ExoMars Mission: মঙ্গলগ্রহে একাই অভিযান চালাবে রাশিয়া, নয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রুশ স্পেস সেন্টার রসকমস
ExoMars Mission: এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হল লালগ্রহের বুকে একটি ল্যান্ডার অবতরণ করানো। তারপর সেটির সাহায্যে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে খুঁজে দেখা যে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা।
একাই মঙ্গলগ্রহে এক্সোমার্স (ExoMars Mission) অভিযান চালাবে রাশিয়া (Russia)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে এই যৌথ মিশন আপাতভাবে স্থগিত করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA)। আর তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার স্পেস এজেন্সি রসকমস (Rosocmos), যে এবার মঙ্গলগ্রহে এককভাবেই এক্সোমার্স অভিযান চালাবে রাশিয়া। মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েই যৌথ এক্সোমার্স অভিযান স্থগিত করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ। এই এক্সোমার্স অভিযান চলতি বছরের শেষের দিকে ইউরোপের তৈরি রোভারকে লালগ্রহে পৌঁছনোর জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল একটি রাশিয়ান রকেট। তবে যৌথ অভিযান আপাতত স্থগিত হয়েছে। আর রাশিয়ার স্পেস এজেন্সির রসকমসের প্রধান Dmitry Rogozin জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে মঙ্গলগ্রহে অভিযানের কাজকর্ম শুরু করভে তাঁর দেশে। এর থেকেই বোঝা গিয়েছে যে এককভাবেই মঙ্গলে এক্সোমার্স অভিযান চালাবে রাশিয়া।
অন্যদিকে, Dmitry Rogozin- এর বক্তব্য অনুসারেই Interfax জানিয়েছে যে রাশিয়ার কোনও রোভারের প্রয়োজন হবে। কারণ রাশিয়ার কাছে যে ল্যান্ডিং মডিউল রয়েছে যা রোভার পরিবহনের জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে, সেটি প্রয়োজনীয় বিজ্ঞানভিত্তিক কাজকর্ম করতে সক্ষম হবে। এর পাশাপাশি রাশিয়ার স্পেস এজেন্সি রসকমসের প্রধান আবার এও বলেছেন যে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি রাশিয়ার সাহায্য ছাড়া তাদের রোভার মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করাতে পারবে কিনা সেই ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কারণ রাশিয়ার কাছে রয়েছে একটি রকেট, একটি লঞ্চ সাইট এবং ল্যান্ডিং মডিউল। Rogozin- এর মতে এই সমস্ত মডিউল একদম নিজস্ব ভাবে তৈরি করতে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ- র অন্তত ৬ বছর সময় লাগবে।
এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হল লালগ্রহের বুকে একটি ল্যান্ডার অবতরণ করানো। তারপর সেটির সাহায্যে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে খুঁজে দেখা যে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা। ২০২০ সালে প্রথম এই অভিযানের জন্য মহাকাশযান উৎক্ষেপণের কথা ছিল কিন্তু করোনার কারণে এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে পিছিয়ে যায় এই অভিযান। আর এখন রাশিয়া-ইউরোপের যৌথ অভিযানে বাধা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। মূলত রাশিয়ার এ ভাবে ইউক্রেনে উপর হামলা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি।
ইউক্রেনে হামলা করেছে রাশিয়া। যুদ্ধ চলছে ২৪ দিন ধরে। আর এর জেরেই রাশিয়ার সঙ্গে এক্সোমার্স মহাকাশ অভিযান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার স্পেস এজেন্সি Roscosmos জানিয়েছে যে তারা ইতিমধ্যেই মহাকাশে বিভিন্ন উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত মিশনে ইউরোপের সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে। এর পাশাপাশি রসকমস এও জানিয়েছে যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও রকেট ইঞ্জিন সরবরাহ বন্ধ করবে।