BUDGET 2023: ‘প্রয়োজনের বন্ধু জিএসটিই এখন সমস্যা’, নির্মলাকে খোলা চিঠি এক ব্যবসায়ীর

Jan 20, 2023 | 7:36 PM

Union Budget 2023: দিল্লির বাসিন্দা বলরাজ খুরানা। তিনি একজন ছোট ব্যবসায়ী। গ্যাস ওভেনের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সহজে ঋণ পাওয়া ও জিএসটির সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে খোলা চিঠি লিখলেন তিনি।

Follow Us

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী,

আমি বলরাজ খুরানা। দিল্লির সদর বাজারে আমার একটি দোকান আছে। আমি গ্যাসের ওভেন বিক্রি করি। আমার পণ্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি হয়। বাজেটের আগে, আপনি বড় শিল্পপতিদের সাথে দেখা করেন। আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা আপনার সঙ্গে কোথায় আর যোগাযোগ করতে পারি? তাই আমি আপনাকে এই চিঠি লিখছি।

অর্থমন্ত্রী আমার ব্যবসায় মন্দা চলছে। গ্যাস ওভেনের দাম বেড়ে গিয়েছে ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে কমে গিয়েছে চাহিদাও। আমি দাম না বাড়ালেও স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের দাম বাড়ায় ওভেন উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে মাল পরিবহণের খরচও। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওভেনের চাহিদা কমে গিয়েছে। আর কেউ ধারে কিছু কিনলে টাকা দিতে গড়িমসি করছে।

আগে আমরা খুচরো বাজারের দোকানদারদের থেকে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পেতাম। এখন তারা টাকা দিতে ২ থেকে ৩ মাস সময় চাইছে। বাজারে চাহিদা কম কিন্তু বিক্রেতা বেশি। ফলে, লোকসান হজম করেও ধার দিতে হচ্ছে। অন্যথায় আমি গ্রাহক হারাতে পারি। আমার দোকানে কাজ করা দুটি ছেলেকেও ছাঁটাই করতে হয়েছে। এই মন্দার বাজারে কোনও বিক্রি ছিল না। আমি কীভাবে তাদের বেতন দিতাম, জানি না। তাই এই অপ্রিয় সিদ্ধান্ত আমাকে নিতে হল।

আমি জানিয়েছি, বাজেটের পর আমি কীভাবে তাদের সাহায্য করতে পারি তা ভেবে দেখব। মাননীয়া অর্থমন্ত্রী, আপনি নিশ্চয়ই বাজারের পরিস্থিতি জানেন। আপনিই সব নিয়ম তৈরি করেন। আমরা খুচরো ব্যবসায়ীদের পণ্য ধারে দিয়ে থাকি। কিন্তু জিএসটি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে দিতে হয়। আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা কী করব? যে কারখানায় ওভেন তৈরি হয় সেই কারখানার মালিকদের অগ্রিম দিতে হয়। যদি আমি সময়মতো কর না দিই, তাহলে জরিমানা ধার্য করা হবে। তখন কোথায় যাব আমরা?

অনেক সময় আমাকে ঋণ নিয়ে কর দিতে হয়। ব্যাঙ্কগুলি এই কারণে আর ঋণ দিচ্ছে না। তারা ঋণ দেওয়ার পরিবর্তে জমা হিসেবে কিছু চাইছে। ম্যাডাম অর্থমন্ত্রী, আমার খুব ভাল করে মনে আছে সরকার জিএসটিকে আমাদের ‘প্রয়োজনের বন্ধু’ বলেছিল। আমরাও এটিকে সেভাবেই ভেবেছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস করুন গত পাঁচ বছরে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জিএসটি আসার পর থেকে একটি কম্পিউটার কিনতে হয়েছে, যা বিল এবং ই-ওয়ে বিলের হিসেব করে। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জিএসটি ফাইল করতে এখন আরও বেশি টাকা নেয়। এর পরেও, যখন জিএসটি কর্মকর্তারা আসেন, তাঁরা আমাদের এমনভাবে হুমকি দেন যেন আমরা চোর।

আমরা সরকারের প্রতিটি নিয়ম মেনে চলি। কিন্তু তারপরও কেন এই ইন্সপেক্টর রাজ? আমাদের অনুরোধ কেন আপনার কাছে পৌঁছায় না? এমন কিছু করুন যাতে ব্যবসায়ীরা এই কাঁটাতারের বেড়া থেকে মুক্তি পায়। তাহলে আমাদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।

