SIM Card ব্যবহার নিয়ে 1 অক্টোবর থেকে নতুন নিয়ম, না মানলেই 10 লাখ টাকা জরিমানা

SIM Card Latest News: Airtel এবং Jio-র মতো টেলিকম সংস্থাগুলিকে সেই সব দোকানের পুঙ্খানুপুঙ্খ KYC করতে হবে, যেখানে তাদের সিম কার্ড বিক্রি করা হয়। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে দোকান প্রতি তাদের 10 লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। 1 অক্টোবর, 2023 থেকে এই নতুন নিয়মগুলি কার্যকর হতে চলেছে।

SIM Card ব্যবহার নিয়ে 1 অক্টোবর থেকে নতুন নিয়ম, না মানলেই 10 লাখ টাকা জরিমানা
সিম কার্ডে কড়া কেন্দ্র...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2023 | 5:06 PM

SIM Card New Rules: সিম কার্ড কীভাবে ইস্যু করা হবে এবং ব্যবহারই বা কীভাবে করা যাবে, সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন নিয়ম লাগু করতে চলেছে দ্য ডিপার্টমন্ট অফ টেলিকম বা DoT। আর তার ভিত্তিতেই মানুষ কীভাবে সিম কার্ড কিনবেন এবং তা ব্যবহার করবেন, সেই বিষয়গুলি নির্ধারিত হবে। DoT দুটি নতুন সার্কুলার জারি করেছে, সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে ভারতে সিম কার্ড বিক্রয় এবং ভারতীয়দের সিম কার্ড ব্যবহার সংক্রান্ত নতুন বা মডিফায়েড নিয়মগুলি।

একটি নিয়ম আমার-আপনার মতো সাধারণ সিম কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য। আর একটি নিয়ম Jio এবং Airtel এর মতো টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য। সেই দ্বিতীয় নিয়ম তথা টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য নিয়ে আসা নিয়মের মধ্যে দিয়েই ভারতে সিম কার্ডগুলি এতদিন যেভাবে বিক্রি হত, সেই বিষয়টি পরিবর্তিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে এতদিন যাবৎ যে ভাবে সিম কার্ড বিক্রি হয়ে আসছিল, তাতে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ছিল। সেই নিরাপত্তা জোরদার করতেই সিম কার্ড জারি ও সর্বোপরি ব্যবহারে নতুন নিয়মগুলি লাগু করা হচ্ছে।

DoT দাবি করেছে যে, Airtel এবং Jio-র মতো টেলিকম সংস্থাগুলিকে সেই সব দোকানের পুঙ্খানুপুঙ্খ KYC করতে হবে, যেখানে তাদের সিম কার্ড বিক্রি করা হয়। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে দোকান প্রতি তাদের 10 লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। 1 অক্টোবর, 2023 থেকে এই নতুন নিয়মগুলি কার্যকর হতে চলেছে। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, নতুন নিয়ম অনুসারে 2024 সালের 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে দোকানগুলিকে KYC করে ফেলতে হবে।

DoT তাদের নির্দেশিকায় বলছে, “টেলিযোগাযোগ পরিষেবার এই নতুন নিয়মে যদি একজন লাইসেন্সধারী, গ্রাহকদের নথিভুক্ত করতে PoS (পয়েন্ট অফ সেল) নিয়োগ করেন, তাহলে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, লাইসেন্সধারীর জন্য এই ধরনের PoSদের (প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি, এজেন্ট এবং ডিস্ট্রিবিউটর) রেজিস্টার করা বাধ্যতামূলক হবে। গ্রাহকদের নথিভুক্ত করার অনুমতি দেওয়ার আগেই আলাদাভাবে রেজিস্টার্ড হতে হবে।” এর অর্থ হল, Jio এবং Airtel এর মতো সংস্থাগুলিকে অতি অবশ্যই নজর রাখতে হবে যে, তারা কাদের এবং কীভাবে সিম কার্ড বিক্রি করছে।

এছাড়াও, DoT উল্লেখ করেছে যে, অসম, কাশ্মীর এবং উত্তর পূর্বের মতো নির্দিষ্ট অঞ্চলে, টেলিকম অপারেটরদের একটি চুক্তিতে প্রবেশ করা এবং গ্রাহকদের কাছে নতুন সিম কার্ড বিক্রি করতে অনুমতি দেওয়ার আগে দোকানগুলির পুলিশ যাচাই শুরু করতে হবে।

শুধু তাই নয়। সিম কার্ড কিনছেন এমন গ্রাহকদের জন্যও নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে। এখন একটি সিম কার্ড কিনতে গেলেই আধার ভেরিফিকেশন করা হয়। কিন্তু নতুন নিয়মে বলা হচ্ছে, পুরনো সিম কার্ড হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে, পুনরায় তা ইস্যু করার প্রয়োজন হলেও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ঠিক যেমনটা নতুন সিম ইস্যু করার ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হয়। খুব সহজে বলতে গেলে, আপনার ফোনে থাকা সিম কার্ডটি যদি কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাহলে আপনি তা ফিরে পেতে গেলে সর্বাগ্রে আপনার নাম, ঠিকানা-সহ একাধিক বিষয় যাচাই করা হবে।

এদিকে স্প্যাম মেসেজিং এবং সাইবার জালিয়াতিতেও লাগাম পরাতে একসঙ্গে একগুচ্ছ সিম কার্ড বিক্রয় করার ক্ষেত্রেও নিয়ম জারি করছে DoT। তারা বলছে, একান্তেই যদি কোনও কমিউনিটির জন্য বাল্ক সিম বিক্রয় করতে হয়, তাহলে তা সম্ভব একমাত্র KYC যাচাইয়ের পরে। এর ফলেও যে কারও, যথেচ্ছ সিম কার্ড বিক্রয় ও কেনার বিষয়টি বন্ধ হবে।