এক অ্যাকাউন্টেই জমা থাকবে নতুন সব বিমা

বদলে যাচ্ছে বিমা। জীবন বিমা। স্বাস্থ্যবিমা। বা অন্য যে কোনও বিমা। এবার থেকে ইনসিওরেন্স করালে আপনি আর কোনও কাগজের সার্টিফিকেট বা বন্ড পাবেন না। পয়লা এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে গেছে নতুন নিয়ম।

এক অ্যাকাউন্টেই জমা থাকবে নতুন সব বিমা
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2024 | 11:44 PM

বদলে যাচ্ছে বিমা। জীবন বিমা। স্বাস্থ্যবিমা। বা অন্য যে কোনও বিমা। এবার থেকে ইনসিওরেন্স করালে আপনি আর কোনও কাগজের সার্টিফিকেট বা বন্ড পাবেন না। পয়লা এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে গেছে নতুন নিয়ম। আপনার বিমা রাখা থাকবে ই-ইনশিয়োরেন্স অ্যাকাউন্টে। তবে বিষয়টা এখনও অনেকে জানেন না। অনেকে আবার শুনে থাকলেও ঠিক ধারণা নেই। গত ৩-৪ দিনে আমি এনিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে কিছু প্রশ্নও পেয়েছি। তারপর ইনসিওরেন্স সেক্টরের অভিজ্ঞ লোকেদের সঙ্গে কথা বলি। সবমিলিয়ে যা উঠে এল সেটা আপনাদের জানানো দরকার বলে মনে হল। তাই আজ এই বিষয়টা দিয়েই শুরু করছি। শেয়ার কিনতে গেলে আমাদের ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। যাঁরা শেয়ার কেনা-বেচা করেন তাঁরা জানেন ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে সমস্ত সংস্থার শেয়ার একসঙ্গে রাখা থাকে। এবার সেই ব্যবস্থাই সব ধরনের বিমার ক্ষেত্রেও চালু হতে চলেছে। বিমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ IRDAI নির্দেশ দিয়েছে এখন থেকে বিমা সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রাহককে ডিজিটাল মাধ্যমে পলিসি ডকুমেন্ট দিতে হবে। সমস্ত বিমা জমা থাকবে একটিমাত্র বৈদ্যুতিন ই-ইনসিওরেন্স অ্যাকাউন্টে। ১লা এপ্রিল থেকেই যে নিয়ম চালু হয়ে গেছে। ফলে এবার আপনি কোনও বিমা কিনতে গেলে প্রথমেই আপনাকে ই-ইনশিয়োরেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এজন্য কোনও টাকা লাগবে না। ই-ইনশিয়োরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনি যতবার যে কোনও সংস্থার যে কোনও বিমা কিনবেন তা সবই ওই একটা অ্যাকাউন্টে জমা থাকবে। আপনি সেখানে গিয়েই আপনার পলিসির সব তথ্য দেখতে পারবেন। জীবন বিমা। স্বাস্থ্যবিমা। গাড়িবিমা। সবক্ষেত্রে একই নিয়ম। এইবার একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিই। যাদের কাছে এখনই পুরনো বিমার কাগজ আছে। মানে যারা কোনও পলিসি কন্টিনিউ করছেন। তাদের ক্ষেত্রে ই-ইনশিয়োরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলাটা বাধ্যতামূলক নয়। পুরনো পেপার ডকুমেন্ট দেখিয়েই তাঁরা ক্লেম করতে পারবেন। তবে কেউ যদি চান যে পুরনো বিমা ই-ইনশিয়োরেন্স অ্যাকাউন্টে রাখবেন তাহলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে তা রাখতে পারেন। আরেকটা বিষয় হল নতুন বিমার ক্ষেত্রে ই-ইনশিয়োরেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে তো হবেই। যা শুরুতে বললাম। তবে আপনি চাইলে আপনাকে কাগুজে নথি দিতে বাধ্য থাকবে বিমা সংস্থা। এই অধিকার আপনার থাকছে। আর IRDAI-এর নির্দেশ অনুযায়ী আপনি যে সংস্থার কাছে নতুন বিমা করাবেন তারাই আপনার ই-ইনশিয়োরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলানোর ব্যবস্থা করবে। আপনাকে ঝামেলা পোয়াতে হবে না। ডিজিটাল মাধ্যমে বিমা রাখার জন্য রিপজিটরি হিসাবে চারটে সংস্থাকে বাছাই করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আপনার কোনও সরাসরি লেনাদেনা থাকবে না। তারা আপনার ই-ইনশিয়োরেন্স অ্যাকাউন্টটার দেখভাল করবে। এবার যেটা বলি নতুন এ ব্যবস্থায় সুবিধা কী হবে। বিমা শিল্পমহল বলছে সুবিধা অনেক। অনেক সময় কাগজের পলিসি বন্ড হারিয়ে যাওয়ায় টাকা পেতে সমস্যায় পড়েন বিমাকারী বা তাঁর পরিবার। নয়া ব্যবস্থায় সেই হয়রানি কমবে। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার ব্যবহার করে যে কেউ তার পলিসির স্টেটাস চেক করতে পারবেন। নতুন বিমা কিনলে আপনা থেকেই তা ই-অ্যাকউন্টে জুড়ে যাবে। সহজে বদলানো যাবে ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও নমিনি সংক্রান্ত তথ্য। একাধিক পলিসির ক্ষেত্রে তথ্য সংশোধনের জন্য আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে হবে না। আরেকটা খবরও আপনাদের দেব। এখন আপনি যে সংস্থার কাছ থেকে বিমা কেনেন আপনাকে সেই সংস্থার কাছে যেতে হয়। IRDAI একটা online insurance marketplace নিয়ে আসছে যার নাম Bima Sugam. এখানে এক ছাদের নীচেই আপনি যে কোনও সংস্থার যে কোনওরকম বিমা কিনতে পারবেন। অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রিমিয়াম দিতে পারবেন। ক্লেম করতেও পারবেন। এনিয়ে বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে IRDAI-এর কথাবার্তা শেষ হলেই দ্রুত চালু হয়ে যাবে নতুন ব্যবস্থা।

