AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pandua Robbery: নিরাপত্তা রক্ষীর চোখ বেঁধে দুঃসাহসিক চুরি!

Pandua Robbery: নিরাপত্তা রক্ষীর চোখ বেঁধে দুঃসাহসিক চুরি!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Oct 02, 2023 | 8:55 PM

Share

পান্ডুয়ার বৈঁচি জি টি রোডের ধারে রয়েছে একটি কাগজের বাক্স তৈরির ফ্যাক্টরি। গতকাল রাত্র সাড়ে বারোটা নাগাদ ফ্যাক্টরির অ্যাজবেস্টার কেটে ভিতরে ঢোকে ছয় থেকে সাত জনের একটি দুষ্কৃতি দল। সেই সময় ফ্যাক্টরি একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিল নিরাপত্তারক্ষী তুফান সরদার , কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুইজন দুষ্কৃতী গামছা দিয়ে তার চোখ বেঁধে দেয়।

পান্ডুয়ার বৈঁচি জি টি রোডের ধারে রয়েছে একটি কাগজের বাক্সো তৈরির ফ্যাক্টরি। গতকাল রাত্র সাড়ে বারোটা নাগাদ ফ্যাক্টরির অ্যাজবেস্টার কেটে ভিতরে ঢোকে ছয় থেকে সাত জনের একটি দুষ্কৃতি দল। সেই সময় ফ্যাক্টরি একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিল নিরাপত্তারক্ষী তুফান সরদার , কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুইজন দুষ্কৃতী গামছা দিয়ে তার চোখ বেঁধে দেয়। এলোপাথারি মারধর শুরু করে তাকে,পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপর অফিসের ভিতরে থাকা আলমারি ভেঙ্গে তছনছ করে দুষ্কৃতি দল। প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে কারখানার ভেতরে তান্ডব চালানোর পর ভোর চারটে নাগাদ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে ফোন করে ডেকে বারটি মটর তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে সোমবার ঘটনাস্থলে আসে পান্ডুয়া থানার পুলিশ।

 

নিরাপত্তা রক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় , কারখানার ভিতরে ৬,৭ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে । গতকাল রাত্রে কারখানার ভিতরে একাই ছিলেন তুফান । কারখানার ভিতরে জুতোর বাক্স তৈরি হতো ।পুজোর মুখে কারখানায় দুঃসাহসিক চুরি ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে কারখানার মালিক সোনা সাঁধুখার।

নিরাপত্তার কি তুফান বলেন, রাত্রিবেলা শোয়ার পরেই দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকে ছয় থেকে সাত জন দুষ্কৃতী এরপরই তারা চোখ বেঁধে দেয়। দুজন পাহারা দিতে থাকে বাকিরা কারখানার ভিতরে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সহ একটি আলমারি ভাঙচুর করে। পরে কারখানার ১৪ থেকে ১৫ টি মোটর তুলে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক এক একটি মটরের মূল্য লক্ষ্যাধিক টাকা। তাদের প্রত্যেকেরই মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল।
কারখানার মালিক সোনা সাধুখাঁ বলেন, রাতে আমি ছিলাম না, সকালে জানতে পারি কারখানায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসে দেখি কোন মোটর নেই। এর আগে কোনদিনও এরকম ঘটনা ঘটেনি। গত চৌদ্দ বছর ধরে এই ফ্যাক্টরি চালাচ্ছি, লকডাউন এর ফলে চার বছর বন্ধ ছিল। যে ঘটনা ঘটেছে এরপর আর কারখানা চালানো যাবেনা।

জানান, দুষ্কৃতীদের কাছে কোন আগ্নেয়াস্ত ছিল না। তাই ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় পান্ডুয়া থানা একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। রাস্তার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।।