খেলার মাঠ বন্দি মুঠোফোনে! হারাচ্ছে কৈশোর, বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Jul 20, 2024 | 8:48 PM

অনলাইনেই বিশ্বজয় হচ্ছে আজকাল... অনলাইনেই বন্ধুত্ব... অনলাইনেই ঝগড়া। কংক্রিটের জঙ্গল বাড়ছে। তার সঙ্গে বিস্তার হচ্ছে প্রযুক্তির এক বিরাট সাম্রাজ্য। যা বদলে দিচ্ছে সবটা। বদলে দিচ্ছে ছোট ছোট মনগুলোকে। গত শতকের নয়ের দশকে ভিডিয়ো গেমের আমদানি দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০২৪ সালে এসে তা ঝড়ের আকার নিয়েছে। যে ঝড়ে উড়ে যাচ্ছে শৈশব। খেলা হোক আর লেখাপড়া- সবটাই স্ক্রীন বন্দি।

Follow Us

ডাকছে আকাশ, ডাকছে বাতাস। কিন্তু সেই ডাকে আর সাড়া দিচ্ছে কে? বড় হওয়ার দৌড়ে বুঁদ ছোট ছোট প্রাণগুলো দরজায় খিল দিয়ে শুধুই দৌঁড়ে চলেছে। হ্যাঁ, দরজায় খিল দিয়ে দৌড়… দরজার ওপারের মাঠ ফাঁকা। কিন্তু দৌড় চলছে হাতের মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রীনে। সেখানেই কেউ হয়ে উঠছেন মেসি, কেউবা কিং কোহলি। কিন্তু নিজের পায়ে ফুটবলে শট মারার আনন্দ বা ব্যাট হাতে একটা ছক্কা। না, সেই স্বাদ থেকে এই প্রজন্ম ক্রমাগত বঞ্চিত হয়ে চলেছে। তার বদলে লেখাপড়ার চাপ, মোবাইল, কম্পিউটার, সফটঅয়্যার, আর হালফিলের AI। ছোট ছোট মাথাগুলো হঠাত্‍ করেই যেন বড় হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে শৈশব, কৈশর। ভাবছেন তো কেন এই ভারী ভারী কথাগুলো বলছি? তার অনেক কারণ আছে। একটা ঘটনা আবার প্রশ্নটা সামনে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে আমাদের। শৈশবে কী থাবা বসিয়েছে AI?

না আজকার আর কেউ বন্ধু চল বলে ডাকে না। স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরে ব্যগ ফেলে মাঠে দৌঁড়োয় না। তোর টিম তোর পাশে খেলার গল্পগুলো আজ বড্ড বেমানান। ডাক এখনও আছে। তবে মাঠে যাওয়ার নয়, অনলাইনে আসার। অনলাইনেই বিশ্বজয় হচ্ছে আজকাল… অনলাইনেই বন্ধুত্ব… অনলাইনেই ঝগড়া। কংক্রিটের জঙ্গল বাড়ছে। তার সঙ্গে বিস্তার হচ্ছে প্রযুক্তির এক বিরাট সাম্রাজ্য। যা বদলে দিচ্ছে সবটা। বদলে দিচ্ছে ছোট ছোট মনগুলোকে। গত শতকের নয়ের দশকে ভিডিয়ো গেমের আমদানি দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০২৪ সালে এসে তা ঝড়ের আকার নিয়েছে। যে ঝড়ে উড়ে যাচ্ছে শৈশব। খেলা হোক আর লেখাপড়া- সবটাই স্ক্রীন বন্দি।

