Bankura News: ৪ বছর আগে তৈরি ব্রিজ, এখন…
হড়পা বানে গত বছর ভেঙেছে গ্রাম সংলগ্ন কালভার্ট। তারপর থেকে বিচ্ছিন্ন দশা দশ থেকে বারোটি গ্রাম। দুর্ভোগের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে চলতি বর্ষায়। ঘটনার দায় একে অপরের কাঁধে তুলে দিব্যি দায় এড়াচ্ছে শাসক বিরোধী সব দল।
গত বছর স্থানীয় একটি ছোট নদীর হড়পা বানে ভেঙ্গে যায় ওই নদীর উপর বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ছকুরডাঙ্গা গ্রাম সংলগ্ন একটি কালভার্ট। মাত্র চার বছর আগে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের ৫৪ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। এই কালভার্টই ছিল গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ছকুরডাঙ্গা, চৈতন্যপুর, আনন্দপুর সহ দশ থেকে বারটি গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। গতবছর বর্ষায় নদীটিতে হড়পা বান এলে কার্যত দুমড়ে মুচড়ে যায় কংক্রিটের সেতুর বেশিরভাগ অংশ।
জলের তোড়ে ভেসে যায় সেতু সংলগ্ন সংযোগকারী রাস্তা। তারপর থেকেই কার্যত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বসবাস করছেন ওই গ্রামগুলির বাসিন্দারা। কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় ওই গ্রামগুলিতে শুধু গাড়ি যাতায়াত বন্ধ তাই নয়, হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামগুলিতে যায় না কোনো এম্বুলেন্সও। নিতান্ত বাধ্য হয়ে অসুস্থ মানুষকে খাটে চাপিয়ে নিয়ে যেতে নদীর অপর পাড় পর্যন্ত। বিষয়টি অজানা নয় প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের। গ্রামের বাসিন্দারা সেতু মেরামতের দাবীতে বারেবারে দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের। কিন্তু ঘুম ভাঙেনি কোনো পক্ষেরই।
সেতু মেরামতের উদ্যোগ দেখা না গেলেও অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়াচ্ছে সব রাজনৈতিক দলই। নির্মাণের মাত্র চার বছরের মাথায় সেতুটি এভাবে ভেঙে পড়ায় সেতু তৈরীর কাঁচামালের গুনগত মান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। বিজেপির কটাক্ষ শাসক দলের নেতারা সর্বত্র কাটমানি নেওয়ায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে ঠিকাদাররা। আর তার জেরেই এই ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির দাবী সারাবছর ডিভিসির মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই মেশানো জলের স্রোত ও ভারী বর্ষণের কারণেই সেতুটির এমন হাল। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির আস্বাস দ্রুত সেতু মেরামত করা হবে।