সালের ‘ব্লাড মুন’। এর মধ্যেই চলবে আংশিক এবং পূর্ণগ্রাস গ্রহণ। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে মাত্র ১৫ মিনিট। ভারতীয় সময় ২৬ মে বেলা ২টো ১৭ মিনিটে শুরু হবে গ্রহণ। ভারতীয় সময় ৪টে ৪১ মিনিট নাগাদ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এরপর বিকেল ৪টে ৪৮ মিনিটে একদম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে চন্দ্রগ্রহণ। ৪টে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত এই সর্বোচ্চ পর্যায় স্থায়ী হবে। এরপর সন্ধে ৭টা ১৯ মিনিটে গ্রহণ শেষ হবে।

ভারতে কি দেখা যাবে ‘ব্লাড মুন’?

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, penumbral lunar eclipse হিসেবে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ভারতে। মূলত, গ্রহণ চলাকালীন লালচে কমলা রঙে এবং বেশ বড় আকারে দেখা যায় এই চাঁদ। সেই কারণেই একে বলা হয় ‘ব্লাড মুন’। অন্যদিকে আর পাঁচটা সাধারণ দিনে চাঁদকে যে আকার-আয়তনে দেখা যায়, তার থেকে কিছুটা বড় আকারে দেখা গেলে তাকে বলা হয় সুপারমুন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মে যে চাঁদ দেখা যাবে, চলতি বছরে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় চাঁদ।

penumbral lunar eclipse কাকে বলে?

যখন পৃথিবীর, চন্দ্রপৃষ্ঠে সূর্যের আলো পৌঁছতে আংশিক ভাবে বাধা দেয় এবং তার প্রভাবে চাঁদের কিছুটা অংশ পৃথিবীর বাইরের অংশের ছায়া (penumbra)- য় ঢাকা পড়ে, তখন তাকে বলা হয় penumbral lunar eclipse। এক্ষেত্রে চাঁদের লালচে আভা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের তুলনায় অনেকটাই কম দেখা যায়।

পৃথিবীর কোন কোন অংশে দেখা যাবে ব্লাড মুন?

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, অ্যাটলান্টিক এবং আন্টার্কটিকায় দেখা যাবে এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। অন্যদিকে নরওয়েরর ওয়েবসাইট টাইম অ্যান্ড ডেট- এর প্রতিবেদন অনুসারে হনলুলু, হাউস্টন, লস এঞ্জেলস, ম্যানিলা, মেলবোর্ন, স্যান ফ্র্যান্সিসকো, সিওর, সাংহাই এবং টোকিও থেকে দেখা যাবে এই ‘ব্লাড মুন’।

এছাড়াও আংশিক ভাবে ব্যাংকক, শিকাগো, ঢাকা, মন্ট্রিল, নিউ ইয়র্ক, টরন্টো এবং ইয়াংগং থেকেও দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ। পরবর্তী ব্লাড মুন দেখা যাবে ২০২২ সালের ১৬ মে। ওই দিনও টোটাল লুনার ইক্লিপস- ই দেখা যাবে।

আরও পড়ুন- ধেয়ে আসা গ্রহাণুদের ঠেকানোর কোনও প্রযুক্তি নেই পৃথিবীতে, স্বীকারোক্তি নাসার

যখন পৃথিবী সম্পূর্ণভাবে সূর্যালোক চাঁদে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বাধা দেয় এবং সেই সময় চন্দ্রপৃষ্ঠের লাল রঙের আভা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রতিচ্ছবি তৈরি করে। এর ফলেই খালি চোখে চাঁদের রঙ লালচে লাগে। টেলিস্কোপ দিয়ে দেখতে পারলে সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যায় এই ‘ব্লাড মুন’।

Next Article