Coromandel Express Accident: আতঙ্কে পূর্ব বর্ধমানের ১১ শ্রমিক
এবারেও কয়েকদিন বিরতির পর তারা কালই কেরালায় কাজের জায়াগার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পর চূড়ান্ত বিভ্রাটের মধ্যে তারা কোনোভাবে বাড়ি ফেরেন। আহতরা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে ভাতারে আসেন। একটি দল একটি গাড়ি ভাড়া করে গ্রামে আসেন। অন্যদলটি বাস ধরে আহত অবস্থাতেই শালিমার স্টেশনে আসেন
অভিশপ্ত করমন্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ১১ জন শ্রমিক। তারা সকলেই ভাতার থানার বামশোর এবং কালুত্তক গ্রামের।গ্রামের বাসিন্দার জানান, এরা সকলেই কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন।এবারেও কয়েকদিন বিরতির পর তারা কালই কেরালায় কাজের জায়াগার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পর চূড়ান্ত বিভ্রাটের মধ্যে তারা কোনোভাবে বাড়ি ফেরেন। আহতরা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে ভাতারে আসেন। একটি দল একটি গাড়ি ভাড়া করে গ্রামে আসেন। অন্যদলটি বাস ধরে আহত অবস্থাতেই শালিমার স্টেশনে আসেন। সেখানে থেকে ভাতার আসেন। আহত শেখ পুটু জানান, তারা বামশোর গ্রাম থেকে কেরলে যাচ্ছিলেন। সেখানে তারা রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেবেন বলেই যাচ্ছিলেন। সাড়ে ছটা ট্রেন স্টেশন থেকে ছাড়ে। পরপর ধাক্কা লাগে ট্রেন। তারা ছিটকে পড়েন। তাদের কামরাটি অন্য গাড়ির উপর চেপে যায়। কোনোক্রমে তারাও জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসেন। তারা জানান, সে এক অবর্ননীয় অবস্থা৷ চারদিকে মৃত এবং আহতের স্তূপ। পুলিশ সরিয়ে দেয় তাদের। রাস্তায় এসে গ্রামের এক পরিচিতকে ফোন করেন। তিনি গাড়ি ঠিক করায় তারা কোনোক্রমে আহত অবস্থায় বাড়ি আসেন। তারা জানান, ঘটনাস্থলে তারা কোনো সাহায্য পাননি। গ্রাম থেকে তাদের ভাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে একজনকে বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিরা স্থিতিশীল এবং ভাল আছেন।