Donald Trump: আর্মেনিয়া-আজারবাইজান শান্তি চুক্তির নেপথ্যে ট্রাম্প ‘ম্যাজিক’!
অতি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তাঁর মধ্যস্থতায় শান্তি সমঝোতা করছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। ট্রাম্প বললেন, ‘আমি ওদের বলেছিলাম, সংঘাতের পথ ছেড়ে শান্তির রাস্তায় ফিরতেই হবে। সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। হোয়াইট হাউসেই চুক্তি সই হবে।’ অর্থাত্ আরও একবার যুদ্ধ থামানোর দাবি। ঠিক যেন, ‘ওঠ ছুঁড়ি, তোর বিয়ে।’ প্রসঙ্গত, দু-দিন আগে ককেশাস নিয়ে ট্রাম্প সহ ন্যাটো সদস্য-দের […]
অতি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তাঁর মধ্যস্থতায় শান্তি সমঝোতা করছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। ট্রাম্প বললেন, ‘আমি ওদের বলেছিলাম, সংঘাতের পথ ছেড়ে শান্তির রাস্তায় ফিরতেই হবে। সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। হোয়াইট হাউসেই চুক্তি সই হবে।’ অর্থাত্ আরও একবার যুদ্ধ থামানোর দাবি। ঠিক যেন, ‘ওঠ ছুঁড়ি, তোর বিয়ে।’
প্রসঙ্গত, দু-দিন আগে ককেশাস নিয়ে ট্রাম্প সহ ন্যাটো সদস্য-দের সতর্ক করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি দাবি করেছিলেন, ককেশাসে সামরিকভাবে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া। এর ফল কী হতে পারে, সেটা যেন গোটা দুনিয়া মাথায় রাখে। ইউক্রেনের ওয়ারফ্রন্টে গিয়ে আরও একটা চমকপ্রদ দাবি করেছিলেন জেলেনস্কি। রাশিয়া বিভিন্ন দেশ থেকে ভাড়াটে সেনাদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার সেনারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে সেই অভিযোগ করেছে। পাকিস্তান, চিন, তাজকিস্তান, উজবেকিস্তান, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ভাড়াটে সেনা ইউক্রেনে যু্দ্ধ করছে।’ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আইএমএফের ঋণের বিনিময়ে পাকিস্তান এবং আমেরিকার সিক্রেট ডিল।
দ্য ইন্টারসেপ্টের দাবি, ইউক্রেনে ১৫৫ এমএম কামান এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করে ৩৬৪ মিলিয়ন ডলার কামিয়েছে পাকিস্তানের সরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা। পাকিস্তানকে দিয়ে এটা করাতে আইএমএফের লোনকে হাতিয়ার করেছিল বাইডেন প্রশাসন। ইউক্রেনের এক গোয়েন্দা কর্তা, মার্কিন পত্রিকা দ্য ইন্টারসেপ্টের কাছে এই দাবি করেছেন। ইন্টারসেপ্টের দাবি, পাকিস্তান একদিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র যুগিয়েছে অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে লড়তে ভাড়াটে সেনা পাঠিয়েছে। দু-দিক থেকেই লাভ। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভুল-ঠিক বলে কিছু হয়না। একেবারে নিজের স্বার্থ, দেশের স্বার্থটাই মূল। তাই পাকিস্তান বুদ্ধিমানের মতো কাজ করেছে বলাই বাহুল্য। পাকিস্তান যে কাজটা বুদ্ধি করে করেছে, ট্রাম্প সেটাই করছে ক্ষমতার জোরে। আর্মেনিয়া – আজারবাইজানের ঘটনাই তাঁর হাতে গরম প্রমাণ।
আর্মেনিয়া- আজারবাইনের মধ্যে দীর্ঘদিন সীমান্ত নিয়ে ঝগড়া চলছে। বিশেষত নাগার্নো – কারাবাক নামে একটা পার্বত্য এলাকা নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। নাগার্নো-কারাবাক, আজারবাইনের এলাকা বলে রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। কিন্তু এখানকার বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশই আর্মেনিয়ান। এরা আর্মেনিয়ার সঙ্গে থাকতে চান। এর সঙ্গে আরও বেশ কিছু বিষয় জড়িয়ে। ট্রাম্প এসবের মধ্যে ঢোকেননি। দুই দেশের প্রেসিডেন্টকে বলে দিয়েছেন, সংঘর্ষ বিরতি করতে হবে।কী শর্তে সংঘর্ষ বিরতি হল? এখানেই ট্রাম্পের ম্যাজিক। শর্ত নয়, যদিও ট্রাম্পসাহেব প্রথম দফাতেও আর্মেনিয়া- আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে সেই ঘোষণার এক বছরের মধ্যে ৯ দিনের যুদ্ধে জড়িয়েছিল দুই দেশ। রাষ্ট্রসংঘ এবং বাইডেন সাহেবের চেষ্টায় কোনওমতেও সেই যুদ্ধ থেমেছিল। এবার আবার ট্রাম্প সেই তাসটাই খেললেন। ককেশাসের পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল মানুষজন অবশ্য খোলাখুলি বলে দিচ্ছেন, ট্রাম্প কোনও যুদ্ধ-টুদ্ধ থামাননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জ্যাঙ্গেজুর করিডর দখল নিতে চান। আজারবাইজান থেকে ৪৩ কিলোমিটার লম্বা এই করিডর তুরস্ককে সরাসরি যুক্ত করছে। ককেশাসে রাশিয়ার উপস্থতি বেশ জোরালো। কয়েক মাসে এই এলাকায় রাশিয়ার দোসর হয়ে নেমেছে চিন। সেই সময়ই বাউন্সার। একেবারে ট্রাম্প সাহেবের নিজস্ব স্টাইলে।

