বাংলাদেশ কি ভুলে যেতে চাইছে ইতিহাস? ভুলতে বসেছে ভাষা আন্দোলনের রক্তকে?
আক্রান্ত বঙ্গবন্ধু। ছাড় পেল না ভাষা দিবসও। কুমিল্লায় ভাষা শহিদদের স্মরণে নির্মিত মিনার গুঁড়িয়ে দিল উন্মত্ত জনতা। এর আগে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নারায়ণগঞ্জের বায়তুল আমান ভবন। মুহাম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে আজ বাংলা ভাষা আক্রান্ত। পাকিস্তানের প্রেমে মজে ক্রমশ উর্দুকে চাপিয়ে দিচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সাত দশক পরে আবার বিপন্ন বাংলা ভাষা। আর এক একুশে ফেব্রুয়ারিতে আবার সে রক্তাক্ত।
ফাল্গুনের লাল কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে। আর আমরা বুঝতে পেরেছি, ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিও এসেছে। দু’দিন আগেই বাংলার মানুষ হিসেবে, বাঙালি হিসেবে উজ্জ্বলতম তারিখকে সাক্ষী করেছি আমরা, ২১ ফেব্রুয়ারি। গত বছর অবধি এই দিনটায় আমরা দুই বাংলা এক হয়েছি। আমাদের মাঝে জল-জঙ্গল-পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা কাঁটাতারকে মুছে ফেলেছে, এই ভাষাই। ও দেশ আমাদের থেকে এই ভাষা নিয়ে অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। আমরা তেমনটাই ভাবতাম ! ভাবতাম ও বাংলায় ভাষা দিবসকে হিন্দি বা ইংরেজি এখনও গ্রাস করেনি। ওপারে ভাষাদিবস শুধুই আমি বাংলায় গাই নয়! অনেক শহীদের রক্তকে স্মরণ করে মাতৃভাষার বন্দনা। ‘এই আবেগেই তো কত কিছু অর্জন করল বাংলাদেশ।’ কিন্তু সাত দশক পার করে বাংলা ভাষাই আজ বাংলাদেশে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে? ৫ অগাস্ট ২০২৪। দিনটা বদলে দিল না তো অনেক কিছু? গণ অভ্যুথ্যান মৌলবাদের উত্থান হলো না তো? যে মৌলবাদকে একাত্তরে পিছনে ফেলে রেখে এগিয়ে চলেছিল বাংলাদেশ। সেই মৌলবাদই মাথা চাড়া দিল না তো? যে ভাষা জাতি হিসেবে বাঙালিকে গোটা বিশ্বের সামনে জায়গা দিল, নতুন দেশ দিল সেই ভাষার অস্তিত্ব থাকবে তো আমার সোনার বাংলায়?