কার গতিবেগ সবচেয়ে বেশি বলুন তো? এক কথাতেই বলে ফেললেন নিশ্চয়ই আলো। আর আলোর থেকে কিছুটা কম শব্দের গতিবেগ। এবার এই শব্দের গতি থেকেও যদি জোরে ছোটে কোনও বিমান, তাহলে কেমন হবে? এই ভাবনাটারই বাস্তব রূপ দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) এবং বিমান ও বিমানের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা লকহিড মার্টিন সুপারসনিক বিমান X-59 তৈরি করেছে। এটি একটি নতুন প্রজন্মের বাণিজ্যিক বিমান, যা শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত।
বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক বিমান কোনটি জানেন?
বিশ্বের প্রথম দ্রুততম সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান ছিল কনকর্ড। এই বিমানটি শব্দের দ্বিগুণ গতিতে উড়তে পারতো, কিন্তু এই সুপারসনিক বিমানটি 2003 সালে শেষ ফ্লাইট নিয়ে উড়তে পেরেছিল। ওই দিন থেকেই এই বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়।
X-59-এর গতি শব্দের চেয়েও 1.4 গুণ বেশি:
X-59-এর একের পর এক পরীক্ষা চলছে। আর তারপরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ফ্লাইট নিয়ন্ত্রকদের ডেটা সরবরাহ করবে, যা তাদের বাণিজ্যিক সুপারসনিক ফ্লাইটকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। জানলে অবাক হবেন, X-59 শব্দের 1.4 গুণ বেশি গতিতে উড়তে পারে। এর নকশা, আকার এবং প্রযুক্তিগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যে ওড়ার সময় কোনওরকম আওয়াজ করবে না। নাসার ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাম মেলরয় এই বিষয়ে বলেছেন, “এটি একটি বিরাট অর্জন, যা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র নাসা এবং পুরো X-59 টিমের কঠোর পরিশ্রম এবং দক্ষতার কারণে। চলতি বছরের শেষের দিকে বিমানটি প্রথমবারের মতো উড়তে চলেছে। বিমানটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি নির্বাচিত শহরে চালানো হবে।”
লকহিড মার্টিন স্কাঙ্ক ওয়ার্কসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল ম্যানেজার জন ক্লার্ক বলেন, “প্রতিভাবান, নিবেদিতপ্রাণ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং কারিগররা এই বিমানটি তৈরি করতে সহযোগিতা করেছেন। তাদের জন্যই সবটা সম্ভব হয়েছে। এই বিমান 99.7 ফুট লম্বা এবং 29.5 ফুট চওড়া। বিমানের আকার এবং প্রযুক্তি সুপারসনিক ফ্লাইটটিকে সবার থেকে আলাদা করে। “