Ghibli Style Image: ট্রেন্ডের তোড়ে Ghibli ছবি বানিয়ে খাল কেটে কুমির আনছেন না তো?

Avra Chattopadhyay |

Apr 01, 2025 | 2:45 PM

Ghibli Style Image: এই 'ঘিবলি' ছবি তৈরি করতে গিয়ে নেটিজেনরা নিজের সাইবার নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু একটু ট্রেন্ডের তোড়ে ভাসা কি এত বড় 'পাপ'?

Ghibli Style Image: ট্রেন্ডের তোড়ে Ghibli ছবি বানিয়ে খাল কেটে কুমির আনছেন না তো?
ভাইরাল ঘিবলি ছবি
Image Credit source: X

Follow Us

কলকাতা: ট্রেন্ড আসে, ট্রেন্ড যায়, নেটিজেনরা তাতে ভেসে যায়। সমাজমাধ্যমে একটু ঢুঁ মারলেই এখন দেখা মিলবে Ghibli ছবির। ফেসবুকের ওয়াল হোক বা হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাস। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সহজে ‘ঘিবলি’ ছবি বানাতে কেউই যেন পিছপা হচ্ছেন না।

দু’মিনিটে এমন ‘ঘিবলি’ ছবি তৈরির তোড় দেখে কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, এত সহজে ঘণ্টার পর ঘণ্টার ধরে তৈরি করা শিল্পকে মিনিটে AI দিয়ে বানিয়ে, কোথাও গিয়ে শিল্পের মানকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে না তো? এই বিতর্কের মাঝে আরও একটা শঙ্কাও কিন্তু তৈরি হয়েছে এই ‘ঘিবলি’ ছবি ঘিরে।

AI গবেষক লুইজ়া জ়ারোভস্কি নিজের এক্স মাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানাচ্ছেন, এই ‘ঘিবলি’ ছবি তৈরি করতে গিয়ে নেটিজেনরা নিজের সাইবার নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু একটু ট্রেন্ডের তোড়ে ভাসা কি এত বড় ‘পাপ’?

ওই গবেষক লিখছেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র ট্রেন্ডে থাকার জন্য নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি তুলে দিচ্ছেন Open AI বা অন্য কোনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থার হাতে। এটাতে গ্রাহকরা আনন্দ পাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরপথে লাভ হচ্ছে OpenAI-এর মতো সংস্থাগুলিরও। বিনামূল্যেই তারা নিজেদের AIকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ ভিন্ন মানুষের ছবি পেয়ে যাচ্ছে।’

তাঁর আরও দাবি, ‘আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত কিংবা পরিবারের সঙ্গে তোলা ছবি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি, শুধুমাত্র ট্রেন্ডে ভাসার জন্য। কিন্তু এর বদলে ওরা বিনামূল্যেই আমাদের জীবনের নানা তথ্যাদি সংগ্রহ করে আরও ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছে। যা ওদের আগামী দিনে সুবিধা করে দিতে সক্ষম।’

এই প্রসঙ্গে একাংশের সাইবার নিরাপত্তারক্ষীদের যুক্তিটাও খানিকটা একই রকমই। তাদের কথায়, ‘সাধারণের ব্যক্তিগত ছবির অপব্যবহার হতে পারে। মানুষের সম্মতি ছাড়াই AI সংস্থাগুলি এই সব ছবিকে তাদের AI মডেল প্রশিক্ষণ তৈরির জন্য ব্যবহার করতে পারে। এমনকি, এই ধরনের ঘটনার ফলে নেটমহলে তথ্যের নিরাপত্তাহীনতা ও ডিপফেকের মতোও ঘটনাও বৃদ্ধি পায়।’

Next Article