রাস্তায় জ্যামে ফেঁসে গিয়ে অফিস লেট। বসের চোখরাঙানির ভয় রয়েছে মনে। অফিসে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন, ব্যাগে দেখলেন অ্যাক্সেস কার্ডটাই (Plastic Access Card) নেই। কী নাজেহাল অবস্থা হয় ভাবুন তো! ওই ছোট্ট একটা প্লাস্টিক কার্ড ছাড়া তো ঢুকতেই পারবেন না অফিসে। কার্ড না ছুঁলে খুলবে না বড়সড় ওই লোহার দরজা। কখনও কি মাথায় এসেছে, কীভাবে দরজা খুলে ফেলে ছোট্ট একটা কার্ড? আজ জেনে নিন এই ম্যাজিক টাচের পিছনে লুকিয়ে আছে কোন রহস্য…
প্লাস্টিকের ওই অ্যাক্সেস কার্ড কীভাবে কাজ করে?
আসলে অ্যাক্সেস কার্ড দুই ধরনের হয়। একটি হল- কন্টাক্টলেস কার্ড এবং আরেকটি ম্যাগনেটিক স্ট্রাইপ কার্ড। কন্টাক্টলেস কার্ডগুলিতে RFID (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) প্রযুক্তি থাকে, যার ভিতরে একটি ছোট মাইক্রোচিপ এবং অ্যান্টেনা এমবেড করা থাকে। কন্টাক্টলেস ইএমভি কার্ডের দু’টি ইন্টারফেস থাকে (যোগাযোগ এবং যোগাযোগহীন)। মাইক্রোচিপে এনকোড করা ডেটা থাকে, যা একটি অ্যান্টেনার মাধ্যমে একটি অ্যাক্সেস কার্ড রিডারে পাঠানো হয়। যখন এটি কাছাকাছি থাকে, তখনই কাজ করে। এরপরে যখনই কেউ গেট খোলে কার্ডের মাধ্যমে সেই গেটটি খুলে যায়।
কন্টাক্টলেস স্মার্ট কার্ডগুলি প্রথম 1995 সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ইলেকট্রনিক টিকিটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। সেই থেকে, কন্ট্যাক্টলেস ইন্টারফেস সহ স্মার্ট কার্ডগুলি পেমেন্ট এবং টিকিটিং অ্যাপ্লিকেশন যেমন গণ ট্রানজিটের জন্য ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আর চৌম্বক কার্ড বা ম্যাগনেটিক স্ট্রাইপ কার্ডের পিছনে একটি চৌম্বক স্ট্রাইপ থাকে। এই স্ট্রিপটিতে লোহার কণা থাকে। যেহেতু কার্ডটি চৌম্বকীয় স্ট্রাইপের হয়, অর্থাৎ এতে উভয় বৈশিষ্ট্যই থাকে, তবে এই ধরণের কার্ড উভয় উপায়ে কাজ করে। ফলে যখনই আপনার হাতে থাকা প্লাস্টিকের কার্ডটি আপনার লোহার গেটে ছোঁয়ান, তখন সঙ্গে সঙ্গে দরজাটি খুলে যায়।