বাচ্চাদের মন ভোলাতে বাবা-মায়েরা হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল ফোন। যে মোবাইল ধীরে ধীরে সময়ের আগেই বদলে দিচ্ছে শিশু মনের মগজাস্ত্র। তথ্য পরিসংখ্যানে যা উঠে আসছে তা সাংঘাতিক। এই রাজ্যের ছোট বড় সবাই মিলে রেকর্ড গড়ে চলেছেন। কিছুদিন আগে ব্লুওয়েল নামে একটা গেম নিয়ে গোটা দেশে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল। এই রাজ্যেও ঝড়েছিল প্রাণ। কিন্তু সেই পর্ব থেকে আদৌ কোনও শিক্ষা নিয়েছি আমরা? উত্তরটা না। বরং আরও বেড়েছে গেম আশক্তি।

মোবাইলে মুখ গুঁজে শৈশব-কৈশোর আটকে যাচ্ছে এক অদ্ভুত জগতে। যে জগতে হিতাহিতের জ্ঞান নেই। যে জগতে ঠিক ভুলের ফারাক নেই। আছে এক অদ্ভুত মাদকতা। ওই জগতে যেমন অনেক ভালো কিছুও আছে, তেমনই ফাঁদ পেতে আছে অপরাধ, যৌনতার মত বিষয়গুলো। যা ক্রমগাত বিষ ঢালছে ছোটদের মনে। সঙ্গে আছে প্রতিযোগিতার চাপ। সবেতেই প্রথম হতে হবে যে।

নিশ্চই আপানাদের মনে একটা প্রশ্ন উঠছে, কেন আবার এই কথাগুলো বলছি। আছে, শুক্রবার একটা ঘটনার কথা আমাদের কানে এসেছে। যে ঘটনা শুনে আমরা সবাই হতোবাক। বেহালার একটা সরকারি স্কুল। সেই স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্র, স্কুলের বড় দিদিদের ছবি জোগাড় করে। তারপর এআইয়ের ব্যবহার করে ছাত্রীদের ছবিকে নগ্ন ছবিতে বদলে দেয়। তারপর তা ভাইরাল করা হয়। হ্যাঁ। এই ঘটনাই আমাদের ভীষণ ভাবে বিচলিত করছে। ভাবতে বাধ্য করছে কোথায় যাচ্ছি আমরা? কোথায় যাচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত্‍ প্রজন্ম? সঙ্গে আরও একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, আমরা মানে বড়রা সঠিক দিশা দেখাতে পারছি কী?

দশম শ্রেণীর এক ছাত্র। যার হাতে মোবাইল খুব একটা থাকার কথা নয়, সে অপারেট করছে এআই। বর্তমান দুনিয়ায় সবই সম্ভব। লেখাপড়ার জন্য, ভুলিয়ে রাখার জন্য আমরাই ছোটদের হাতে তুলে দিচ্ছি মোবাইল ফোন। কিন্তু ফোবাইল ফোনের ওপারে কী করছে ছোটরা? সেই খেয়াল কেউ রাখছেন কী? অজান্তে নিষিদ্ধ জগতে পা দিয়ে ফলছে না তো বাড়ির ছোট সদস্য? এই প্রশ্নটা ওই পরিবার কারও মনে আসেনি। আর তার ফলটা কী হচ্ছে সেটা হাতে নাতে পাচ্ছেন সবাই। স্কুলের দিদিদের ছবিকে এআই ব্যবহার করে নগ্ন রূপ দেওয়া ও তারপর তা ভাইরাল করে দেওয়া। একটা দশম শ্রেণীর ছাত্র কী ভাবে করল এটা?

হাতের ছোট্ট মোবাইল ফোন অনেক কিছুর দরজা খুলে দিচ্ছে? তাতে অনেক ভালো কিছু আছে। কিন্তু তার পাশাপাশি যে অনেক নিষিদ্ধ বিষয় উঁকি দিয়ে আছে সেটার দিকে নজরা কেউ রাখছেন কী? শৈশব থেকে কৈশরের পথে অনেক কিছু বদলায়। শরীর বদলায়, মন বদলায়, সঙ্গে মাথাও। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাড়তি নজর দেওয়াটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন। এখানেই সব থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায় পরিবারের ভূমিকা। মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

খেলার মাঠ ফাঁকা। আর মোবাইলের মাঠ ভর্তি। এটাই বিপদের পর বিপদ ডেকে আনছে না তো? অপরাধের সলতে পাকানোর কাজটা এখান থেকেই শুরু হচ্ছে নাতো? যে ছাত্র এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। জুভেনাইল আইন মেনে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বৃহত্তর সমাজ দায় এড়াতে পারে কী?

