AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Marriage Ban: বেড়েছে ডিভোর্সের হার, তাই বিয়ের দরজাই বন্ধ করল সোমেশ্বরস্বামী মন্দির

Marriage Ban: বেড়েছে ডিভোর্সের হার, তাই বিয়ের দরজাই বন্ধ করল সোমেশ্বরস্বামী মন্দির

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Purvi Ghosh

Updated on: Dec 13, 2025 | 7:39 PM

Share

পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে—এই গল্প বাঙালির অচেনা নয়। উনিশ শতক থেকে কালীঘাট মন্দিরে কম খরচে, অল্প সময়ে বিয়ের চল ছিল। ৫ টাকায়, ৫ মিনিটে বিয়ে, এই ছিল কালীঘাটের ইউএসপি। সেই ঐতিহ্যের সঙ্গেই মিল পাওয়া যেত কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত সোমেশ্বরস্বামী মন্দিরে। বেঙ্গালুরুর এই সোমেশ্বরস্বামী শিবমন্দির প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো। চোল রাজাদের আমলে তৈরি এই মন্দির কর্নাটকের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান। আর কালীঘাটের মতোই, বিয়ের মরসুমে এখানে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু এবার সেই চেনা ছবিটাই বদলে গেল। সোমেশ্বরস্বামী মন্দিরে আর কোনও বিয়ের আয়োজন হবে না, সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই ঘোষণার পরেই কর্নাটকজুড়ে শুরু হয়েছে হইচই।

পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে—এই গল্প বাঙালির অচেনা নয়। উনিশ শতক থেকে কালীঘাট মন্দিরে কম খরচে, অল্প সময়ে বিয়ের চল ছিল। ৫ টাকায়, ৫ মিনিটে বিয়ে, এই ছিল কালীঘাটের ইউএসপি। সেই ঐতিহ্যের সঙ্গেই মিল পাওয়া যেত কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত সোমেশ্বরস্বামী মন্দিরে।

বেঙ্গালুরুর এই সোমেশ্বরস্বামী শিবমন্দির প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো। চোল রাজাদের আমলে তৈরি এই মন্দির কর্নাটকের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান। আর কালীঘাটের মতোই, বিয়ের মরসুমে এখানে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ভিড় লেগে থাকত।

কিন্তু এবার সেই চেনা ছবিটাই বদলে গেল। সোমেশ্বরস্বামী মন্দিরে আর কোনও বিয়ের আয়োজন হবে না, সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই ঘোষণার পরেই কর্নাটকজুড়ে শুরু হয়েছে হইচই।

ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে। অভিযোগ ওঠে, কিছু যুগলকে মন্দিরে বিয়ে দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। এক যুবক সরাসরি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের পর মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়। তার জবাবেই মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা আর মন্দিরে বিয়ের ব্যবস্থা করবে না।

কারণ হিসেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে বিয়ে হওয়া দম্পতিদের মধ্যে ডিভোর্সের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। একাধিক মামলা আদালতে গিয়েছে। সেই মামলাগুলিতে সাক্ষী হিসেবে নিয়মিত পুরোহিতদের তলব করছেন বিচারকরা। প্রায় রোজই কোনও না কোনও পুরোহিতকে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এর ফলে নিয়মিত পুজো-আচ্চা ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই বিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত।

এর পাশাপাশি, আনঅফিসিয়ালি আরও একটি কারণ সামনে এসেছে। মন্দিরে এসে বহু যুগল বিয়ে করে চলে যাওয়ার পর, কিছুদিন পরে তাদের পরিবার নাকি লোকজন নিয়ে লাঠি-সোটা হাতে মন্দিরে হাজির হচ্ছে। পুরোহিতদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি। এত ঝুঁকি আর নিতে নারাজ মন্দির কর্তৃপক্ষ।

সব মিলিয়ে, ডিভোর্স মামলা, আদালতের ডাক আর নিরাপত্তাজনিত সমস্যার জেরে প্রায় ৬০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দিরে আপাতত বন্ধ হয়ে গেল বিয়ের দরজা।