আপনি যদি আমাদের সহজে ঋণ পাওয়ার কোনও সুবিধা দেন, তাহলে আমাদের কিছু সাহায্য হয়। প্রিয় অর্থমন্ত্রী, আমরা আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুই আশা করছি, সরকারকে এই নিয়ে কিছু করতেই হবে।

আপনার,
বলরাজ

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী,

আমি বলরাজ খুরানা। দিল্লির সদর বাজারে আমার একটি দোকান আছে। আমি গ্যাসের ওভেন বিক্রি করি। আমার পণ্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি হয়। বাজেটের আগে, আপনি বড় শিল্পপতিদের সাথে দেখা করেন। আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা আপনার সঙ্গে কোথায় আর যোগাযোগ করতে পারি? তাই আমি আপনাকে এই চিঠি লিখছি।

অর্থমন্ত্রী আমার ব্যবসায় মন্দা চলছে। গ্যাস ওভেনের দাম বেড়ে গিয়েছে ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে কমে গিয়েছে চাহিদাও। আমি দাম না বাড়ালেও স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের দাম বাড়ায় ওভেন উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে মাল পরিবহণের খরচও। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওভেনের চাহিদা কমে গিয়েছে। আর কেউ ধারে কিছু কিনলে টাকা দিতে গড়িমসি করছে।

আগে আমরা খুচরো বাজারের দোকানদারদের থেকে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পেতাম। এখন তারা টাকা দিতে ২ থেকে ৩ মাস সময় চাইছে। বাজারে চাহিদা কম কিন্তু বিক্রেতা বেশি। ফলে, লোকসান হজম করেও ধার দিতে হচ্ছে। অন্যথায় আমি গ্রাহক হারাতে পারি। আমার দোকানে কাজ করা দুটি ছেলেকেও ছাঁটাই করতে হয়েছে। এই মন্দার বাজারে কোনও বিক্রি ছিল না। আমি কীভাবে তাদের বেতন দিতাম, জানি না। তাই এই অপ্রিয় সিদ্ধান্ত আমাকে নিতে হল।

আমি জানিয়েছি, বাজেটের পর আমি কীভাবে তাদের সাহায্য করতে পারি তা ভেবে দেখব। মাননীয়া অর্থমন্ত্রী, আপনি নিশ্চয়ই বাজারের পরিস্থিতি জানেন। আপনিই সব নিয়ম তৈরি করেন। আমরা খুচরো ব্যবসায়ীদের পণ্য ধারে দিয়ে থাকি। কিন্তু জিএসটি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে দিতে হয়। আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা কী করব? যে কারখানায় ওভেন তৈরি হয় সেই কারখানার মালিকদের অগ্রিম দিতে হয়। যদি আমি সময়মতো কর না দিই, তাহলে জরিমানা ধার্য করা হবে। তখন কোথায় যাব আমরা?

অনেক সময় আমাকে ঋণ নিয়ে কর দিতে হয়। ব্যাঙ্কগুলি এই কারণে আর ঋণ দিচ্ছে না। তারা ঋণ দেওয়ার পরিবর্তে জমা হিসেবে কিছু চাইছে। ম্যাডাম অর্থমন্ত্রী, আমার খুব ভাল করে মনে আছে সরকার জিএসটিকে আমাদের ‘প্রয়োজনের বন্ধু’ বলেছিল। আমরাও এটিকে সেভাবেই ভেবেছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস করুন গত পাঁচ বছরে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জিএসটি আসার পর থেকে একটি কম্পিউটার কিনতে হয়েছে, যা বিল এবং ই-ওয়ে বিলের হিসেব করে। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জিএসটি ফাইল করতে এখন আরও বেশি টাকা নেয়। এর পরেও, যখন জিএসটি কর্মকর্তারা আসেন, তাঁরা আমাদের এমনভাবে হুমকি দেন যেন আমরা চোর।

আমরা সরকারের প্রতিটি নিয়ম মেনে চলি। কিন্তু তারপরও কেন এই ইন্সপেক্টর রাজ? আমাদের অনুরোধ কেন আপনার কাছে পৌঁছায় না? এমন কিছু করুন যাতে ব্যবসায়ীরা এই কাঁটাতারের বেড়া থেকে মুক্তি পায়। তাহলে আমাদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।

আপনি যদি আমাদের সহজে ঋণ পাওয়ার কোনও সুবিধা দেন, তাহলে আমাদের কিছু সাহায্য হয়। প্রিয় অর্থমন্ত্রী, আমরা আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুই আশা করছি, সরকারকে এই নিয়ে কিছু করতেই হবে।

আপনার,
বলরাজ

Next Video