Dengue in Jalpaiguri: ডেঙ্গু রুখতে গাপ্পি মাছ!
Dengue: বছরের এই সময়ে ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়ার মতো মশা বাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। গত বছর জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত হিসেব নিকেশ বদলে দেয় ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশারা।
বর্ষা নামতেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত বছরের মতো মারাত্মক আকার ধারন না করলেও সংখ্যাটা ইতিমধ্যেই চল্লিশ ছাড়িয়ে বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই সিদূরে মেঘ দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের ক্যালেন্ডারের হিসেবে জুন মাস থেকে অক্টোবর মাস মশা বাহিত রোগের মাস হিসেবে চিহ্নিত।
বছরের এই সময়ে ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়ার মতো মশা বাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। গত বছর জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত হিসেব নিকেশ বদলে দেয় ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশারা। গত বছর এপ্রিল মাস থেকে ডেঙ্গু রোগের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় জলপাইগুড়ি জেলায়। বছর শেষে গিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯০৮ জন।ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের।
স্বাস্থ্য দফতরের রেকর্ড বলছে এই বছর জানুয়ারি মাস থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু মশারা।মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন।জুন মাস পড়তেই সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। জুলাই মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ৪৮ এ।তবে স্বস্তির খবর গত বছর এই সময় সংখ্যাটা পাঁচশোর ঘর পার করে গিয়ে ছিলো। তুলনামূলক ভাবে এবার আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম।তবে বিষয়টি কে হালকা ভাবে নিচ্ছেনা স্বাস্থ্য কর্তারা। জেলার প্রতিটি ব্লকে রোগ নির্নয় কর্মসূচি চলছে।
অন্যদিকে পুরসভা এলাকাতেও ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে।জলপাইগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে এক যোগে কর্মসূচি চলছে। বিভিন্ন ড্রেন ও জলাশয় গুলিতে গাপ্পি মাছ ছাড়বার পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্ড সাফসাফাই চলছে।স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন কিনা খোঁজ রাখছেন। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে সচেতনতা প্রচার।
জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল জানালেন ডেঙ্গু নিয়ে গত জুন মাস থেকে লাগাতার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি টিম যাচ্ছে। পাশাপাশি তারা পৌর এলাকায় গাপ্পি মাছ ছেড়েছেন।
ভিলেজ রিসোর্স পার্সন রীনা মুন্ডা জানাচ্ছেন তারা এলাকার সমস্ত বাড়ি ঘুরে পরিস্থিতি দেখবার পাশাপাশি ডেঙ্গুর সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছেন।
এলাকাবাসী সন্তোষ রায় জানালেন তার বাড়িতে ভিলেন রিসোর্স পার্সন এসেছিল। তারা বাড়িতে কেউ জ্বরে আক্রান্ত আছে কিনা তার খবর নিলো। একইসাথে বাড়িতে জল জমে আছে কিনা তা দেখলো। ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা প্রচার করল।