Viral Video: সন্তানের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম শেখালেন মা! মনছোঁয়া বার্তা নেটদুনিয়ায় পৌঁছে দিল একরত্তি
Mom-son relationship: এই পৃথিবীতে মা-সন্তানের থেকে পবিত্র সম্পর্ক আর নেই। জীবনে মা-ই হলেন প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক। বাঙালি মায়ের এই ভিডিয়ো আবারও সেই কথাই প্রমাণ করল
‘রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা
এমন কেন সত্যি হয় না আহা’… ইন্টারনেটে অনেক ঘটনাই প্রতি মুহূর্তে ভাইরাল হয়। কিছু ঘটনা আমাদের আনন্দ দেয়, কিছু ঘটনা বিরক্তির উদ্রেক করে আবার এমন কিছু ঘটনা থাকে যার রেশ থেকে যায় অনেকদিন। তেমনই এই মা-ছেলের গল্প। সন্তান আর মায়ের সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্ক। এই সম্পর্ক নিয়ে কোনও তুলনাই চলে না। আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনের প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক হল মা। মাঝেমধ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় এই তথ্য মিথ্যে প্রমাণিত হলেও মা-ছেলের সম্পর্কের মাধুর্যতে তা কোনও প্রভাব ফেলে না।
মা জীবনের প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক। আর তাই মাকে সম্মান করা, মায়ের কথার মর্যাদা দেওয়া যে কোনও সন্তানের কর্তব্য। নিজের একরত্তি ছেলেকে তা শুধু বলেই বোঝালেন না, রীতিমতো সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে দেখালেন। একেবারেই ঘরোয়া বাঙালি মা রাই সেন। পরনে নাইটি, হাতে শাঁখা পলা। মা ছেলেকে শেখাচ্ছেন কী ভাবে বড়দের সম্মান করতে হয়। প্রণাম করতে হয়। আর তারপর একই কাজ করল খুদেও। মায়েোর শেখানো পদ্ধতিতেই মায়ের পায়ে হাত রেখে প্রণাম করল ছেলে। আর এই ভিডিয়ো মা রাই পরে শেযার করেন ফেসফবুকে। আর তা ভাইরাল হতে মোটেও বেশি সময় লাগল না। এই ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। লক্ষাধিক মানুষ শেয়ার কমেন্ট করেছেন। এমন মিষ্টি বন্ধন মন ছুঁয়ে গিয়েছে সকলের।
তবে এই মিষ্টি ভিডিয়োর সঙ্গে মা জুড়ে দিয়েছেন জনপ্রিয় একটি বাংলা গানও। ‘পারব না কোনওদিন মেটাতে তোমার ঋণ, মা বলে ডেকেছি তোমাকে’’…আর এই গানের কথায় ভিডিয়োটি আরও অনেক বেশি হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠেছে।
আর এই ভিডিয়ো মনে করিয়ে দেয় রবি ঠাকুরের বীরপুরুষ কবিতার একটি লাইন- ‘ভাগ্যে খোকা ছিল মায়ের কাছে’। বীরপুরুষ সেই খোকার ভাবনায় ছিল, রঘু ডাকাতদের খপ্পর থেকে যে ভাবে সে তার মাকে উদ্ধার করে আনল মা পাড়ার সবাইকে গর্ব করে বলবে ভাগ্যিস খোকা আমার সঙ্গে ছিল। মায়েরা তো এমনটাই চান। বরাবর সন্তানরা তাঁর কাছে গর্ব। সন্তানের যে কোনও সাফল্যই মায়ের কাছে আকাশছোঁয়ার সামিল। সব সন্তানকেই মায়েরা পরম যত্নে বুকে আগলে রাখেন। সন্তানের গায়ে যাতে কোনও আঁচ এসে না পড়েন সে বিষয়ে সব সময় তাঁরা সচেষ্ট থাকেন। জীবনে চলার পথের শিক্ষা দেন মায়েরাই। আর তাই মাকে সম্মান করা, মাকে ভাল রাখাও কিন্তু সন্তানদের কর্তব্য। মা যাতে কোনও ভাবেই আঘাত না পান কিংবা দুঃখ না পান সে বিষয়ে সন্তানদেরই সজাগ থাকতে হবে। তবেই কবিতা হবে বাস্তব। তৈরি হবে এমন অনেক শত গল্প।