ডাকছে আকাশ, ডাকছে বাতাস। কিন্তু সেই ডাকে আর সাড়া দিচ্ছে কে? বড় হওয়ার দৌড়ে বুঁদ ছোট ছোট প্রাণগুলো দরজায় খিল দিয়ে শুধুই দৌঁড়ে চলেছে। হ্যাঁ, দরজায় খিল দিয়ে দৌড়… দরজার ওপারের মাঠ ফাঁকা। কিন্তু দৌড় চলছে হাতের মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রীনে। সেখানেই কেউ হয়ে উঠছেন মেসি, কেউবা কিং কোহলি। কিন্তু নিজের পায়ে ফুটবলে শট মারার আনন্দ বা ব্যাট হাতে একটা ছক্কা। না, সেই স্বাদ থেকে এই প্রজন্ম ক্রমাগত বঞ্চিত হয়ে চলেছে। তার বদলে লেখাপড়ার চাপ, মোবাইল, কম্পিউটার, সফটঅয়্যার, আর হালফিলের AI। ছোট ছোট মাথাগুলো হঠাত্‍ করেই যেন বড় হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে শৈশব, কৈশর। ভাবছেন তো কেন এই ভারী ভারী কথাগুলো বলছি? তার অনেক কারণ আছে। একটা ঘটনা আবার প্রশ্নটা সামনে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে আমাদের। শৈশবে কী থাবা বসিয়েছে AI?

না আজকার আর কেউ বন্ধু চল বলে ডাকে না। স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরে ব্যগ ফেলে মাঠে দৌঁড়োয় না। তোর টিম তোর পাশে খেলার গল্পগুলো আজ বড্ড বেমানান। ডাক এখনও আছে। তবে মাঠে যাওয়ার নয়, অনলাইনে আসার। অনলাইনেই বিশ্বজয় হচ্ছে আজকাল… অনলাইনেই বন্ধুত্ব… অনলাইনেই ঝগড়া। কংক্রিটের জঙ্গল বাড়ছে। তার সঙ্গে বিস্তার হচ্ছে প্রযুক্তির এক বিরাট সাম্রাজ্য। যা বদলে দিচ্ছে সবটা। বদলে দিচ্ছে ছোট ছোট মনগুলোকে। গত শতকের নয়ের দশকে ভিডিয়ো গেমের আমদানি দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০২৪ সালে এসে তা ঝড়ের আকার নিয়েছে। যে ঝড়ে উড়ে যাচ্ছে শৈশব। খেলা হোক আর লেখাপড়া- সবটাই স্ক্রীন বন্দি।

বাচ্চাদের মন ভোলাতে বাবা-মায়েরা হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল ফোন। যে মোবাইল ধীরে ধীরে সময়ের আগেই বদলে দিচ্ছে শিশু মনের মগজাস্ত্র। তথ্য পরিসংখ্যানে যা উঠে আসছে তা সাংঘাতিক। এই রাজ্যের ছোট বড় সবাই মিলে রেকর্ড গড়ে চলেছেন। কিছুদিন আগে ব্লুওয়েল নামে একটা গেম নিয়ে গোটা দেশে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল। এই রাজ্যেও ঝড়েছিল প্রাণ। কিন্তু সেই পর্ব থেকে আদৌ কোনও শিক্ষা নিয়েছি আমরা? উত্তরটা না। বরং আরও বেড়েছে গেম আশক্তি।

