২২ এপ্রিল ‘আর্থ ডে’। অর্থাৎ ধরিত্রী দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে এই দিনে একটিই বার্তা দেওয়া হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি করে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলে যে এই ধরিত্রীকে রক্ষা করার দায় আমাদেরই। আর তাই পরিবেশের যথেচ্ছ নিধন না করে বরং তাকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। নয়তো যে পৃথিবীর বুকে আমরা এত বছর ধরে বসবাস করছি, তা আর মনুষ্য বাসযোগ্য থাকবে না।
১৯৭০ সালে প্রথম ২২ এপ্রিল দিনটিতে ‘আর্থ ডে’ পালন করা হয়েছিল। গবেষকরা বলেন, এই দিনটা আর পাঁচটা দিনের মতো অন্যকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা পাঠিয়ে বসে থাকার দিন নয়। বরং আর্থডে ডট অর্গ (Earthday.org) এই দিনের জন্য একগুচ্ছ অনুষ্ঠানসূচি সাজিয়ে রাখে। বিশ্বের ১৯২টি দেশের জন্যই এই সূচি তৈরি হয়। যাকে বলে একদম হাতেকলমে কাজ করে ‘কল অফ অ্যাকশন’ বুঝিয়ে দেওয়া।
কিন্তু এই আর্থ ডে বা ধরিত্রী দিবসে আপনি ঠিক কী কী করতে পারেন?
সবার আগে নিজেকে সচেতন করুন। নাহলে অন্যের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারবেন না। পৃথিবীর ক্ষতি হয় এমন কাজ অন্তত নিজে চেষ্টা করুন না করার। তার মধ্যে কিন্তু প্লাস্টিকের ব্যবহার না করা থেকে দূষণ কমানো সবই থাকতে পারে। মনে রাখবেন যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলে কিংবা নিজের দৈনিক কাজকর্মের মাধ্যমে পৃথিবীর ক্ষতি করলে, একদিন না একদিন ধরিত্রী জবাব দেবেই। ভয়ঙ্কর ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে পারেন। যার প্রভাব সততই ভয়ানক।
ফেসবুকের তরফেও আর্থ ডে উপলক্ষ্যে একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেনের আয়োজন করা হয়েছে। করোনা আবহে অতিরিক্ত সচেতনতার প্রয়োজন। তাই বিশ্ববাসীকে বার্তা দিতে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমেই গোটা ব্যাপারটা সম্পন্ন হবে। EARTHDAY.ORG- এর সঙ্গে যৌথ ভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ফেসবুক। উদ্দেশ্য একটাই। ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ অর্থাৎ আবহাওয়া এবং জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন এবং তার ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে মানজাতিকে বিস্তারিত তথ্য জানানো। আর সময় থাকতে তাঁদের সচেতন করা।
আরও পড়ুন- ‘মানস’ অ্যাপ, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নতুন অ্যাপ আনল কেন্দ্রীয় সরকার
এছাড়া ফেসবুকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে তাদের সমস্ত কার্যকলাপ এখন ১০০ শতাংশ পুনরায় নির্মাণ করা যায় এমন শক্তির উপর নির্ভর করেই হচ্ছে। আর্থে ডে- র দিন Oculus- এর মাধ্যমে একটি দারুণ স্লাইড শো- এর আয়োজন করেছে ফেসবুক। যেখানে দর্শকরা Machu Picchu, Antarctica, Kenya, Borneo, Raja Ampat এইসব জায়গায় ভার্চুয়াল দর্শন করতে পারবেন। এর পাশাপাশি ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সঙ্গেও বিভিন্ন জাতীয় উদ্যানের ভার্চুয়ার ট্যুর আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে ফেসবুক।