ধরুন কোনও অসুখ বা দুর্ঘটনায় আপনার কোনও প্রিয়জনের অঙ্গহানি হল। সেই মানুষটার প্রায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। তখন আমাদের মনের অবস্থা কীরকম হয়। যিনি পঙ্গুত্বের পথে চলে যাচ্ছেন। তাঁর মনের অবস্থাটাই বা কীরকম হয়। এসব ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য দরকার হয় কৃত্রিম অঙ্গের। কিন্তু সেই কৃত্রিম অঙ্গ বা প্রস্থেসিসের খরচ প্রচুর। অনেক ক্ষেত্রে তা আনাতে হয় বিদেশ থেকে। তারপর সেটা ফিট করবে কিনা। সেটা লাগানোর পর কতটা কর্মক্ষমতা বাড়বে। এসব নানা ব্যাপার থাকে। আমার পাশে ছবিটা দেখুন। অস্কার পিস্তোরিয়াস। সারা দুনিয়া যাকে চেনে ব্লেড রানার নামে। ওঁর দু-পায়ে দেখুন লোহার রডের মতো একটা জিনিস লাগানো আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে পা-টা নেই। একে বলা হয় endoskeletal prosthesis. আরেক ধরনের প্রস্থেসিস হল এক্সোস্কেলিটাল প্রস্থেসিস। যেখানে কৃত্রিম অঙ্গকে দেখতে লাগবে একেবারে আসল অঙ্গের মতো। সে একদম আসল অঙ্গের মতোই কাজ করবে। এক্ষেত্রে হাড়ের বাইরের কাঠামো তৈরি করতে হয়। যা কিনা শরীরের সঙ্গে যোগ করলে পেশির নড়াচড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে পারে। আমাদের দেশে সরকারি উদ্যোগে এই কাজটাই খুব বড় করে শুরু হয়ে গেল। কাজটা করছেন দিল্লির এইমসের গবেষকরা। সঙ্গে আছে ডিআরডিও। প্রাথমিকভাবে যেসব জওয়ানরা অঙ্গহানির শিকার হন। তাঁদের জন্য এইমস হাত-পা-কব্জি-কনুইয়ের এক্সোস্কেলিটাল প্রস্থেসিস বানাচ্ছে। আমরা আশা করতেই পারি খুব দ্রুত সাধারণ মানুষও এর সুবিধা পাবেন। সেক্ষেত্রে খরচও অনেক কমবে। দিল্লি এইমসের অর্থোপেডিক বিভাগ থেকে জানানোও হয়েছে যে তারা সব মানুষের কথা ভেবেই প্রস্থেসিস তৈরি করছে। দেখুন প্রস্থেসিসের দুটো ভাগ আছে। ফাংশনাল এবং নন-ফাংশনাল। কসমেটিক প্রস্থেসিস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নন-ফাংশনাল হয়। ধরুন হাতের আঙুল বাদ গেছে। তখন সেখানে কসমেটিক প্রস্থেসিস করা যেতে পারে। কৃত্রিম আঙুল দেখতে আসলের মতোই হবে। তবে তার মুভমেন্ট তেমন হবে না। আবার ধরা যাক হাঁটুর নীচ থেকে পায়ের অংশ বাদ গেছে। সেখানে ফাংশনাল প্রস্থেটিকই করতে হবে। কারণ না হলে তো মানুষটা চলতেই পারবেন না। আর ডাক্তাররা বলছেন এই কাজটা মোটেও সোজা নয়। কৃত্রিম হাত বা পা তৈরি করলেই হল না। শরীরের সঙ্গে এই নতুন অঙ্গ কীভাবে খাপ খাবে তাও দেখা দরকার। পেশি ও হাড়ের নড়াচড়ার সঙ্গে কৃত্রিম অঙ্গের মুভমেন্টের তালমিল দেখতে হয়। এই সবটা নিয়েই এইমসের ল্যাবরেটরিতে উন্নতমানের গবেষণা চলছে। ডাক্তাররা বলছেন শুধু অঙ্গহানি নয়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথাতেও অনেক সময় হাত-পা অকেজো হয়ে যায়। সেক্ষেত্রেও কাজ করবে তাদের এই এক্সোস্কেলিটাল প্রস্থেসিস। সবমিলিয়ে নিঃসন্দেহে একটা আশা জাগানো খবর আপনাদের দিলাম। এই সূত্রেই এবার যাব পোলিও টিকার প্রসঙ্গে।

