Viral: ‘কেষ্টা বেটাই চোর’, জন্মাষ্টমীর সকালে ভাইরাল ছবি দেখে দুয়ে দুয়ে চার করার চেষ্টায় আমবাঙালি
Kesta Betai Chor: 'যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর!' পুরাতন ভৃত্য কবিতার এই লাইন দিয়েই জন্মাষ্টমীর দিন ক্রিয়েটিভ তৈরি করে মানুষের মন জিতছে আমূল। আর তা দেখে বাঙালিরা দুয়ে দুয়ে চার করার চেষ্টায়।
মাখন চুরি করার মাস্টার সে। সেই কেষ্টার আজ জন্মদিন—আজ শুভ জন্মষ্টমী (Janmashtami 2022)। এ দিকে এ বাংলায় আবার কবির কবিতাতেও ‘কেষ্টা বেটাই চোর’ (Kesta Betai Chor)। আর এখন রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে বিগত কয়েকদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে আর এক কেষ্ট। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল সভাপতি সিবিআই-এর জালে। তাঁর নামও কেষ্ট, আদরের পরিচিতি ‘কেষ্টা’ নামেই। গরুপাচার চক্রে নাম জড়ানোর অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঠাঁই এখন সিবিআই হেফাজতে। চতুর্দিক যখন মিলেমিশে একাকার, তখন শুক্রবার কাকভোর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে জন্মাষ্টমীর একটি শুভেচ্ছা বার্তা। তাতে আধখাওয়া আমূল বাটারের প্যাকেটের ছবি। লেখা, ‘কেষ্টা বেটাই চোর’।
শুভ জন্মাষ্টমী!
Happy Janmshtami!#amulbutter #amul #janmashtami #happyjanmashtami #amulbangla #amulinbengal #amulindia #loveforfood #tasteofindia pic.twitter.com/lTJGZOZl1d
— Amul Bangla (@AmulBangla) August 19, 2022
এই ছবি নিয়ে নেটদুনিয়া এখন তোলপাড়। আট থেকে আশি দুয়ে দুয়ে চার করার চেষ্টায় উদ্যত। এক কেষ্টার জন্মদিন, যে মাখন চুরি করার ওস্তাদ। আর এক কেষ্টা গারদে। তিনি যখন বোলপুর থেকে আসানসোলের কোর্ট হয়ে কলকাতা এলেন, রাস্তাঘাটে ইতিউতি মানুষের ভিড়। ভেসে এসেছে, ‘চোর-চোর’ মন্তব্য। তিনি যখন এসএসকেএমে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে গেলেন, তখনও ভেসে এসেছিল সেই একই মন্তব্য। এখানেই থেমে থাকেনি ‘চোর’ ডাক। গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে যখন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা হাজিরা দিতে এলেন, সেখানেও ক্ষিপ্ত জনতা চিৎকার করে বললেন ‘চোরের কন্যা ছাড়া আর কী বলব একে।’
দুধ-মাখন-দই-ঘি, যাবতীয় ডেয়ারি প্রস্তুতকারক সংস্থা আমূল বরাবরই তাদের সৃজনশীলতায় এ দেশের মানুষজনের মন জিতে নিয়েছে। বিশেষ কোনও ইভেন্টে তাদের ক্রিয়েটিভির এক ঝলক মানুষ নিয়ম করেই দেখতে অভ্যস্ত। আর সেই আমূলেরই তো দিন আজকে। কারণ, আজ যে আমূলের অঘোষিত ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর’ কৃষ্ণের জন্মদিন। দুধ-মাখন দেখলেই যার জিভে জল আসে! তেমনই একটা ইভেন্টে কী এমন একটা ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি না দিয়ে থাকা যায়!
আমূল বাংলার ট্যুইটার পেজ থেকে ছবিটি জন্মাষ্টমীর সকালে শেয়ার করা হয়। ফেসবুক-সহ অন্যান্য অফিসিয়াল পেজেও ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে গুজরাতের সরকারি এই ডেয়ারি প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে। সেই ছবিই এখন ব্যাপক ভাইরাল। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে মানুষ নিজের মতো করে শেয়ার করছেন ছবিটিকে। ক্যাপশনও জুড়ে দিচ্ছেন নিজের মতো করেই।
একজন যেমন লিখলেন, ‘মেলালেন তিনি মেলালেন’। এখানে তিনি অর্থে সেই সৃজনশীল ব্যক্তি, যিনি আমূলের এই সারক্যাস্টিক ছবিটি তৈরি করেছেন। আর একজন বললেন, ‘এক কেষ্ট মাখন চুরি করত, আর এক কেষ্ট চুরি করত তাকেই যার শরীরের দুধ দিয়েই মাখন তৈরি হয়।’ সব মিলিয়ে জন্মাষ্টমীর সকালে এ বাংলার মানুষজন কেষ্টার ছবি দেখে সমস্ত কেষ্টাকে ঘোর বর্ষায় এক ছাতার তলায় বসিয়ে দিতে চেয়েছেন!