জীবিত তিমির থেকেও বিপজ্জনক মৃত তিমি, যে কোনও সময় বিস্ফোরণ হয় নিথর দেহে!

Dead Whale: এ কী! সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সঙ্গে দূর থেকে ভেসে আসছে একটি মৃত তিমি। সমুদ্রের তীরে এসে পড়তেই, আর কেউ তার সামনে যাচ্ছে না। সবাই ভয় পাচ্ছে। যে তিমি মরে গিয়েছে, শরীরে কোনও সাড় নেই। তাকে ভয় কীসের? কারণ কথায় আছ, জীবিত তিমির চেয়ে বেশি বিপদ ডেকে আনে একটি মৃত তিমি। কারণটা কী জানেন?

জীবিত তিমির থেকেও বিপজ্জনক মৃত তিমি, যে কোনও সময় বিস্ফোরণ হয় নিথর দেহে!

Jan 26, 2024 | 6:30 PM

অন্য দিনের মতো সেদিনও মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মাঝিরা। কিন্তু হঠাৎই চোখে পড়ল একটি বিরাট তিমি। শান্ত জল ছেড়ে উথাল পাথাল হওয়া ঢেউতে তিমি কী করছে, এটা ভেবে ওঠার আগেই খানিকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তারা। এদিকে তীরে থাকা মানুষও ভাবতে লাগল, এ কী! সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সঙ্গে দূর থেকে ভেসে আসছে একটি মৃত তিমি। সমুদ্রের তীরে এসে পড়তেই, আর কেউ তার সামনে যাচ্ছে না। সবাই ভয় পাচ্ছে। যে তিমি মরে গিয়েছে, শরীরে কোনও সাড় নেই। তাকে ভয় কীসের? কারণ কথায় আছ, জীবিত তিমির চেয়ে বেশি বিপদ ডেকে আনে একটি মৃত তিমি। কারণটা কী জানেন? মৃত তিমির দেহ যে কোনও সময় বিস্ফোরিত হতে পারে। আর এটাই কি তাহলে ভয় পাওয়ার আসল কারণ? শুনেই চমকে গেলেন তো? ভাবছেন একটি মাছ, সে কি না মরে গেলেই বিস্ফোরিত হবে। এমনটার পিছনে কারণ কী?

তিমি কোন কারণে বিস্ফোরিত হয়?

যখন কোনও তিমি মরে যায়, তখন তার ভিতরে রক্ত চলাচল ও শ্বাসক্রিয়া থেমে যায়। আর এর ফলে তিমির দেহের ভিতরে থাকা অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য বাইরে বেরিয়ে আসার কোনও জায়গা পায় না। দেহের কোষগুলোতে এক ধরনের অ্যাসিডিক অবস্থা তৈরি হয়। অর্থাৎ দেহের ভিতরে কোষগুলো তাদের প্রকৃত গঠন হারিয়ে ফেলে। আর কোষগুলো দুর্বল হয়ে যায়। এমনটা হওয়ায় শ্বসনতন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পিউট্রেফ্যাকশন। আর এর ফলে তিমির দেহের ভিতর প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রোজেন জমা হয়। গ্যাসগুলো মৃত দেহের অভ্যন্তরে বাড়তেই থাকে। আর একটা সময় পড়ে মৃত তিমির দেহটা বিস্ফোরিত হয়ে যায়।

বিস্ফোরণের সময় কী ঘটে?

বিস্ফোরণের আগে তিমির দেহের ভিতরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। এমনকি তা বেরিয়ে আসার জন্য কোনও বড় ছিদ্রও থাকে না। তাই চাপ আরও বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে সমস্ত গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় এই ধরনের বিস্ফোরণ ঠেকাতে তিমির শরীর কেটে ফেলা হয়। তবে কখনও কখনও এই পদ্ধতিও বিপজ্জনক হতে পারে। তিমির শরীরের মাংস বের হয়ে কয়েক মিটার দূরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এর শরীর কাটার সময় অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। একই সঙ্গে তিমির দেহে উৎপন্ন গ্যাস মানুষেরও ক্ষতি করতে পারে। সেই কারণেই জীবিত তিমির চেয়ে একটি মৃত তিমিকে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।