এমনিই গোটা বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে জেরবার। তারউপরে মহাকাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পৃথিবীকে। এবার একটা বা দু’টো নয়, পাঁচটা গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। জেনে নিন সেগুলো কী কী? তবে তার আগে জানা প্রয়োজন, গ্রহাণুগুলো কেন পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে? আসলে গ্রহাণু হল এক ধরনের শিলা, যা সূর্যের চারপাশে গ্রহের মতো ঘোরে। এরা গ্রহের তুলনায় আকারে অনেক ছোট হয়। তবে জানলে অবাক হবেন, অধিকাংশ গ্রহাণু মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষপথে পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথেও এরা একইভাবে ঘুরতে থাকে। যখন সৌরজগৎ তৈরি হচ্ছিল, তখন গ্যাস এবং ধূলিকণার মেঘ ছিল, যা একটি গ্রহের আকার নিতে পারেনি।
এক নম্বরে 2002 CE। এটি 1 ফেব্রুয়ারী 2002-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সোকোরোতে লিঙ্কন ল্যাবরেটরির পরীক্ষামূলক সাইটে LINER প্রোগ্রামের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন। এটি একটি পাথুরে গ্রহাণু, যা পৃথিবী থেকে খুব কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থিত।
জিওগ্রাফোস (Geographos) রয়েছে দুই নম্বরে। এটি একটি বিরাট বড় ও পাথরযুক্ত গ্রহাণু। এটি 1951 সালের 14 সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরিতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন।
তিন নম্বরে আছেন টাউটিস (Toutatis)। এর গতি ধীর। অন্য সব গ্রহাণুদের মতো মহাকাশে ছুটে বেরাতে পারে না। তবে এটি বর্তমানে পৃথিবীর অনেকটা কাছেই রয়েছে। এটি 1989 সালে ফরাসি জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ান পউলাস ক্যাসোলাসে আবিষ্কার করেছিলেন।
ওলজাতো (Oljato) আছে চার নম্বরে। ওলজাটো অ্যাপোলো গ্রুপের একটি অস্বাভাবিক গ্রহাণু। অন্য সব গ্রহাণুদের থেকে অনেকটাই আলাদা। এটি 12 ডিসেম্বর 1947 সালে অ্যারিজোনার ফ্ল্যাগস্টাফের আমেরিকান লোয়েল অবজারভেটরি দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল।
পাঁচ নম্বরে রয়েছেন মিডাস (Midas)। মিডাস একটি ভেস্টয়েড গ্রহাণু। এটি ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো কাউন্টির পালোমার অবজারভেটরিতে আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা 6 মার্চ, 1973-এ আবিষ্কার করেছিলেন। এটিও বর্তমানে পৃথিবীর অনেকটা কাছে রয়েছে।