বড় ঘোষণা করল ফেসবুকের (Facebook) প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা। এই প্রথম ফিজ়িক্যাল রিটেল স্পেস (Physical Retail Store) খুলতে চলেছে সংস্থাটি। পাতি কথায় বলতে গেলে, এই প্রথম মেটা বা ফেসবুকের দোকান খুলতে চলেছে, যার নাম মেটা স্টোর ( (Meta Store)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়ার বার্লিনগেমে সেই দোকানের শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে ৯ মে। মেটা স্টোরে কাস্টমাররা সংস্থাটির একাধিক হার্ডওয়্যার প্রডাক্ট পেয়ে যাবেন যেমন, কোয়েস্ট ২, রে-ব্যান স্টোরিজ় এবং পোর্টাল। ১,৫৫০ স্কোয়্যার ফুটের ওই দোকানে ফিচার করা হবে রে-ব্যানের সঙ্গে পার্টনারশিপে তৈরি করা মেটার প্রথম স্মার্টগ্লাস এবং ফেসবুক ভিডিয়ো চ্যাটের ডিভাইস, যার নাম পোর্টাল। সেই স্মার্টগ্লাস অর্থাৎ রে-ব্যান স্টোরিজ় আপনি চাইলে কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও অর্ডার করতে পারবেন। পাশাপাশি মেটা স্টোর থেকে আপনি এই সব গ্যাজেটস-সহ অন্যান্য অ্যাক্সেসারিজ়ও ক্রয় করতে পারবেন।
মেটার ওই ফিজ়িক্যাল স্টোর কাস্টমারদের একটা ধারণা দিতে পারবে যে, মেটাভার্সে কোন কোন নতুন জিনিস আসতে চলেছে। মেটা সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের পণ্যগুলি মানুষকে কীভাবে সংযুক্ত করতে পারে, তার একটা ধরণা দেওয়ার জন্য এই স্টোর খোলা হচ্ছে। মেটাভার্সের দ্বারা মানুষ কী ভাবে উপকৃত হতে পারেন, তারও ইঙ্গিত দিতে পারবে এই মেটা স্টোর।”
মেটা স্টোরের প্রধান মার্টিন গিলিয়ার্ড একটি বিবৃতির মাধ্যমে দাবি করেছেন, “কীভাবে আমাদের পণ্যগুলি ভবিষ্যতে মেটাভার্সের গেটওয়ে হয়ে উঠতে পারে, মানুষের সঙ্গে সেই কানেকশন তৈরি করতে সাহায্য করবে মেটা স্টোর।” তিনি আরও যোগ করে বলছেন, “আমাদের স্টোরে আমরা মেটাভার্স বিক্রি করছি না। কিন্তু গ্রাহকরা আমাদের এই স্টোরে আসবেন এটা জানতে যে, কীভাবে আমাদের বিভিন্ন ডিভাইস তাঁদের মেটাভার্সে সংযুক্ত করবে।”
মেটা সম্প্রতি জানিয়েছে যে, তাদের ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্ল্যাটফর্ম হরাইজ়ন ওয়ার্ল্ডস থেকে সংস্থার ডিজিটাল অ্যাসেটগুলি টেস্ট করা প্রক্রিয়াটি শুরু করা হবে। হরাইজ়ন ওয়ার্ল্ডস হল একটি ভিআর প্ল্যাটফর্ম, যা ২০২১ সালে লঞ্চ করেছিল মেটা। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, তারা ডিজিটাল এক্সপিরিয়েন্স ও অ্যাসেটের ৪৭.৫ শতাংশ ফি চার্জ করবে ক্রিয়েটরদের কাছে।
চলতি বছরের শুরুতেই একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল যে, মেটাভার্স সংক্রান্ত আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে আসতে চলেছে মেটা, যার মধ্যে অন্যতম হল এনএফটি মার্কেটপ্লেস। সেই রিপোর্টে এ-ও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, এই এনএফটি মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমেই ভার্চুয়াল পেমেন্ট সলিউশন এবং ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। শুধু তাই নয়। রিটেল দোকানের মাধ্যমে হার্ডওয়্যাল সেলস বাড়াতে পারলে মেটা তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্লো ডাউনের সময় বিজ়নেস মডেলটি তুলে ধরতে পারবে।
আরও পড়ুন: একঘেঁয়ে অপারেটিং সিস্টেমে বিরক্ত? অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ভোল বদলে দিতে পারে নাথিং লঞ্চার, কীভাবে?
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আরও বেশি করে টাকা পাঠান, প্রতি বার পেয়ে যাবেন ৩৩ টাকা করে ক্যাশব্যাক
আরও পড়ুন: অ্যামাজন-ফ্লিপকার্ট থেকে ঘনঘন কেনাকাটি করেন? এই উপায়ে অনলাইন শপিংয়ে বাঁচতে পারে মোটা টাকা