Kaali Controversy: কালী মন্তব্যে তোলপাড়, মহুয়াকে গ্রেফতারের দাবিতে ৫৬টি থানায় বিজেপির FIR
তৃণমূল সাংসদকে গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যের ৫৬টি থানায় এফআইআর দায়ের করেছে বিজেপি। ব্যবস্থা না নিলে, হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি মহিলা মোর্চাও।
কলকাতা: পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের বিশেষ তথ্যচিত্রে কালীর পোস্টার নিয়ে বিতর্ক। পোস্টারে হিন্দু দেবীর মুখে সিগারেট! ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’, অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে একাধিক অভিযোগ। উঠেছে পরিচালককে গ্রেফতারের দাবিও। এরই মধ্যে একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে উক্ত বিষয়ে মত ব্যক্ত করে বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহুয়ার কালী মন্তব্যে পাশে নেই তাঁর দল। সাংসদ হিসেবে মন্তব্যে প্রতি আরও যত্নবান হওয়া উচিত ছিল, মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
এদিকে মহুয়ার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন করে আন্দোলন সংগঠিত করতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। নূপুরে খড়্গহস্ত, মহুয়ায় কেন চুপ? তৃণমূল সাংসদকে গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যের ৫৬টি থানায় এফআইআর দায়ের করেছে বিজেপি। ব্যবস্থা না নিলে, হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি মহিলা মোর্চাও।
বিজেপির এই লাগাতার নিশানার পাল্টা জবাব দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। সিরিজ অব টুইটে মহুয়া লিখেছেন, “আমি মা কালীর ভক্ত। বিজেপি যা করার করে নাও। গুণ্ডাদের ভয় পাই না। পুলিশকে ভয় পাই না। আর তোমাদের করা ট্রোলিংয়েও আমার কোনও ভয় নেই।” তাঁর আগে মহুয়া নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে লেখেন, “তারাপীঠে গিয়ে দেখে আসুন, প্রসাদে দেবীকে কী ধরনের আহার ও পানীয় দেওয়া হয়।” তবে তৃণমূল স্পষ্ট করে দেয়, এই মত মহুয়ার ব্যক্তিগত। মহুয়ার মন্তব্য দলের মত নয় এবং দল তা সমর্থনও করে না।
এরপরই টুইটারে তৃণমূলকে আনফলো করে আরও এক নতুন বিতর্কের জন্ম দেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, তাহলে তৃণমূল ছাড়ছেন মহুয়া? এদিকে গোটা ইস্যুতেই দোলাচলে কংগ্রেস। ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের খাতিরে’ মহুয়াকে সমর্থন শশী থারুরের। আবার সূর্যেওয়ালাকে দিয়ে কংগ্রেস বলিয়ে নিল, দল মহুয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করে না। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতি তো বটেই জাতীয় ক্ষেত্রেও বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে এই কালী বিতর্ক!