দো বুঁদ জিন্দেগি কী। পোলিও টিকা নিয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য সরকারি উদ্যোগে তৈরি এই ক্যাচলাইন পৌঁছে গেছে দেশের ঘরে ঘরে। ২০১৪ সালে ভারতকে পোলিও মুক্ত দেশ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রোগ যাতে আর কখনও ফিরে না আসে সেজন্য টিকাকরণ বন্ধ করা হয়নি। এই পোলিওর টিকার জোগান নিয়েই তৈরি হয়েছে একটা অনিশ্চয়তা। দেখুন পোলিও টিকা দুভাবে দেওয়া হয়। জন্মের সময়। তার পরে শিশুর ৬, ১০, ১৪ মাস বয়স এবং দেড় বছর বয়সে দেওয়া হয় ওরাল ড্রপ। আর দেওয়া হয় ইঞ্জেক্টেবল পোলিও ভ্যাকসিন। এর তিনটে ডোজ। ৬ সপ্তাহ। ১৪ সপ্তাহ। ৯ মাস। ১২টা preventable diseases-এর জন্য সরকার Universal Immunization Programme-এর আওতায় বিনামূল্যে শিশুদের টিকা দেয়। তার মধ্যে ইঞ্জেক্টেবল পোলিও ভ্যাকসিনও রয়েছে। আমাদের দেশে বছরে যত ইঞ্জেক্টেবল পোলিও ভ্যাকসিন দরকার হয় তার ৮০ শতাংশ সরবরাহ করে একটি ফরাসি সংস্থা। এজন্য তেলেঙ্গানায় তাদের দুটো প্ল্যান্টও ছিল। কিন্তু গত ডিসেম্বরেই তারা কর্মীদের ভিআরএস দিয়ে কারখানা গুটিয়ে নিয়েছে। টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী তেলেঙ্গানার কারখানায় আগে তৈরি হওয়া ভ্যাকসিন আগামী জুন মাস পর্যন্ত সরকারকে সরবরাহ করতে পারবে ফরাসি সংস্থা।
তারপর কী হবে। অনিশ্চয়তা এটা নিয়েই। তবে আশ্বাসও একটা পাওয়া গেছে। পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উত্‍পাদনকারী সংস্থা। এতদিন তারা ভারতে ইঞ্জেক্টেবল পোলিও ভ্যাকসিনের ২০ শতাংশ ডোজ দিত। সংস্থার সিইও আদর পুণাওয়ালা জানিয়েছেন ভারতে ও নেদারল্যান্ডসে তাঁদের কারখানায় বছরে পোলিও টিকার ৭ কোটি ডোজ তৈরি হয়। এই ক্যাপাসিটি তাঁরা বাড়াচ্ছেন। আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে তাঁরা ভারতের পোলিও টিকার যে চাহিদা। তার সবটাই মেটাতে পারবেন। কোভিডের সময় সিরাম ইন্সস্টিটিউটের কাজ আমরা সবাই দেখেছি। ফলে অনেকেই আশা করছেন যে ফরাসি সংস্থা চলে গেলেও আমাদের দেশে শিশুদের জন্য পোলিও টিকার অভাব হবে না।

