ফাটছে একের পর এক জ্বালামুখী, 121 আগ্নেয়গিরির রুদ্ররূপ চাক্ষুষ করতেই এই দেশে আসে পর্যটকরা

Volcano: আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে অগ্নুৎপাত হচ্ছে এমন কোনও দৃশ্য। সারা বিশ্ব জুড়ে বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। আগ্নেয়গিরির কারণে কেবল মানুষের অপকার নয় উপকারও হয়ে থাকে। এতে ভূমির উর্বরটা বৃদ্ধি পায়। ঠিক যেমন- দাক্ষিণাত্যের লাভা গঠিত কালো মাটি কার্পাস চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।

ফাটছে একের পর এক জ্বালামুখী, 121 আগ্নেয়গিরির রুদ্ররূপ চাক্ষুষ করতেই এই দেশে আসে পর্যটকরা

Feb 05, 2024 | 9:30 AM

আগ্নেয়গিরি বলতেই প্রথমে আপনার চোখে কী ভেসে আসে বলুন তো? না ছোটবেলায় ভূগোল বইয়ে পড়া সংজ্ঞা নয়। বরং সিনেমায় দেখা কোনও দৃশ্য। আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে অগ্নুৎপাত হচ্ছে এমন কোনও দৃশ্য। সারা বিশ্ব জুড়ে বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। আগ্নেয়গিরির কারণে কেবল মানুষের অপকার নয় উপকারও হয়ে থাকে। এতে ভূমির উর্বরটা বৃদ্ধি পায়। ঠিক যেমন- দাক্ষিণাত্যের লাভা গঠিত কালো মাটি কার্পাস চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।

কোন দেশে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে?

জানা আছে কি, কোন দেশে আগ্নেয়গিরির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি? বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নিয়ে যখনই কথা হয়, এই তালিকায় প্রথম নামটি আসে ইন্দোনেশিয়ার। এই দেশে প্রায় 121টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যার মধ্যে 74টি আগ্নেয়গিরিতে 1800 সাল থেকে অবিরাম অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। সেই সব আগ্নেয়গিরি থেকে অনেক সময় লাভার সঙ্গে অনেক খনিজ পদার্থ নির্গত হয়। আমেরিকা যুক্তরাস্ট্রের পশ্চিমাংশে অগ্ন্যুৎপাতের জন্য অধিক পরিমাণে খনিজ দ্রব্য পাওয়া যায়। অগভীর সমুদ্রে বা হ্রদে লাভা ও ভস্ম সঞ্চিত হয়ে এরুপ ভূভাগ সৃষ্টি হয়।

1950 সাল থেকে সক্রিয় 58টি আগ্নেয়গিরি…

12 আগস্ট, 2022 সাল থেকে সাতটি আগ্নেয়গিরিতে ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রাকাতাউ, মেরাপি, লোভোট্রোক, সেমেরু, ইবু, ডুকনো এবং কারাংটাং আগ্নেয়গিরি। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, সে দেশে এত আগ্নেয়গিরি থাকার কারণ কী? ইন্দোনেশিয়া যে জায়গায় অবস্থিত, সেখানে ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেট দক্ষিণ দিকে সরে যাচ্ছে। ভারতীয়-অস্ট্রেলীয় প্লেট উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে। ফিলিপাইন প্লেট পশ্চিম দিকে সরছে। যখন এই তিনটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তখন এটি একটি আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটায়। ইন্দোনেশিয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের দেশ হিসাবেও পরিচিত। কারণ এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত। এছাড়াও এই অঞ্চলে সর্বাধিক ভৌগোলিক এবং ভূতাত্ত্বিক কার্যক্রম হয়। যার কারণে ভূমিকম্প, সুনামি, লাভা গঠনের মতো ভৌগোলিক কার্যকলাপ দেখা যায়।