মোবাইলে মুখ গুঁজে শৈশব-কৈশোর আটকে যাচ্ছে এক অদ্ভুত জগতে। যে জগতে হিতাহিতের জ্ঞান নেই। যে জগতে ঠিক ভুলের ফারাক নেই। আছে এক অদ্ভুত মাদকতা। ওই জগতে যেমন অনেক ভালো কিছুও আছে, তেমনই ফাঁদ পেতে আছে অপরাধ, যৌনতার মত বিষয়গুলো। যা ক্রমগাত বিষ ঢালছে ছোটদের মনে। সঙ্গে আছে প্রতিযোগিতার চাপ। সবেতেই প্রথম হতে হবে যে।

নিশ্চই আপানাদের মনে একটা প্রশ্ন উঠছে, কেন আবার এই কথাগুলো বলছি। আছে, শুক্রবার একটা ঘটনার কথা আমাদের কানে এসেছে। যে ঘটনা শুনে আমরা সবাই হতোবাক। বেহালার একটা সরকারি স্কুল। সেই স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্র, স্কুলের বড় দিদিদের ছবি জোগাড় করে। তারপর এআইয়ের ব্যবহার করে ছাত্রীদের ছবিকে নগ্ন ছবিতে বদলে দেয়। তারপর তা ভাইরাল করা হয়। হ্যাঁ। এই ঘটনাই আমাদের ভীষণ ভাবে বিচলিত করছে। ভাবতে বাধ্য করছে কোথায় যাচ্ছি আমরা? কোথায় যাচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত্‍ প্রজন্ম? সঙ্গে আরও একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, আমরা মানে বড়রা সঠিক দিশা দেখাতে পারছি কী?

দশম শ্রেণীর এক ছাত্র। যার হাতে মোবাইল খুব একটা থাকার কথা নয়, সে অপারেট করছে এআই। বর্তমান দুনিয়ায় সবই সম্ভব। লেখাপড়ার জন্য, ভুলিয়ে রাখার জন্য আমরাই ছোটদের হাতে তুলে দিচ্ছি মোবাইল ফোন। কিন্তু ফোবাইল ফোনের ওপারে কী করছে ছোটরা? সেই খেয়াল কেউ রাখছেন কী? অজান্তে নিষিদ্ধ জগতে পা দিয়ে ফলছে না তো বাড়ির ছোট সদস্য? এই প্রশ্নটা ওই পরিবার কারও মনে আসেনি। আর তার ফলটা কী হচ্ছে সেটা হাতে নাতে পাচ্ছেন সবাই। স্কুলের দিদিদের ছবিকে এআই ব্যবহার করে নগ্ন রূপ দেওয়া ও তারপর তা ভাইরাল করে দেওয়া। একটা দশম শ্রেণীর ছাত্র কী ভাবে করল এটা?

হাতের ছোট্ট মোবাইল ফোন অনেক কিছুর দরজা খুলে দিচ্ছে? তাতে অনেক ভালো কিছু আছে। কিন্তু তার পাশাপাশি যে অনেক নিষিদ্ধ বিষয় উঁকি দিয়ে আছে সেটার দিকে নজরা কেউ রাখছেন কী? শৈশব থেকে কৈশরের পথে অনেক কিছু বদলায়। শরীর বদলায়, মন বদলায়, সঙ্গে মাথাও। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাড়তি নজর দেওয়াটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন। এখানেই সব থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায় পরিবারের ভূমিকা। মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

খেলার মাঠ ফাঁকা। আর মোবাইলের মাঠ ভর্তি। এটাই বিপদের পর বিপদ ডেকে আনছে না তো? অপরাধের সলতে পাকানোর কাজটা এখান থেকেই শুরু হচ্ছে নাতো? যে ছাত্র এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। জুভেনাইল আইন মেনে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বৃহত্তর সমাজ দায় এড়াতে পারে কী?

Next Video