এবার আপনাদের রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কিছু ইন্টারেস্টিং কথা বলব। কে জিতছে কে হারছে সেসব নয়। ২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও যুদ্ধটা চলছে কেন। যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না কেন। সেটা বলব। আমি জানি আপনাদের অনেকের মনেও এ প্রশ্ন আছে। পুতিন হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু ফাইনাল অ্যাসল্টে যাচ্ছেন না। রাশিয়ার যা শক্তি তাতে তো এতদিনে যুদ্ধটা তাদের জিতে যাওয়ার কথা। ইউক্রেনের মাটিতে ন্যাটোর সেনাও তো নামেনি। বা ইউক্রেনকে আমেরিকা-ইউরোপ তাদের সেরা অস্ত্রগুলো সবসময় থালায় সাজিয়ে তুলে দিচ্ছে এমনও তো নয়। কেউ কেউ বলছেন ইউক্রেনের মাটিতে এতটা প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে। সেটা পুতিন ভাবেননি। এখন পিছু হঠতে পারছেন না। মানে বাঘের পিঠে চড়ে বসেছেন।
কিন্তু নামতে পারছেন না। ব্রিটেনের Lancaster University-র গবেষকরা বলছেন না। পারছেন না নয়। রুশ প্রেসিডেন্ট আসলে বাঘের পিঠ থেকে নামতেই চাইছেন না। একটু খোলসা করি। দেখুন পশ্চিমী দুনিয়া ভেবেছিল রাশিয়াকে তারা ভাতে মারবে। কিন্তু যাবতীয় নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাশিয়া আগের মতোই দু-বেলা পেট ভরে ভাত খাচ্ছে। তেল-গ্যাস। অন্যান্য জিনিস রফতানিও করছে। বরং যুদ্ধ রুশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের পিছনে খরচ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আমেরিকা-ইউরোপ। Lancaster University-র গবেষকরা বলছেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ডিফেন্স এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে। সরকার এই যে বাড়তি টাকা খরচ করছে তা রাশিয়ার ইকনমিতেই রোল করছে।
যার ফলে পরপর দু-বছর সাড়ে ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে রাশিয়ার জিডিপি। যুদ্ধ শুরু হওয়ায় রুশ তরুণদের একটা অংশ ফ্রন্টে চলে গিয়েছেন। আরেকটা অংশ যুদ্ধে যাওয়ার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ফলে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের শ্রমের
মূল্য গেছে বেড়ে। বেতন বা মজুরি বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার তরুণ প্রজন্ম পুতিনকে নিয়ে ধন্য ধন্য করছে। এতে পুতিনের রাজনৈতিক লাভও হচ্ছে। ব্রিটিশ গবেষকরা বলছেন এজন্যই রুশ প্রেসিডেন্ট ধীরে চলো নীতিতে যুদ্ধটাকে যতটা সম্ভব টেনে নিয়ে যেতে চাইছেন। এবার প্রশ্ন হল জেতার জন্য তিনি ফাইনাল অ্যাসল্টে যাচ্ছেন না কেন। ওই গবেষকরাই বলছেন যুদ্ধে জিতে গেলে ইউক্রেনের বড় অংশ রাশিয়ার দখলে চলে আসবে। তখন ওই সমস্ত বিধ্বস্ত এলাকাকে নতুন করে তৈরি করতে ক্রেমলিনকে প্রচুর রুবল খরচ করতে হবে। রাশিয়ায় এখন মুদ্রাস্ফীতির হার সাড়ে ৭ শতাংশ। রুশ অর্থনীতির অবস্থা এতটাও ভালো নয় যে পুতিন চোখ বুজে ইউক্রেনের জমিতে টাকা ঢালতে পারবেন। তাহলে সবমিলিয়ে ছবিটা কী। Lancaster University-র গবেষকদের ব্যাখ্যা যুদ্ধ থেমে গেলে রাশিয়ার ক্ষতি। যুদ্ধ জিতে গেলেও রাশিয়ার ক্ষতি। একমাত্র যুদ্ধ চলতে থাকলেই রাশিয়ার লাভ। তাই পুতিন ইউক্রেনে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন। তবে একইসঙ্গে ২ ফ্রন্টে যদি তাঁকে লড়তে হয়। তাহলে কি সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সেটা পুতিন অ্যাফোর্ড করতে পারবেন। এ প্রশ্নটাও এর সঙ্গে উঠছে। কারণ কৃষ্ণসাগর থেকে যুদ্ধ এগোচ্ছে বাল্টিক সাগরের দিকে।

Follow Us: